অপরাধদুর্নীতি

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার কাছে আবেদন, ইসলামি ফাউন্ডেশনের সাবেক উপপরিচালক মীর মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ ও তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিবাহ বর্হিভুত সম্পকের্র চাঞ্চল্যকর অভিযোগ

অপরাধ বিচিত্রা: ইসলামি ফাউন্ডেশনের সাবেক উপপরিচালক মীর মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ ও তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিবাহ বর্হিভুত সম্পর্ক করার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন মাননীয় প্রধান উপদেষ্ঠা বরাবর এবং অনুলিপি দিয়েছেন মানীয় স্বরাষ্ট উপদেষ্টা, ধর্ম উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সচিব, ধর্ম মন্ত্রনালয়ের সচিব, আইজিপি, মহাপরিচালক ডিজিএফআই, মহাপরিচালক এনএসআই, এডিশনাল আইজি এসবি মালিবাগ, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, মহাপরিচালক ইসলামি ফাউন্ডেশন, অতিরিক্ত সচিব ধর্ম মন্ত্রনালয়, পুলিশ কমিশনার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, ধর্ম উপদেষ্টার একান্ত সচিব, প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিব জেলা প্রশাসক পার্বত্য জেলা বান্দরবন, জেলা প্রশাসক ফেনি, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিব, ইসলামি ফাউন্ডেশনের সচিব, পরিচালক ইসলামি ফাউন্ডেশন, সকল দৈনিকের সম্পাদক, সকল টেলিভিষন এর সম্পাদক এর বরাবর উল্লেখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।

অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেছেন জান্নাতুল নাঈম মেরী, যিনি সেলাই প্রশিক্ষিা হিসাবে সুয়ালক সদর উপকেন্দ্র বসিলামিক মিশন ইসলামী ফাউন্ডেশন বান্দরবনে কর্মরত রয়েছেন।

১ অক্টোবর ২০২৪ ইং তারিখে এ অভিযোগ পত্রটি দাখিল করা হয়। অভিযোগে উল্লেখ করেন জান্নাতল নাঈম মেরী ইসলামি মিশনের মাধ্যমে পরিচালিত সেলাই পশিক্ষন কেন্দ্রের সেলাই প্রশিক্ষিকা হিসাবে এবং বান্দরবন বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ তে অধ্যায়নরত রয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেন আমি নিরিহ গরীব ও অসহায় এবং অসচ্ছল পরিবারের মেয়ে। জনাব মীর মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ ইসলামিক ফাউন্ডেশন বান্দরবন জেলা কার্যালয়ে উপপরিচালক হিসাবে যোগদান করেন। যোগদানের কিছুদিন পর বান্দরবন সদর সুয়ালক ইসলামিক মিশন উপকেন্দ্র সেলাই প্রশিক্ষন কেন্দ্র থেকে অফিসিয়াল কাজে ইসলামিক ফাউন্ডেশন জেলা কার্যালয়ে যাওয়ার পর উপপরিচালক মীর মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ এর নাথে আমার পরিচয় হয় এমনিতেই স্বাভাবিক ভাবে। তিনি জেলার প্রধান হিসাবে অফিসিয়ালী পরিচয় করতে হয়। পরক্ষনেই আমি উপপরিচালক রুমে পরিচতি হওয়ার জন্য গেলে  তিনি আমার আমার সাথে তার রুমে প্রায় ৩-৪ ঘন্টা ব্যাপি আলঅপ আলোচনা করেন। এক পর্যায়ে তিনি আমার নাম্বার নেন। এরপর থেকে আমার হোয়াটসএপে ইমোতে ও ম্যাসেনজারে এবং ভিডিও কলে নিয়মিত কল করেন এক পর্যায়ে নিয়মিত আলাপচারিতায় সেক্সুয়েল ও অঙ্গভঙি খোসগল্প বিয়ের প্রস্তার দিয়ে মারিরীক সম্পর্ক স্থাপন করতে বাধ্য করেন। এই ভাবে বিবাহের আশ্বাস দিয়ে সরকারী চাকুরী নিয়মিত করনের আশ্বাস দিয়ে দিনের পর দিন মাসের পর মাস বছরের পর বছর  প্রায় ৩ বছর বিবাহের প্ররোচনা, প্রলোভন ও আশ্বাস দিয়ে আমাকে অসংখ্যকবার ধর্ষন করেন। আমি যখন তার বিবাহের নামে মিথ্যা আশ্বাস ও প্রতারনা বুঝতে পারি তখন আমি তাকে বিবাহের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে গত ১০ মার্চ ২০২২ ইং তার অফিস কক্ষ থেকে আমাকে বের করে দেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন।

মীর মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ ফ্যাসিস্ট এর দোষর। ছবি কথা বলে এর (বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগ) ফ্যাসিষ্ট সরকারে জঙ্গি নাটক বানানোর কারিগর ছাত্র জনতার আন্দোলনের হাজার হাজার ছাত্র জনতার আন্দোলনে গন হত্যাকারী মনিরুল।

তিনি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার আবেদনে আরো বলেন আমি আমার ইসলামি মিশন পরিচালক ও ইসলামি মিশন সুয়ালক উপকেন্দ্রের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের জানাই। তারা আমাকে প্রধান কার্যালয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর জন্য পরামর্শ দেন। আমি তাদের পরামর্শ মোতাবেক প্রধান কার্যালয়ে জানানোর পর প্রধান কার্যালয় থেকে তদন্তের নামে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক বর্তমানে দ্বীনি দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগ বায়তুল মোক্র্রম এর পরিচালক আওয়ামী সরকারের আমলে সুয়োগ সুবিধা ভোগকারী আওয়ামীলীগের দালালকারী এবং বারবার গুরুত্বপুর্ন পদগুলে বাগিয়ে নিয়ে পোষ্টিং ও পদোন্নতি নেয়া দুর্নীতিবাজ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গনহত্যাকারী আওয়ামী দোষর জনাব তৌহিদুল আনোয়ার বিষয়টি প্রভাবিত করে এবং আমাকে বারবার হেনস্থা করে ও হেরসমন্টে করে এবং মামলা হামলা করার হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বার বার অভিযুক্ত তৌহিদুল আনোয়ার এবং মীর মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহকে তাদের মোবাইলে কল করলে তারা জানিয়েছেন মহাপরিচালক তাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন যে কোন গন মাধ্যম সাংবাদিকের সাথে যেন কোন কথা না বলে। বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য মহাপরিচালক এর একান্ত সচিব বদিউজ্জামন এর মোবাইলে কল করে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি জানান অভিযোগ পত্রটি কর্তৃপক্ষ পেয়েছে। এবং প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে মহাপরিচালক অভিযুক্ত ব্যক্তিদেরকে কোন গন মাধ্যমের সাংবাদিকের সাথে কথা বলা নিষেধ করেছেন মর্মে কোন তথ্য তার জানা নেই। মহাপরিচালক বিদেশে যাচ্ছেন। তিনি ১৬ তারিখ এর পর দেশে আসলে এ বিষয়ে কথা বলা যাবে বলে আশ্বস্ত করেছেন। এ বিষয়ে অপরাধ বিচিত্রার অনুসন্ধান চলছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button