নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রুপ যৌবনের ফাদে ফেলে নামে মাত্র বিয়ে করে উঠতি বয়সের যুবক থেকে শুরু করে ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের নারী নির্যাতনের মামলার ভয় দেখিয়ে দেন মোহর বাবদ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। ইতি বর্তমানে মুখে নেকাব পড়ে অবৈধ বিয়ে, মাদক ও দেহ ব্যবসা করে চলছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ইতি আক্তার তাপসী, পিতাঃ আব্দুস সামাদ, মাতাঃ রুবি বেগম, গ্রামঃ ফরিদপুর, উপজেলাঃ সাদুল্যাপুর, জেলাঃ গাইবান্ধা। বর্তমান অবস্থান টঙ্গী, গাজীপুর। ৯ ভাই বোনের মধ্যে ইতি সবার ছোট। লেখা পড়া ৬ষ্ঠ শ্রেণী। কখনো ইতি, কখনো ইভা, কখনো, হৃদি, কখনো মিম এঞ্জেলা, কখনো রাতের পরি। প্রথম বিয়ে আশরাফ নামের একজন বড় ব্যবসায়ীর সাথে। স্বামী থাকা অবস্থায় মা রুবি বেগম ও ভগ্নিপ্রতি সাহাবুদ্দিন ওরফে সবুজ ও জামালের সহযোগিতায় গোপনে বিয়ে করে-গিয়াস, রাসেল সর্দার সবুজ, লিটন, আতাবুর, মিন্টু, ফারুককে বিয়ে করে। এদের নিকট থেকে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। ইতির বয়ফ্রেন্ড আবির, অন্তু, বাকাল, পারভেজ, জীবন, তুহিন, শাকিল, রফিক, সাইফুল, ফারুক, সোহেল। ইতির সুন্দর চেহারায়, মিষ্টি ভাষায় কথা বলে নিজেকে কুমারী ও কলেজ স্টুডেন্ট পরিচয় দেয়। প্রথম স্বামীর ওরসজাত তিনটি বাচ্চা এব্রোশন করে নষ্ট করে ফেলে। স্বামীর নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার কারণে তার বিরুদ্ধে তার স্বামী ৩১৩, ৩৮০, ৪২০, ৪০৬, ৩৮৫ ধারায় মামলা করেছে। যাহার নং-সিআর-১০৮-২০১৭ইং বিচারাধীন রয়েছে। ইতি সাভারের মাদক ও নারী প্রাচারের ৪২ মামলার আসামী আতাবুর, বোন সুমি, লিপি, দিপালী ও সাবু মাদক মামলার আসামীদের সাথে রাজশাহী গোদাগাড়ী থেকে আতাউর কাছ থেকে হিরোইন, কক্সবাজার থেকে গিয়াসের মাধ্যমে ইয়াবা সহ অন্যান্য মাদক ব্যবসা করতেছে। সাভার, টঙ্গি, কাশিমপুর ও কেরানীগঞ্জ কারাগারে, মোহাম্মদপুর, বিহারী ক্যাম্প, বেড়িবাধ, ডেমরা কাচপুর, গাজীপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় ইতি, লিপি, দিপালী, সুমি, সামাদ, রুবি এই চক্রটি মাদক ব্যবসা করে থাকে। লিপি, সুমি, দিপালী ও রুবি বেগম মাদক ও নারী পাচার ব্যবসা করে যাচ্ছে। দিপালী নারী পাচার মামলায় ১৩ বছর সাজা হলে ৭ বছর সাজা খেটে জামিনে আসে। কোর্ট, থানা, পুলিশ, ডিবি, মাস্তান এই সব কিছু টেকেল দিচ্ছে, এডভোকেট নুরুরজ্জামান। নুরুরজামান নিজেকে সুপ্রীম কোর্টের এডঃ পরিচয় দেয় এবং বলে ব্যারিষ্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার চেম্বারে বসে। খোজখরর নিয়ে জানা যায়, নুরুরজামান হাই কোর্ট ও সুপ্রীম তালিকাভুক্ত কোন আইনজীবি নয় এবং ব্যারিষ্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার চেম্বারে তার কোন অবস্থান নেই। তাহারা এডঃ নুরুরজামানকে চিনেন না। নুরুরজামান ঢাকার উত্তরখানে ১টি বাড়ী, মোহাম্মদপুরে ১টি, পাবনায় ১টি ও নারায়নগঞ্জে ১টি মোট ৪ টি বাড়ীর মালিক। নুরুরজামান এত টাকার মালিক কিভাবে হয়েছেন এবং কত টাকা আয়কর দিচ্ছে? বনানী, মহাখালী ও গুলশানের নামী-দামী আবাসিক হোটেল