টঙ্গীর চাঁদাবাজির বেপরোয়া আমান- আকবর সিন্ডিকেট
টঙ্গীর এলাকায় ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডে ময়লা সংগ্রহের নামে চাঁদাবাজির ঘটনায় ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি আমান গাজী এবং যুবদল নেতা আকবর হোসেন ফারুকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, করেন আমান গাজী ও আকবর হোসেন ফারুক প্রভাবশালী অবস্থান থেকে এই চাঁদাবাজি পরিচালনা করছেন, ময়লা অপসারণের নামে চাঁদাবাজির করা হচ্ছে, যা স্থানীয়দের জন্য চরম ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অভিযোগ অনুসারে, এই প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় বাসিন্দাদের কাছ থেকে নিয়মিতভাবে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে যাচ্ছেন।বাসিন্দারা দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ এবং এই অবৈধ চাঁদাবাজি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন, যাতে তারা এই হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে পারে।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন হতে কোন ইজারা না দিলেও টঙ্গীর ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের দরবেশ বাবাখ্যাত আমান গাজীর আশীর্বাদে ময়লার ভাগাড় পাইয়ে দেওয়ার জন্য ৪ লক্ষ ১৬০০০ টাকা হাতিয়ে নেন আমান গাজী ও আকবর হোসেন ফারুক। এ নিয়ে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘোর পাক খাচ্ছে।
অন্য দিকে আমান গাজী টঙ্গীর ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের ডিস ও ইন্টারনেট ব্যবসা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার নামে।
ডিস ও ইন্টার ব্যবসা দখলে নেওয়া বিষয়ে আমান গাজী প্রতিবেদককে জানান, আমি আমি ১৯৯২ সাল থেকে ইন্টারনেট ব্যবসা করে আসছি। আমি আমার ব্যবসা দখল করছি।এর আগে যারা ছিলেন তাদের বিষয় বললে তিনি কোন কথা বলেননি।
অন্য দিকে আকবর হোসেন ফারুক নামে আহসানুল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়াম থেকে আনুমানিক এক,শ গজ দুরে বেশ কয়েকটি গাড়ী কাউন্টার জবর দখল করেন। গাজীপুরের যেকোন টেন্ডার বা নিলাম দরপত্র দিতে হলে ৫৬ নং ওয়ার্ড যুবদল মূল দল সাথে যোগাযোগ করতে হবে না হলে কেউ নিলাম বা টেন্ডার পাবেনা এবং টাকা তাদের কাছে আগে জমা দিতে হবে নিলাম পাওয়ার জন্য ।
আল বারাকা গাড়ীর জৈনক এক ব্যক্তি প্রতিবেদককে বলেন, আকবর ভাই বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী নিয়ে হঠাৎ কাউন্টার গুলোতে এলো পাথরি হামলা চালায়। এতে করে কাউন্টারের যাত্রীরা ও কাউন্টার স্টাফ গুলো উপর হামলা চালায়।
আহাদ নামের অন্য এক পরিবহন ব্যবসায়ী জানান,আকবর ভাইকে চাঁদা না দিলে আমরা এখানে ব্যবসা করতে পারবো না। তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাদের ওপর নানা হামলা করবে তিনি
জানা যায় আকবর হোসেন ফারুক ছিলেন জাতীয় পার্টির নেতা বর্তমানে স্বৈরাচার হাসিনা অধঃপতনের পর ফারুকের মতো হাইব্রিড নেতারা দলে এসে পারি জমায়।
উপযুক্ত ময়লা খেকো আকবর হোসেন ফারুক মুঠোফোনে প্রতিবেদককে জানান, ময়লা নিয়ে চাঁদাবাজি যেন না হয়। সেজন্য আমরা বসে সমঝোতার মাধ্যমে গেছি। চার লাখ টাকার চাঁদাবাজির বিষয় জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান। কাউন্টার জবরদখলের বিষয়ে তিনি বলেন আমার মার্কেটে কাউন্টার ছিল তাই আমি দখল করে নিয়েছি।