১৫ অক্টোবর’২৪ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক এ্যাসোসিয়েশন (বিআরজেএ)’র আয়োজনে আধিপত্য ও অনির্বাচিত শাসন প্রতিবাদ করায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সহ সকল আধিপত্যবাদ বিরোধী দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেতাকর্মী ,আমার দেশ সম্পাদক প্রকৌশলী ড. মাহমুদুর রহমান, দৈনিক সংগ্রাম এর সম্পাদক আবুল আসাদ সহ সদ্য ইন্তেকাল করা বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)’র সভাপতি মরহুম রুহুল আমিন গাজী সহ সকল সাংবাদিকদের নামে প্রতিবাদ নিয়ন্ত্রন করতে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, সাংবাদিক দম্পতি সাগর—রুনী সহ সকল হত্যার বিচার, গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রনে লক্ষে যে সকল গণমাধ্যম বন্ধ করেছে সেই আদেশ প্রত্যাহার করা আশু প্রয়োজন। সকল রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী সংগঠনের সাথে অšর্Íর্বতীকালীন সরকারের নিয়মিত বৈঠক হওয়া উচিৎ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বিএনপি আধিপত্যবাদ মুক্ত জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে বিশ্বাসী শুধু নয়, সহযোগীতা করতে চায়। তিনি বলেন, গত ১৭ বছর আগে ফ্যাসিষ্ট শাসকরা ক্ষমতায় এসে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের বিভিন্ন দপ্তর তদন্ত করে যে মামলা করে তা প্রত্যাহার করে নেয়। অথচ গণতন্ত্র আর আধিপত্যবাদ মুক্ত বাংলাদেশের শাসন নিশ্চিত করতে ফ্যাসিষ্ট শাসনের কর্মকান্ডের বিরোধীতা করায় মামলা আর সাজা দিয়ে আটক রাখার কৌশল থেকে এখনো অব্যাহতি বা মামলা প্রত্যাহার করা হয় নাই। সাধারণ নেতাকর্মী ও সাংবাদিকদের এখনো আদালতে যেতে হয়।
জনাব দুদু আরো বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান সহ সকল রাজনৈতিক ও সাংবাদিকদের নামে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। তিনি বলেন, জাতি ড. ইউনুস সহ অন্তর্বতীকালীন সরকারের শাসনকালে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের পথ প্রশস্থ করতে সকল ফ্যাসিষ্ট শাসনের নিয়ন্ত্রন কর্মকান্ড প্রত্যাহার চায়।
প্রধান আলোচক খায়রুল কবীর খোকন তাঁর বক্তব্যে বলেন, ফ্যাসিষ্ট শাসনের অবসান করতে গত ১৭ বছরে যারা কারাগার, কিংবা পলাতক হিসাবে জীবন—যাপন করেছে তার এখনো হয়রানি থেকে মুক্ত হননি। ফ্যাসিষ্ট শাসকের বিদায়ের পর জবরদখলকৃত আইন আর মামলা পৃথিবীর কোথাও অব্যাহত থাকে নাই। তিনি বলেন, সকল অনিয়ম দূর করতে হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক এসোসিয়েশন (বিআরজেএ)’র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাখাওয়াৎ হোসেন ইবনে মঈন চৌধুরী বলেন, ফ্যাসিষ্ট শাসক পলায়নের পর তাদের পক্ষে নানা গুজব প্রচার করতে শুরু করেছে। সকল দেশপ্রেমিক মজলুম রাজনৈতিক ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দকে সজাগ থাকতে যাতে নৈতিক বিপর্যয় ঘটিয়ে বিভক্তি সৃষ্টি করতে না পারে। তিনি বলেন, পৃথিবীর কোথাও ফ্যাসিষ্ট শাসনের বিদায়ের পর জনগণের প্রতিরোধের জন্যে জুলুম নিপীড়ন ও নিয়ন্ত্রন করার কৌশল আর মামলা ফ্যাসিষ্ট শাসনের অবসানের পর সেগুলোও অপসারণ হয়ে যায়। তাই আর বিলম্ব না করে সব কার্যক্রম অবৈধ করে গেজেট দিতে হবে। বন্ধ মিডিয়া খুলে দেওয়া আর মফস্বল থেকে যে সকল সংবাদ পত্র প্রকাশ হচ্ছে তাদের মিডিয়া ভুক্ত করা হোক। যে সকল দৈনিক ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয় এবং সারাদেশে পাওয়া যায় তাদের সিরিয়াল ও বিজ্ঞাপন রেট পুনর্বিবেচনা করতে হবে। তিনি বলেন, সকল ফ্যাসিষ্ট আমলের নিয়ন্ত্রিত বিষয়গুলো থেকে মুক্ত হতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাথে মজুলুম রাজনৈতিক দল আর সাংবাদিক সংগঠন গুলোর সাথে নিয়মিত আলোচনা করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক এসোসিয়েশন (বিআরজেএ)’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব শেখ মোঃ বদরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব নাজিম উদ্দিন আলম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)’র সাবেক সিনিয়র সহ—সভাপতি মোঃ মোদাব্বের হোসেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, সাবেক ছাত্রনেতা ও বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা মোঃ শাহজাহান মিয়া , সাংবাদিক আশরাফ অপু, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম. রাজিবুল ইসলাম তালুকদার বিন্দু, সহ—সাধারণ সম্পাদক এড. রুহুল আমিন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ, জাতীয়তাবাদী আইন ছাত্র ফোরাম আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আমান উল্লাহ আমান প্রমুখ।
আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলার চোখ’র সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম অপু, বিআরজেএ’র সাবেক সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ভিপি সরকার মিজানুর রহমান, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক সম্পাদক তাসনোভা তুশিন প্রমুখ।
0 22 2 minutes read