স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ করায় চাকুরীচ্যুত রাসেল পুনঃ তদন্তে সুবিচার ও চাকুরীতে পুনঃ বহাল চান

0
1657

স্টাফ রিপোর্টারঃ
স্ত্রী মুক্তার বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ করায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী থেকে চাকুরীচ্যুত হলেন স্বামী রাসেল। পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানার কালাইয়া গ্রামের আলহাজ্ব আজাহার মৃধার পুত্র রাসেল মিয়া ২০০৬ সালে ১ জানুয়ারী বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে যোগ দেন। রাসেলের বেইস নং-রাইটার-১ সংখ্যা ২০০৬০৩০৮। চাকুরীর সুবাদে এলএস সংখ্যা ৯৮০০৭১ মজিবুল হকের সাথে রাসেলের সম্পর্ক হয়। এ সম্পর্কেও পথ ধরেই রাসেলের স্ত্রী মুক্তা আখতারের সাথে পরিচয় হয় মজিবুল হকের, পরিচয় থেকে ভালো লাগা, ভালোবাসা, ঘনিষ্ঠতা যা পরকীয়ায় পৌছায়। রাসেলের সুখের দাম্পত্য জীবন ও সুখের সংসারে আগুণ লাগে। রাসেল থাকেন কর্মস্থলে স্ত্রী মুক্তা থাকেন রাসেলের শ্বশুর বাড়ি পটুয়াখালীর কালীশুরিতে। সুযোগ বুঝে মজিবুল কহ ছুটি নিয়ে চলে যান মুক্তা আক্তারের কাছে। মজিবুল হক ছুটি নিয়ে তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে স্ত্রী সন্তানের কাছে না গিয়ে পটুয়াখালীর কালীশুরিতে মুক্তার কাছে ছুটে যান। ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১১ সালে মজিবুল হক রাসেলের স্ত্রী মুক্তার সাথে অসামাজিক কার্যকলাপ রত অবস্থায় জনতার হাতে ধরা পরেন বলে রাসেলের অভিযোগ। রাসেল ২৬ জুলাই’১১ তারিখে অধিনায়ক বানৌজা তিতুমীরের নিকট স্ত্রীর তালাক ও মজিবুল হকের বিচারের আবেদন জানান। অঘটন পটিয়শি মুক্তা আখতার ও প্রেমিক মজিবুল হকের মিথ্যা অভিযোগ রূপ-যৌবন ও কুটকৌশলে প্রশাসনের চাকা উল্টো দিকে ঘুরতে থাকে। প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে মিথ্যা তথ্যে ভিত্তি করে অভিযোগকারী  ভিকটিমকে আত্ত্বপক্ষ সমর্থন ও ট্রায়ালের সুযোগ না দিয়ে মিথ্যা তদন্ত রিপোর্টে ভিত্তি করে বোর্ড এক তরফা প্রশাসনিক আদেশে ৪ এপ্রিল ‘১২ তারিখে রাসেলকে চাকুরীচ্যুত করা হয় বলে রাসেলের অভিযোগ। প্রকৃত ঘটনা আড়াল ও মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে রাসেলকে বরখাস্তের আদেশ পুনঃ তদন্ত সাপেক্ষে চাকুরীতে পুনঃ বহালের দাবীতে ২৫ মে ২০১৪ তারিখে কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করেন। রাসেল ছাত্র জীবনে পটুয়াখালীস্থ কালাইয়া ইদ্রিস মোল্লা ডিগ্রি কলেজ শাখায় বাংলাদেশ ছাত্র লীগের সভাপতির দয়িত্ব পালন করেন এবং ছাত্রদের যৌক্তিক দাবী-দাওয়া নিয়ে রাজপথে সক্রীয় ভূমিকা পালন করেন। রাসেল জানান, কতিপয় জামায়াত-বিএনপি পন্থী কর্মকর্তা ও মুক্তা-মজিবুল হক ষঢ়যন্ত্র করে রাসেলকে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করেন। নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে রাসেলকে চাকুরীতে পুনঃ বহালের আবেদনে জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজ সুপারিশ করেন। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান সাবেক ছাত্র নেতা রাসেল বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে যোগদান করে দেশ মাতৃকার স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ত রক্ষায় একজন অতন্দ্র প্রহরির দায়িত্ব পালনে গর্ববোধ করেন। সুখের সংসারে আগুন, ভাঙ্গন, ১০ ভরি সোনার গহনা যার মূল্য ৬ লক্ষ টাকা ও নগদ ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নিয়ে রাসেলকে তালাক দিয়ে পালিয়ে যায় মুক্তা আখতার। চাকুরী ও স্ত্রী দুই কুল হারিয়ে বৃদ্ধ পিতা-মাতাকে নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন রাসেল। মানবিক দিক বিবেচনা করে পুনঃ সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে সত্য ঘটনা উদঘাটন এবং চাকুরীতে পুনঃ বহালের আবেদন জানান।

Advertisement
Advertisement

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here