অব্যাবস্থাপনাঅর্থনীতি

ভ্যাট-ট্যাক্সের জাঁতাকলে বিস্কুটের প্যাকেট আর কত ছোট হবে, সরকারকে ব্যবসায়ীর প্রশ্ন

বাংলাদেশ অটো বিস্কুট অ্যান্ড ব্রেড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শফিকুর রহমান ভূঁইয়া বলেছেন, ভ্যাট-ট্যাক্সের জাঁতাকলে আর কত বিস্কুটের প্যাকেট ছোট করবো আমরা। আর কতো প্যাকেটে বিস্কুটের পরিমাণ কমাবো। এভাবে ছোট আর কমাতে কমাতে খালি প্যাকেট দিতে হবে।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) কার্যালয়ে অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগো নিউজ আয়োজিত ‘ভোক্তার কাঁধে বাড়তি করের বোঝা: উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা হয়। সেখানেই সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, নিম্নআয়ের মানুষের প্রধান খাবারে আর ভ্যাট-ট্যাক্স বসাবেন না।

জাগো নিউজ সম্পাদক কে এম জিয়াউল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অর্থনীতিবিদ এবং সেন্টার ফল পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. এম মাসরুর রিয়াজ, অর্থনীতিবিদ ড. এম এম আকাশ, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী, বিআইডিএস এর সাবেক মহাপরিচালক ড. মুস্তফা কে মুজেরী, রাজস্ব বোর্ডের সাবেক সদস্য রেজাউল হাসান, বিকেএমইএ এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি আশরাফ আহমেদ প্রমুখ।

শফিকুর রহমান ভুইয়া বলেন, দেশের নিম্নআয়ের পরিবারগুলোর জন্য এটি পুষ্টিকর খাবার। ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে প্রস্তুতকারকরা আর কম দামে বিস্কুট উৎপাদন করতে পারবেন না। আর কতো ছোট করতে হবে, আর কতো বিস্কুটের পরিমাণ কমাতে হবে। এর ফলে নিম্নআয়ের অপরিহার্য উৎস বন্ধ হয়ে যাবে, ভ্যাট-বাড়লে খালি প্যাকেট দিতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা গত এক মাস ধরে আন্দোলন করছি ভ্যাট কমানোর জন্য। এখনও মাঠে আছি। আশা করেছিলাম ড. ইউনূস সরকার এসে আমাদের বিষয়টা দেখবেন কিন্তু সে আশাও ফিকে হয়ে যাচ্ছে। খাবার পণ্যে ভ্যাট মুক্ত থাকা দরকার। অথচ উন্নত দেশ ইংল্যান্ডে খাবার পণ্যে ভ্যাট মুক্ত।

তিনি বলেন, মূল্য সংযোজন কর এবং সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫-এ বিস্কুটসহ কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্যসামগ্রীর ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এখন যে প্রতিষ্ঠান ১০ কোটি টাকা ভ্যাট দিচ্ছেন এর ফলে তাকে ৩০ কোটি টাকা দিতে হবে। তাহলে সে শিল্প কীভাবে টিকবে, প্রশ্ন রাখেন তিনি। দেশের মধ্যে যারা ভ্যাট দেন তাদের কাছেই এর বোঝা চাপানো হচ্ছে। অথচ একটা বড় অংশ ভ্যাট নেটের বাইরে। আমাদের নেট বাড়ানো উচিত। একইসঙ্গে অতি প্রয়োজনীয় খাবার পণ্যে ভ্যাট কমানো জরুরি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button