
মইনুল ইসলাম মিলন: এস.পি. বিএন টু অর্থাৎ স্পশোল সকিউিরিিট অ্যান্ড প্রটকেশন ব্যাটালয়িন। বিশেষ নিরাপত্তা ও সুরক্ষা ব্যাটালিয়ন (এসপিবিএন) বাংলাদেশ পুলিশের একটি বিশেষ শাখা। (১) এই বিশেষ ব্যাটালিয়নটি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, এবং বিদেশী মাননীয় ভিজিটরসহ সরকারের দ্বারা ভিআইপি হিসাবে মনোনীত কোনো ব্যক্তিকে সুরক্ষা প্রদানের জন্য তৈরি করা হয়। এই বিশেষ পুলিশ বাহিনী বিভিন্ন ভিআইপিদের অফিস কার্যালয় ও তাদের বাসস্থান এবং তাদের অনুষ্ঠানের স্থানগুলির নিরাপত্তা প্রদানের কাজে নিয়োজিত থাকে। এটি স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স, স্পেশাল ব্রাঞ্চ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এবং প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের পাশাপাশি কাজ করে। নাম না প্রকাশ করার শর্তে একাধিক বিশ্বস্ত সুত্র এ তথ্য জাতীয় সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রাকে জানিয়েছেন। সুত্র মতে সিও খান মুহান্মদ রোজোয়ান ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের সময় বেরিফিকেশন করে তার রাজনৈতিক মতাদর্শ যাচাই বাচাই করে তাকে তাকে সিও হিসেবে নিয়োগ করা হয়। পরিতাপের বিষয় এই যে, খুনী হাসিনা সরকারের পতনের পর পুলিশের নেতত্ব পর্যায়ে ব্যপক রদ-বদল হয়েছে। কিন্তু এস.পি. বি এন টু এর সিও রেজোয়ানের কোন প্রকার পরিবর্তন হয়নি। বিষয়টি নিয়ে জনমনে ও একাধিক রাজনৈতিক মহলে ব্যপক গুঞ্জন শুরু হয়েছে। বর্তমানে এই বহিনীর সিও খুনী হাসিনা কর্তৃক নিয়োগকৃত ও বিশেষ ভাবে যাচাইকৃক সেই ব্যক্তি কিভাবে প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা ডিউটি করে ? এতে করে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের যে তথ্য খুনি হাসিনার কাছে ফাঁস হয়ে যেতে পারে এমন আশংকা করেছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ গন। এই খুনী হাসিনার দোসর অন্য যে কোন যায়গায় চাকুরী করুক তাতে আপত্তি নেই কিন্তু প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের বহিষ্ঠেনী নিরাপত্তার দায়িত্বে সে কি ভাবে থাকতে পারে? এমন প্রশ্ন ঘুর পাক খাচ্ছে জনমনে। নাম প্রকাশে অনিইচ্ছুক তার ডিপার্টমেন্টাল সুত্র জানায় খান মুহান্মদ রেজোয়ান, পিপিএম-সেবা, বিপি-৭৪০১০২০৮৬৮, অধিনায়ক, অ্য্যাডিশনাল ডি আই জি, স্পোশাল সিকিউরিটি এন্ড প্রটেকশন ব্যাটালিয়ান-২,ঢাকা-খুনী হাসিনা সরকারের সময় একই দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। ৫ আগস্টের পর গণভবনে যে সকল বহিনী নিরাপত্তা দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল তাদের প্রধানরা হয় পলাতক না হয় জেলখানায় অথবা চাকুরীথেকে অবসরে রয়েছেন শুধু এসপিবিএন টু এর অধিনায়ক রয়েছেন বহাল তবিয়তে। জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে অন্যত্র বদলি কিংবা অপসারন দাবি করেন জনগন। এ বিষয়ে বিভিন্ন জন মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায় যে এখনো তাকে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রাখাটা কতটা যৌক্তিক তাই বিষয়টির গুরত্ব বিবেচনায় এই সিও এর সঠিক তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহন অতীব জরুরী।