ব্যাংক ও বীমা

গভীর দুর্নীতি তদন্তে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে ব্যাপক রদবদল: মুভিং বাংলাদেশ ইস্যুতে গঠিত তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে

📅 ডেস্ক রিপোর্টঃ ব্যাপক আলোচিত “মুভিং বাংলাদেশ” (Moving Bangladesh) প্রকল্প নিয়ে উদ্ভূত দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে বাংলাদেশ সরকার একটি পূর্ণাঙ্গ বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সরকার জানিয়েছে, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (weGdAvBBD)-এর আওতায় চলা এই প্রকল্পে বড় ধরনের আর্থিক অসঙ্গতির প্রমাণ পাওয়া গেছে।

২৪ মে ২০২৫ তারিখে জারি করা একটি অফিস আদেশে এই তদন্তের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ড. ইনামুল হককে প্রধান করে গঠিত তদন্ত কমিটি আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে।

যাঁরা আছেন তদন্ত কমিটিতে:

তিন সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটিতে রয়েছেন:

  • ড. ইনামুল হক, সাবেক ডেপুটি গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক (সভাপতি)
  • ড. তাহমিনা রহমান, অর্থনৈতিক বিশ্লেষক ও গবেষক
  • এম. এন. রহমান, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ কর্মকর্তা

এছাড়া প্রকল্পের প্রাথমিক অনুমোদন, অর্থায়ন এবং বাস্তবায়ন পর্যায়ে দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদেরও তলব করা হচ্ছে। জানা গেছে, প্রকল্পে সরকারি তহবিলের প্রায় ৮০ কোটি টাকার অনিয়ম হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে।

কারা কারা যুক্ত ছিলেন এই প্রকল্পে:

“মুভিং বাংলাদেশ”-এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন বিভিন্ন খাতের প্রভাবশালী ব্যক্তি ও কর্মকর্তা। এর মধ্যে অন্যতম:

  • ড. ওয়াহিদুল গনি কনক, প্রজেক্ট অ্যাডভাইজর ও টেকনিক্যাল লিড
  • ইঞ্জিনিয়ার রবিউল রশিদ, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইউনিট (PMU) প্রধান
  • ড. রাকিবুল হাসান, গবেষণা পরিচালক
  • নাজমুল হোসেন মিঠু, সরবরাহ ও ক্রয় বিভাগ
  • সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ.কে. আজম খান, রাজনৈতিক অনুমোদন পর্বে সংশ্লিষ্ট

কী ছিল প্রকল্পের উদ্দেশ্য:

“মুভিং বাংলাদেশ” একটি অ্যাপ-নির্ভর জাতীয় যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম তৈরির প্রকল্প ছিল, যার উদ্দেশ্য ছিল দেশের পরিবহন খাতকে ডিজিটালাইজ করা। তবে এই প্রকল্পে শুরু থেকেই স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ছিল, এবং যথাযথ অডিট ও বাস্তবায়ন ছাড়াই তড়িঘড়ি করে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করা হয়।

তদন্তের লক্ষ্য কী:

এই তদন্তের মূল লক্ষ্য:

  • প্রকল্প ব্যয় ও প্রকৃত কার্যক্রমের মধ্যে গরমিল নির্ধারণ
  • সংশ্লিষ্টদের দায় নির্ধারণ
  • তহবিলের অপব্যবহার হলে অর্থ পুনরুদ্ধারের পথ খুঁজে বের করা
  • ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রকল্পের আর্থিক শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা

পরবর্তী পদক্ষেপ:

সরকার সূত্রে জানা গেছে, তদন্তে যাদের বিরুদ্ধে প্রমাণিত অপরাধ পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে দুদক ও অন্যান্য আইনগত সংস্থা ব্যবস্থা নেবে। এছাড়া ভবিষ্যতে অনুরূপ প্রকল্পে কঠোর অর্থনৈতিক নিরীক্ষার ব্যবস্থাও নেয়া হবে

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button