ধামরাইয়ে ধর্ষণের শালিসের টাকা আত্মসাৎ, গ্রাম্য মাতাব্বরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক | ধামরাই, ঢাকাঃ ঢাকার ধামরাই উপজেলার কুশুরা ইউনিয়নের নবগ্রাম বাজারে সংঘটিত ধর্ষণ ঘটনার পর গ্রাম্য শালিসে আদায়কৃত অর্থের বড় একটি অংশ আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, প্রায় এক মাস আগে দুনিগ্রামের সুলতানা (ছদ্মনাম) নামে এক গৃহবধূ নবগ্রামে ডা. রজ্জব আলীর বাড়িতে ধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনায় কোনও আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে ঘটনাটি নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হয়।
সালিশে ধর্ষক জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন নবগ্রাম বাজার বণিক সমিতির সভাপতি সানোয়ার হোসেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল খালেক, বাগজান গ্রামের রঙ মিস্ত্রী ছানোয়ার হোসেন, নবগ্রামের গরু ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতা সুলাইমান এবং কুশুরা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শাহীন।
অভিযোগ রয়েছে, ধর্ষণের শিকার সুলতানাকে মাত্র ৮০ হাজার টাকা দিয়ে বাকি ১ লাখ ২০ হাজার টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেন তারা। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে অভিযুক্তরা এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দেন।
এদিকে ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ জানাতে চাইলেও কাওয়ালীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। বরং তাদের উপর সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে চাপ সৃষ্টি করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নাছির উদ্দিন গোপনে ঘটনাটি মীমাংসার চেষ্টা করেন।
স্থানীয়দের অনেকে বিষয়টিকে বিচারহীনতার আরেকটি উদাহরণ হিসেবে দেখছেন এবং প্রশাসনের কার্যকর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অভিযোগ রয়েছে, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতারা সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছেন, যার ফলে ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া ভেঙে পড়েছে।