ও গেষ্ট হাউজে সবুজ ও চঞ্চলার মাধ্যমে ইতি দেহ ব্যবসা করে আসছে। প্রথম স্বামী এর প্রতিবাদ করলে এডভোকেট নুরুরজামান, ইতি ও লিপি নারী নির্যাতন মামলার ভয়ভীতি দেখায়। ইতির বাবা সামাদ গাইবান্ধা, সাদুল্যাপুরের ফরিদপুর গ্রামের হাকিমুদ্দিনের ছেলে। সামাদের প্রথম স্ত্রী ও তিন ছেলে, জাহাঙ্গীর, আলমগীর, জাকির, মেয়ে সায়মাকে রেখে দ্বিতীয় বিয়ে করে রুবি বেগমকে। রুবি বেগমের ৫ মেয়ে। সামাদ তার আপন ভাইয়ের মেয়েকে রেপ করলে গ্রাম্য সালিশে তাকে জুতাপেটা করে গ্রাম ছাড়া করে। রুবি বেগমকে নিয়ে ২৩ বছর আগে ঢাকায় চলে আসে। ঢাকায় এসে দারোয়ানের চাকুরী নেয়। সাহাবুদ্দিন সবুজ ঢাকা কালা চাঁদপুররের ৮৬/ক, পশ্চিম পাড়া, পানি পাম্পের নিকট মৃত আফির উদ্দিনের ছেলে। রুবি বেগম তার ৫ মেয়ে ও বোনের ১ মেয়ে স্বপ্নাকে নিয়ে কালা চাঁদপুরে সবুজের বাড়ীরপার্শ্বে ভাড়াটিয়া হিসাবে থাকতো। সুন্দরি রুবি বেগমের সাথে পরিচয় হওয়ার পর সবুজের সাথে শারিরিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরবর্তীতে রুবি বেগমের বোনের মেয়ে স্বপ্নাকে সবুজ বিয়ে করে। তারপর রুবি বেগমের মেজো মেয়ে শাপলার ২ বাচ্চা রেখে শাপলাকে ৭ ভরি স্বর্ণ সহ স্বামীর বাড়ী থেকে রুবি বেগম, জামাল ও সবুজ যোগসাজসে নিয়ে এসে স্বর্ণ আত্মসাৎ করে। পরবর্তীতে শাপলাকে সবুজ বিয়ে করার প্রস্তাব দিলে শাপলা পালিয়ে গিয়ে মাদক ব্যবসায়ী সাবুকে বিয়ে করে। রুবি বেগমের বড় মেয়ে চায়নার ১ বাচ্চা রেখে রুবি বেগম ও সবুজ চায়নাকে যোগসাজসে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে চায়নাকে সবুজ বিয়ের প্রস্তাব দিলে চায়না পালিয়ে যায়। তারপর রুবি বেগমের সেজো মেয়ে আয়শা বেগম চঞ্জলার স্বামীকে ভয়ভীতি দেখায়ে চঞ্জলাকে স্বামীর ঘর থেকে নিয়ে এসে সবুজ চঞ্চলাকে বিয়ে করে। তারপরে রুবি বেগমের ৪ নং মেয়ে সুমিকেও সবুজ বিয়ে করে। সবুজের কালা চাঁদপুরের বাসায় গিয়ে কলেজ পড়–য়া মেয়ে আশাকে সবুজের পরিচয় জিজ্ঞেস করলে আশা সবুজ কে বাবা বলে অস্বীকার করে। বর্তমানে সবুজ বিভিন্ন কোম্পানীর জমি কিনে দেওয়ার কথা বলে কোম্পানীর ভিজিটিং কার্ড নিয়ে এসে সুন্দরী ইতিকে দিয়ে ব্যাকমেইলিং করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। জামাল এক সময়ে রিক্সা চালাত, বাদাম বিক্রি করতো, পরবর্তীতে টেম্পুর হেলপারি করে, টেম্পুর ড্রাইভার, প্রাইভেট কারের ড্রাইভার। জামালের অষ্টম শ্রেণীর পড়–য়া সুন্দরী মেয়ে জেরিন কে বিয়ে দিয়ে ১০ ভরি স্বর্ণ সহ স্বামীর বাড়ী থেকে নিয়ে এসে জামাল জেরিনের স্বামীকে ডির্ভোস দেয়। আতাবুর এক সময়ে লোকাল বাসের ড্রাইভার ছিলো। সাভার, হেমায়েতপুর নিমের টেকের মাদক ব্যবসায়ী কালার ভাতিজা। বর্তমানে মাদক ও নারী পাচারের ৪২ মামলার আসামী এবং বর্তমানে সে কারাগারে রয়েছে। আতাবুরের স্ত্রী হাছনা, দিপালী, লিপির মা, মেয়ে লিপি, স্মৃতি, সুমি, ইতি এরা সবাই মাদক ও নারী পাচার ব্যবসায় জড়িত। টঙ্গী ও সাভার থানার কিছু পুলিশ অফিসার এবং টঙ্গী কলেজ গেটের বনমালা রোডের হাসেম মাদবরের ছেলে জাকির মোল্লা মাদক ব্যবসায় সহযোগিতা করে আসছে। অনুসন্ধানে আরো অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে। চলবে….