পুলিশের গাড়ি নিয়ে ডাকাতি, বাহিনীর ২ কর্মকর্তা সহ গ্রেফতার ৫, কে এই সিয়াদাত রাজ?

নূর হোসেন ইমাম এবং নাবিলা শারমিন : আসল পুলিশ’ পরিচয়ে অনেক অনৈতিক কর্মকাণ্ডের পর দেখা গেছে দুর্বৃত্তের সেই পরিচয়টি ছিল নকল। কিন্তু এবার ঘটলো এর উল্টো। আসল পরিচয় দিয়ে ডাকাতির পর দেখা গেলো দুর্বৃত্ত সত্যিই আসল পুলিশ। পুলিশের গাড়ি, হাতকড়া, পোশাক কোনোটিই নকল নয়। দেশি বিভীষণের প্রতারণায়, আসল পুলিশের সহযোগিতায় ডাকাতির এমন এক ঘটনার পর অনেককেই পাকড়াও করা হয়েছে।
রূপগঞ্জের পূর্বাচলে পুলিশ ও নৌবাহিনীর সদস্য পরিচয়ে প্রবাসীর গাড়িতে ডাকাতি ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে চাকরিরত, চাকরিচ্যুত পুলিশসহ চাকরিচ্যুত নৌবাহিনীর সদস্য রয়েছেন। এসময় প্রবাসীর ডাকাতি হওয়া বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার (৮ মার্চ) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রূপগঞ্জের পূর্বাচল ও রাজধানীর মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন- পুলিশে হেড কোয়ার্টারের চাকরিরত পুলিশ কনস্টেবল রুবেল, বরখাস্ত হওয়া পুলিশ কনস্টেবল কাজল ইসলাম, বরখাস্ত নৌ সদস্য রিয়াজুল জান্নাত, সিয়াদাত রাজ ও রহমত আলী।প্রবাসী জসিমউদ্দিন জানান, তার বাড়ি কক্সবাজারে। দীর্ঘ দিন তিনি ও তার দুই বন্ধু সালাউদ্দিন ও শহীদ দুবাই থেকে বিভিন্ন মালামাল এনে রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় ব্যবসা করে আসছে।
দুই বছর আগে দুবাইয়ে পরিচয় হয় মিরপুর এলাকার সজিব নামে একজনের সঙ্গে। তাদের সঙ্গে সজিব ব্যবসায় যোগ দেন। জসিম জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে চার জন মালামাল নিয়ে দেশে ফেরেন। এয়ারপোর্ট থেকে গাড়ি নিয়ে ঢাকা নিউমার্কেটের উদ্দেশে রওনা হন। নিউমার্কেট বাসার নিচে পৌঁছালে পরিকল্পিতভাবে তাদের সঙ্গে আসা সজিবের সহযোগী একটি গাড়িতে আসা ৮/৯ জন পুলিশ, নৌবাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে তাদের কাছে অবৈধ মালামাল আছে দাবি করে থানায় যেতে বলে।

এ নিয়ে প্রথমে তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটির পর জোর করে তিন বন্ধু সালাউদ্দিন, জসিমউদ্দিন ও শহীদকে বিদেশ থেকে আনা স্বর্ণালঙ্কারসহ বিভিন্ন মালামালসহ পুলিশের ব্যবহৃত একটি ডাবল কেবিন পিকআপ ও একটি প্রাইভেটকারে তুলে নেয়। অন্য গাড়িতে কৌশলে পালিয়ে যায় সজিব।
জসিম জানান, তাদের থানায় না নিয়ে একটি প্রাইভেটকারে মিরপুর ও পুলিশের ব্যবহৃত ডাবল কেবিন পিকআপ পূর্বাচল ৩০০ ফিট সড়কের এক জায়গায় এনে তাদের কাছে মুক্তিপণ বাবদ ৫০ লাখ টাকা দাবি করা হয়। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের বিভিন্নভাবে হেনস্তা করেন তারা।রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ লিয়াকত আলী জানান, বিষয়টি জানাজানি হলে রাজধানী মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে ছিনতাই হওয়া বিভিন্ন মালামালসহ আটক তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
একই সঙ্গে পূর্বাচল হাবিব নগর থেকে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় পুলিশের কনস্টেবল রুবেলসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের র্যাব-১ হস্তান্তর করা হয়। তিনি জানান, উদ্ধার হওয়া মালামালের মধ্যে রয়েছে- ১৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, সাতটি ল্যাপটপ, ২৮টি মোবাইল ফোন, ৫৩ কার্টুন সিগারেট, ৫৯ কৌটা গুড়া দুধ, ৭৮ সেট থ্রি পিস, ৩৮৪ টি প্রসাধনী ক্রিম। একই সঙ্গে জব্দ করা হয় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি পুলিশে ডাবল কেবিন পিকআপ, একটি প্রাইভেটকারসহ হ্যান্ডকাপ, ওয়াকিটকি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পোশাক।
ওসি লিয়াকত বলেন, সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রটি নিজেদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে প্রবাসীদের তুলে নিয়ে তাদের মালামাল লুট করে। গ্রেপ্তার রুবেল পুলিশ হেড কেয়ারটারে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল। তিনি গাড়ি চালাতেন। ওই ডাকাতিতে তিনি পুলিশের গাড়ি নিয়ে অংশ নেন। এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তার ও লুট হওয়া বাকি মালামাল উদ্ধারে অভিযান চলছে।

এমন নিউজ আমাদের চোখে পড়লে ও এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে সিয়াদাত এর পরিচয়। সিয়াদাতের পরিচয় জানতে আমরা অনুসন্ধান শুরু করি। সিয়াদাত এর ফেসবুক আইডি ভিজিট করে দেখা যায় বাংলাদেশের বর্তমান ও আলোচিত এবং প্রভাবশালী নেতাদের সাথে একাধিক ছবি। প্রফাইলে দেখা যায় আসিফ মাহমুদ এবং নাহিদ এর সঙ্গে অনেক গুলো ছবি এছারা একাধিক ছবি রয়েছে গনঅধিকার পরিষদ এর নুরুল হক নুরু এবং রাশেদ ইসলামের সাথে এবং বিভিন্ন প্রোগ্রামে নূরুল হক নূরের সাথে খাবার খাওয়ার ভিডিও দেখা যায়।


এ ব্যাতিত বাংলাদেশের দুবাই খ্যাত নামীদামী দামী ব্যাবসায়ী আরাভ খানের সাথে ও রয়েছে এক গভীর সক্ষতা সিয়াদাত রাজের। বিলাসবহুল জীবন সিয়াদাত রাজের যা তার ফেসবুক প্রফাইল থেকে দেখা যায়। এছারা ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় বাংলাদেশের গোল্ড ব্যাবসার সাথে জড়িত এই সিয়াদাত রাজ।

এছারা ও ছবি রয়েছে জুনায়েদ সাকির সাথে এবং সাবেক অনেক এমপি ও মন্ত্রীদের সাথে। আমাদের অনুসন্ধান চলমান আছে।
