পাঁচমিশালি

সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমুল্য বাড়িয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের ধান্ধা ভুলে যান-শাহজাহান চৌধুরী

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য আলহাজ শাহজাহান চৌধুরী মন্তব্য করেছেন যে, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে কিছু লোক সমাজের অস্থিরতার সুযোগ নিচ্ছে। তিনি বলেছেন, এ ধরনের ধান্দা ভুলে যাওয়ার সময় এসেছে। 

১৯ অক্টোবর চট্টগ্রামের টেকনিক্যাল মোড়ে ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির অভিষেক ও মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আয়োজিত এক মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শাহজাহান চৌধুরী বলেন, কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঘোলা করে নিজেদের সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে। তারা সাইনবোর্ড বদলে চাঁদাবাজি এবং ধান্ধাবাজি চালিয়ে দেশের অস্থিতিশীল অবস্থা থেকে লাভবান হতে চায়। তিনি তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, এ ধরনের প্রচেষ্টা পরিত্যাগ করা উচিত। দেশে দ্রব্যমূল্য কমিয়ে আনা হচ্ছে এবং চাঁদাবাজ ও ধান্ধাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এই কুচক্রিমহল দেশের সৈরাচারী শক্তিকে পুনরায় ক্ষমতায় আনার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে, যা জনগণের স্বার্থবিরোধী। তাই এসব কুচক্রিদের ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন টেকনিক্যাল ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি এবং পাঁচলাইশ থানা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল হাসান রুমি। 

প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড. মাওলানা বিএম মফিজুর রহমান আজহারী। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর রাষ্ট্রব্যবস্থার আদর্শ অনুসরণ ছাড়া একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠন সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ইসলামের সঠিক অনুকরণ এবং অনুসরণই কেবল বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হতে পারে।

মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী এবং ফোরাম অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার জয়নুল আবেদিন। তারা বলেন, দেশে সুষ্ঠু সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য রাসুলুল্লাহ (সা.) এর নীতি অনুসরণ অত্যন্ত জরুরি।

শহীদ উল্লাহ তালুকদারের সঞ্চালনায় মাহফিলে বিশেষ ওয়ায়েজ হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাওলানা মুফিজুর রহমান, এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শাখার সভাপতি মুহাম্মদ জাকিরুল ইসলাম।

স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন হাসেম সওদাগর, মোহাম্মদ আজম, সোহেল সওদাগর, সেলিম কমান্ডার, ফরিদ সওদাগর, সাদেক মিয়া এবং ডাক্তার সিরাজুল ইসলাম।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button