রৗমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে কয়েকদিনের টানা বর্ষন ও আশ্বিনেরর অকাল বন্যায় তলিয়ে গেছে শতশত একর রোপা আমন ক্ষেত। ফসল তলিয়ে যাওয়ায় হতাশায় নির্বাক হয়ে পড়েছে কৃষকরা। প্রথম দফা শ্রাবনের বন্যায় হাজার-হাজার একর রোপা আমনধান ও বীজ-তলা সম্পুন্য নষ্ট হয়ে যায়।
তাতেও থেমে থাকেনি কৃষকরা। অসময়ে হলেও নানা উপায়ে চারা সংগ্রহ করে রোপনের কাজ সম্পন্ন করে। ধান নমল হলেও অল্পদিনে ফসলে ভরে উঠে মাঠ। কিন্ত বিধি-বাম, গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে প্লাবিত হয়েছে নি¤œাঞ্চল।
এতে তলিয়ে যায় শত-শত এক রোপা আমন ধান। এ ব্যাপারে মির্জাপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুস ছবুর, ইচাকুড়ির জহুল, তাহের বামনের চরের জিন্নাহ, কাসেম, লাঠিয়াল ডাঙ্গা বাগান বাড়ির মেগাদ আলী, বেকরী বিলের বারেক, খালেকসহ অনেকেই জানান, দফায়-দফায় বন্যায় সঞ্চিত টাকা হালের বলদ, ধান, গহনা যাছিল সব আমন ধান রোপনে শেষ করেছি।
সেটাও বানের পানিতে নষ্ট হয়ে সর্বশান্ত হয়েছি। আগামী দিনগুলো পোলাপান নিয়ে কিভাবে চলব। এছাড়া পানি সরে যাওয়ার পর রবি শস্য চাষে ব্যাস্ত হতে হবে। সেটাই বা কিভাবে করব।
এ বিষয়ে রৌমারী কৃষি-সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, প্রথম দফা বন্যার আগে রৌমারীতে প্রায় সারে ৮ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষ হয়েছিল। ওই বন্যায় প্রায় নি¤œাঞ্চলের ৪ হাজার হেক্টর ফসরের ক্ষতি সাধিত হয়। পরে বানের পানি সরে যাওয়ার সাথে-নাথে ক্ষতি গ্রস্থ জমিতে আবারো আমন ধান রোপন করা হয়। এদিকে আবার কয়েকদিনের টানা বর্ষনে আবারো প্রায় ৩ হাজার হেক্টর ফসলের ক্ষতি হয়।