১৯ বছরেও হয়নি রানার সম্পাদক হত্যার বিচার

0
591

যশোরের দৈনিক রানার সম্পাদক আর এম সাইফুল আলম মুকুল হত্যার ১৯ বছর পার হলেও মামলার বিচারকার্য শেষ হয়নি। এ দীর্ঘসময়ে নানা জটিলতা ও প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে এগিয়েছে এ মামলার কার্যক্রম। এ অবস্থার মধ্যেই আজ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সাংবাদিক মুকুলের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হচ্ছে।  মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালের ৩০ আগস্ট রানার সম্পাদক সাইফুল আলম মুকুল শহর থেকে বেজপাড়ার নিজ বাসভবনে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের বোমা হামলায় নিহত হন। পরদিন তার স্ত্রী হাফিজা আক্তার শিরিন কারও নাম উল্লেখ না করে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরবর্তী সময় তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি যশোর জোনের তৎকালীন এএসপি দুলাল উদ্দিন আকন্দ ১৯৯৯ সালের ২৩ এপ্রিল সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামসহ ২২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এক পর্যায়ে আইনি জটিলতার কারণে মামলার কার্যক্রম থমকে যায়। এ কারণে মামলাটি  হাইকোর্ট থেকে বাতিল করে দেয়া হয়। ২০০৫ সালে হাইকোর্টের একটি বিশেষ বেঞ্চ থেকে মুকুল হত্যা মামলা পুনরুজ্জীবিত করে বর্ধিত তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়। ওই বছরের ২১ ডিসেম্বর সিআইডি কর্মকর্তা মওলা বক্স নতুন দুইজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করে আদালতে সম্পূরক চার্জশিট দেন। ২০০৬ সালের ১৫ জুন যশোরের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল (৩) এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে (২) ২২ জনকে অভিযুক্ত করে মুকুল হত্যা মামলার চার্জ গঠন করা হয়। এ সময় মামলা থেকে তৎকালীন মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম ও রূপম নামে আরেক আসামিকে অব্যাহতি দেয়া হয়। ২০১০ সালে মামলার ২৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয় যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতে।
আদালত সূত্র জানায়, মুকুল হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে আসামি ইত্তেফাকের সাংবাদিক ফারাজী আজমল হোসেন হাইকোর্টে আবেদন করেন। তিনি উচ্চ আদালতে যাওয়ায় ফের মুকুল হত্যা মামলার কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। পরে যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালত ফারাজী আজমল হোসেনের অংশ বাদ রেখে ফের বিচার কার্যক্রম শুরু করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম পিটু জানান, মুকুল হত্যা মামলার বিচার কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। দ্রুতই এর বিচার পাওয়া যাবে।
এ অবস্থায় আজ পালিত হচ্ছে সাইফুল আলমের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে প্রেসক্লাব, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শোকর‌্যালি, শহীদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল ইত্যাদি

Advertisement
Advertisement

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here