চট্টগ্রাম: ৫৭ ধারায় মামলার ভয়ে চট্টগ্রামের নাগরিক সমস্যা নিয়ে সাংবাদিকরা লিখতে ভয় পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছন সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেছেন, সাংবাদিকরা বিভিন্ন কারণে লিখতে পারছেন না। তাদের মামলা দেয়া হয়। ৫৭ ধারায় মামলা দেয়া হচ্ছে। এই ভয়ে লিখতে পারছে না। ‘বিজ্ঞাপনের বিষয় আছে। একটু বিজ্ঞাপনের আশায় অনেকে সত্য কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছেন। ’ শুক্রবার (২৫ আগস্ট) হজের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে মহিউদ্দিন বলেন, আমি চুপ করে আছি ভিন্ন কারণে। কথা বললেই নারাজ, আমি নারাজ না, যারা শুনবেন তারা নারাজ। চট্টগ্রামে বিশেষ করে অথর্ব, অযোগ্য, অদক্ষ, অপরিপক্ক ব্যক্তিরাই নেতৃত্বে আছেন। তারা নারাজ হন। ‘কিন্তু আপনারা সাংবাদিক। এদেশের সন্তান, এই মাটির সন্তান। লেখনীর মাধ্যমে সত্য তুলে ধরুন। জনগণ এখন চুপ আছে। আপনার লেখনী শুরু করুন। দেখবেন মানুষও বলতে শুরু করেছে। ’ তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বেশকিছু মামলা হয়েছে। এই মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেলেও যেতে হয়েছে বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে। গণহারে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় মামলা নেয়া শুরু হলে পুলিশ সদর দফতর নির্দেশনা দিয়ে থামাতে বাধ্য হয়। ৫৭ ধারায় মামলা নেওয়ার আগে সদর দফতরের অনুমতি বাধ্যতামূলক করা হয়। মহিউদ্দিনের মতে, চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা, রাস্তাঘাটের করুণ অবস্থায় নাগরিক দুর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌঁছলে গণমাধ্যমে সেটি আসছে না। সাংবাদিকরা ৫৭ ধারার মামলার ভয়ে সত্য প্রকাশ করছেন না। নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মহিউদ্দিনের সঙ্গে নগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক, নগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ, সদস্য এস এম সাঈদ সুমন ও শেখ নাছির উদ্দিন, ন্যাপ নেতা মিটুল দাশগুপ্ত উপস্থিত ছিলেন।