সাবেক এম্পি শম্ভু কে ম্যানেজ করে ই হয়েছিলেন বরগুনা ডিভি প্রধান।
![](https://aparadhbichitra.com/wp-content/uploads/2024/12/df5211d7e5accaff98965c1d638c824e-6411feb0993d6-780x470.jpg)
১৫ মার্চ ২০২৩ সালের একটি নিউজ তুলে ধরা হলো।
![](https://aparadhbichitra.com/wp-content/uploads/2024/12/Screenshot_20241204-133435-622x1024.png)
বরগুনার বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বশির আলমের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ ও অসদাচরণের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার এক প্রবাসীর স্ত্রী বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজির কাছে এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে ঘুষ গ্রহণ ও অসদাচরণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্ট থানার ওই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
অভিযোগকারী বামনা উপজেলার ৪ নম্বর ডৌয়াতলা ইউনিয়নের দক্ষিণ ডৌয়াতলা গ্রামের প্রবাসী আলী আকবর খানের স্ত্রী আকলীমা বেগম।
অভিযোগে আকলিমা বেগম উল্লেখ করেন, গত শনিবার (১১ মার্চ) বেলা ৪টার দিকে বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বশির আলম তাঁর (আকলিমা বেগমের) কলেজ পড়ুয়া ছেলে রাফিজ (১৯) খানকে পুলিশ দিয়ে থানায় ধরে নিয়ে যান। খবর পেয়ে ছেলের বিষয়ে জানতে তিনি থানায় গিয়ে ওসি মোহাম্মদ বশিরুল আলমের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় ওসি আকলিমা বেগমকে জানান, রাফিজ রামনা ইউনিয়নে চারটি খড়ের গাদায় আগুন দিয়েছে। তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে থানায় আনা হয়েছে। রাফিজকে ছাড়িয়ে নিতে তাঁর কাছে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন ওসি বশিরুল আলম। পরে ওই দিন রাত ১১টায় ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে ছেলেকে ছাড়িয়ে নেন আকলিমা বেগম।
আকলিমা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ছেলে রাফিজ খান খুবই অসুস্থ। কিছুদিন আগে ওর হাঁটুতে অপারেশন হয়েছে। ওর হাঁটতে খুবই সমস্যা হয়। গত শনিবার মিথ্যা অভিযোগে আমাকে ও আমার ছেলেকে থানায় ডেকে নেন ওসি। আমি থানায় গেলে ওসি আমার সঙ্গে অনেক খারাপ আচরণ করেন এবং ছেলেকে মারধর করেন। আমার ছেলেকে কোর্টে চালান দেবে এই ভয় দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। পরে ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে আমার ছেলেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসি।’ এদিকে অভিযোগের বিষয়ে বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বশির আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘুষ নেওয়া কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা। রাফিজকে আমি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডেকে আনি, পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ডিআইজি মহোদয়ের কাছে অভিযোগের বিষয়ে আমি জানি না।’এ বিষয়ে বরগুনা জেলা পুলিশ সুপার মো. আবদুস ছালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এ রকম অভিযোগ উঠলে সেটা দুঃখজনক।’ পুলিশের বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি মো. আকতারুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
বর্তমানে তিনি দায়িত্ব পালন করছে বরগুনা ডিভি কার্যলয়ের ওসি হিসেবে, অনুসন্ধান চলমান আছে