এক্সক্লুসিভ

ক্যাসিনো হোতা সাবেক হুইপ সামশুল দোষর মুছা খাঁন বহাল তবিয়তে খুন, চাঁদাবাজি, কমিশন বাণিজ্য, ক্যাসিনো সহ আরো অসংখ্য অভিযোগ থাকলেও প্রকশ্যে মুছা কার ছত্রছায়ায় 

মুহাম্মদ জুবাইরঃ ক্ষমতার পালাবদলের পর সাবেক হুইপ ও চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের এমপি সামশুল হক চৌধুরী ও তাঁর দোষরদের হদিস না মিললেও এখনো প্রকাশ্যে শামসুল দুর্নীতির তুরুপের তাস মুছা খাঁন । 

আওয়ামী লীগ শাসনামলে ষোল‌ বছর  ক্যাসিনো ব্যবসা, চাঁদাবাজি , টিআর কাবিখা, টিউবওয়েলসহ  নানান বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে শামসুল ফুফাতো ভাই নবাব, মহব্বতের  পার্টনার মুছা খাঁন ।

জানাযায়, চট্টগ্রামের পটিয়া থানার আজিমপুর কচুয়ায় পাঁচ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মুছা খাঁন বিগত ষোল বছর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সাবেক হুইপ ও চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের এমপি সামশুল হক চৌধুরী ফুফাতো ভাই নবাব, মহব্বতের সাথে গড়ে তুলেন বিশাল সিন্ডিকেট বাণিজ্য। মুছা খাঁনকে টিআর কাবিখা থেকে দিতে হত দশ থেকে ত্রিশ পার্সেন এছাড়াও পটিয়াতে সরকারী টিউবওয়েল 

বসতে দিতে হত দশ থেকে ত্রিশ পার্সেন কমিশন। মুছা খাঁন, নবাব, মহব্বত মিলে হুইপকে ব্যবহার করে  পুলিশের এসআই ও কনস্টেবল নিয়োগ দিতে নিতেন দশ থেকে ত্রিশ লক্ষ টাকা। বিগত ষোল বছর সাবেক হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর অন্যতম বিতর্কিত ক্যাসিনো ব্যবসার অন্যতম সহযোগী ছিলেন মুছা খাঁন। এছাড়াও মুছা খাঁন হুইপের প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি ব্যাংক থেকে নিয়ে দেন পঞ্চাশ কোটি টাকার উপরে লোন।

সূত্র বলছে, পটিয়া থানার আজিমপুর কচুয়ায় পাঁচ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মুছা খাঁন একসময় সাধারণ জীবনযাপন করলেও আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতার প্রথম দিক থেকে নবাব, মহব্বতের সাথে গড়ে তুলেন সখ্যতা। মুসা খাঁন

আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেন কচুয়াই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ পাওয়ার পর। 

জুলাই ছাত্র গণ-অভ্যুত্থানের ছাত্রদের প্রতিহত করতে মুছা খাঁন দিয়েছিলেন অর্থ, অস্ত্রসহ সন্ত্রাসীদের যোগান। মুছা খাঁনের মদদে নগরীর বহদ্দারহাট, নিউ মার্কেট, নতুন ব্রীজ এলাকায় ছাত্র হত্যার মত ঘটনা ঘটেছে বলে দাবী অনেকের

 ছাত্র গণ-অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর সবাই  লাপাত্তা হলেও মুছা খাঁন এখনো বহাল তবিয়তে। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রামের ন্যাশনাল হাসপাতালে সামনে আল মদিনা ফার্মেসী নামক একটি প্রতিষ্ঠানে ওপেন ব্যবসা করছেন। জনমনে এখন একটাই প্রশ্ন বিগত ষোল বছর শত শত অপরাধ করার পরেও কাদের আশ্রয়ে এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে মুছা খাঁন।

 এই বিষয়ে  মুছা খাঁনের ব্যবহৃত হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তিনি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং তিনি এইগুলোর সাথে কখনো সম্পৃক্ততা ছিলেন না বলে জানান।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button