এক্সক্লুসিভ

কেরানীগঞ্জের ভূমি দস্যু তাইজুদ্দিন সরকার নিউজ প্রকাশের পর গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টারঃ কেরানীগঞ্জে শাহিন চেয়ারম্যান এর ক্যাশিয়ার ভূমি দস্যু তাইজুদ্দিন ওপেনে ঘুরে বেড়াচ্ছ শিরোনামে অপরাধ বিচিত্রায় একটি নিউজ প্রকাশিত হওয়ার পর।

গতকাল ২১শে মে ২০২৫ইং ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে
ভূমি দস্যু তাইজুদ্দিন সরকার মিলিনিয়াম সিটির পরিচালককে গ্রেফতার করেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ।
ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ উপজেলায় মিলিনিয়াম সিটি, শতরূপা হাউজিং ও মধু সিটি কর্তৃক টোটাইল ও ঘাটারচর মৌজাস্থিত বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় (২০২২-২০৩৫) জলস্রোত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। একইসঙ্গে জলাশয়, কৃষিজমি, বন্যাপ্রবাহ অঞ্চল (জলকেন্দ্রিক পার্ক) যা টোটাইল বিল নামে পরিচিত। এই এলাকার কৃষিজমি ও জলাধার রক্ষার স্বার্থে পরিবেশবাদি সংগঠন বেলা কর্তৃক হাইকোর্ট ডিভিশনে রিট পিটিশন দায়ের করে। যার আলোকে হাইকোর্ট ডিভিশন গত বছরের ২৮ জানুয়ারি উক্ত হাউজিংয়ের সব কার্যক্রমের উপর নিষেধাজ্ঞা রায় দেন।

হাইকোর্টের উক্ত রায় বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুল ইসলাম উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযানে ৬টি ভবন ও একটি লোহার ব্রিজ ভেঙে ফেলা হয়। এছাড়া ৬০-৭০টি তারবিহীন খালি বিদ্যুৎ খুঁটি অপসারণ এবং ৬টি মিটার জব্দ করা হয়। একই সঙ্গে একটি ড্রেজার মেশিন ও একটি বুস্টার মেশিন ভেঙে দেওয়া হয়।

মোঃ তাইজুদ্দিন ওরফে তাজু সরকার
গত কয়েক বছর আগেও কেরারাণীগঞ্জ আটি বাজার এলাকায় জমি মাপামাপির কাজ করতেন। এক সময় জমির দলিল লেখক এবং জমি কেনা-বেচার দালালি শুরু করেন।দালালি করার সুবাদে কেরারাণীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিন আহম্মেদ এর সাথে তার সখ্যতা গড়ে উঠে। শাহিনের ক্ষমতা আর অর্থ দুইটাকেই পুজি করে কেরারাণীগঞ্জ এলাকায় সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলেন এবং এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন।

গত কয়েক বছর আটি বাজার, হিজলা, চন্ডিপুর, ভাওয়াল, ঘাটারচর এলাকার বাসিন্দাদের জমি-জমা ও ফসলি জমি রাতের আঁধারে বালু দিয়ে ভরাট করে দখল করে। জমির মালিকদের জিম্মি করে
সল্পমূল্য দিয়ে জবর দখল করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যান। সরকারী খাস জমি, বিল-নদী দখল কোন কিছুই বাদ যায় না তাজু সরকারের হাত থেকে। গড়ে তুলেছেন মিলিনিয়াম সিটি।মিলিনিয়াম সিটির মাধ্যমে বিল-নদীর জায়গা বিক্রি করে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গিয়ে আয়শা মেডিকেল নামে আর
একটি আটি বাজারে হাসপাতাল গড়ে তুলেছেন।

এলাকার এক ভুক্তভোগী জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিন এর অবৈধ টাকাও তাজুর নিকট গচ্ছিত রয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান এর অবৈধ টাকা ও ক্ষমতা ব্যাবহার করে এলাকায় ইতিমধ্যেই ভূমি দস্যু হিসেবে পরিচিত লাভ করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায় ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ মডেল থানার,আটি হিজলা উত্তর পাড়া গ্রামের,মোঃ ফজলুল হকের ছেলে মোঃ তাইজুদ্দিন ওরফে তাজু সরকার। একটি এজাহার সূত্রে জানা যায় কেরানীগঞ্জ থানার কলাতিয়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত ইউনিয়ন সরকারি কর্মকর্তা সম্পা আক্তার বাদী হয়ে গত ২৮ – ০১ – ২৪ ই তারিখে তাইজুদ্দিন তাজুর বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা একটি মামলা দায়ের করেন যাহার নাম্বার ৩৩।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button