এক্সক্লুসিভ

গণমানুষের কণ্ঠভোটে’ নির্বাচিত ড. ইউনূসকে কেন ‘জনগণের নির্বাচিত’ বলে মেনে নেওয়া যাবে না?

জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে “জনগণের কণ্ঠভোটে” নির্বাচিত ড. ইউনূসকে কেন ‘জনগণের নির্বাচিত’ বলে মেনে নেওয়া যাবে না? এমন প্রশ্ন তুলেছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুল্লাহিল আমান আযমী।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র হলো “অব দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল”— জনগণের মধ্য হতে, জনগণের জন্য, জনগণের দ্বারা।

তিনি বলেন, “‘বাই দ্য পিপল’–এর ব্যাখা কী? মানুষ কিভাবে, কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন করবে, তা তো কোরআন, হাদীস, বাইবেল, তাওরাতে নেই।

ব্যালট পেপারে সীল দিয়েই ‘বাই দ্য পিপল’-এর প্রতিফলন দেখাতে হবে—এটা মানব আবিষ্কৃত পদ্ধতি। এর বিকল্প কোনো পদ্ধতি কেন হতে/থাকতে পারবে না?
ইসলামের ইতিহাসে দেখা যায়, চার খলীফার কোনো খলীফাই ব্যালট পেপারে সীল দিয়ে নির্বাচিত হননি। কিন্তু, তখনও জনমতের প্রতিফলন দেখা যায় ভিন্ন ভিন্ন ফরমে।”

“ড. ইউনূসও জনগণের দ্বারা ‘পরোক্ষভাবে নির্বাচিত’। সংসদে যদি কণ্ঠভোটে ‘হ্যাঁ/না’ জয়যুক্ত হতে পারে, তাহলে জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে ‘জনগণের কণ্ঠভোটে’ নির্বাচিত ড. ইউনূসকে কেন ‘জনগণের নির্বাচিত’ বলে মেনে নেওয়া যাবে না?”

তিনি বলেন, “প্রেসিডেন্ট জিয়া, প্রেসিডেন্ট এরশাদ, জেনারেল মঈন যখন দেশের ক্ষমতার মসনদে বসেছিলেন, তখন কি জনগণের ম্যান্ডেট ছিল? কৈ, তখন তো কাউকে এ নিয়ে সামান্য কথা বলতে দেখিনি!
যিনি যতদিন ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে চেয়েছিলেন, ততদিন থেকেছেন। কোনো রাজনৈতিক দল তো তখন ‘নির্বাচনের রোডম্যাপ’-এর জন্য চিৎকার করেনি। এখন কেন এত চেঁচামেচি?”

তিনি আরও বলেন, “জনগণ ফ্যাসিবাদ সরকারকে ঝাঁটাপেটা করে বিদায় দিয়ে ড. ইউনূসকে ‘পরোক্ষ নির্বাচনের’ মাধ্যমে ক্ষমতা দিয়েছে।

ফ্যাসিবাদ-পরবর্তী নয়া আজাদীর এই সময়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ধ্বংসপ্রাপ্ত সকল কিছু ঠিক করে, যালিমের বিচার সম্পন্ন ও প্রয়োজনীয় সংস্কার করে নির্বাচন দেওয়ার জন্য যতটুকু সময় প্রয়োজন, ততটুকু দিতেই হবে। এর আর কোনো বিকল্প নেই।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button