রাজনীতি

গুলশান বনানী আওয়ামী লীগের মদদতদাতা মাদারি মিজানের খুঁটির জোর কোথায়??

হাবিব সরকার স্বাধীনঃ রাজধানীর গুলশান বনানী কড়াইল, বেলতলা,স্যাটেলাইট, মহাখালী সাততালা এলাকার আশেপাশে প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি সহ সীমাহীন লুটপাট ভাঙ্গচুর অপরাধে অভিযুক্ত । তথ্যসূত্র অভিযোগ উঠেছে বনানী চিহ্নিত মিজানুর রহমান মিজান সহ একদল অজ্ঞাত কিশোর গ্যাং বনানী থানা এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে।

সরকার পতনের পর মাদারি মিজান দিন দিন বেপরোয়া রুপ ধারণ করে। আরো তথ্যসূত্রে অভিযোগ উঠেছে বনানী থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়কের ভূমিকায় কিছুদিন থাকলেও পরবর্তীতে নানান অপকর্মের মাস্টারমাইন্ডের কারনে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয় মাদারি মিজানকে।

গোপন সূত্রে পাওয়া খবর আওয়ামী লীগের বনানী থানার সহ সভাপতি ও ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার নাসির ওরফে কালা নাসিরের সাথে রয়েছে তার অন্তরঙ্গ সম্পর্কে। আলোচিত বিতর্কিত কালা নাসিরকে মামলা থেকে বাঁচাতে থানায় গিয়ে কয়েকবার তদবীর করেছেন তিনি এমনি তথ্য রয়েছে আমাদের দপ্তরের । এখানেই শেষ নয় তার বিরুদ্ধে রয়েছে নানান অভিযোগ সাধারণ মানুষকে আওয়ামী লীগের তকমা লাগিয়ে মামলার ভয় দেখিয়ে বাণিজ্য করে বেড়ায়। থানার কয়েকজন বড় কর্মকর্তার সাথে তার সুসম্পর্ক সেই সুবাদে মানুষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে অনেকে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে মাদারি মিজানের বিরুদ্ধে।

মামলা নমুনা ছাত্র হত্যা মামলা ভয় দেখিয়ে এখন তিনি ব্যবসায় পরিণত করেছেন। এমন অদ্ভুত কর্মকাণ্ড দেখে এলাকারত মানুষ হতাশ। বিগত কয়েক বছর বড় আন্দোলনে ভূমিকা না থাকলেও এখন তিনি তারেক জিয়ার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি দাবি মিজান মানুষ কে বলে বেড়ায়। অভিযোগ রয়েছে সরকার পতনে ভূমিকা না থাকলেও এখন তিনি মস্ত বড় নেতা। আন্দোলন বৈষম্যকে কাজে লাগিয়ে মানুষকে মিথ্যা মামলা হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে এই বিতর্কিত নেতার বিরুদ্ধে, থানার কিছু কর্মকর্তাদের সাথে রয়েছে তার অন্তরঙ্গ সুসম্পর্ক।

জানা যায় তেলবাজি চাপাবাজি করে স্বৈরাচার হাসিনার আমলে সে আওয়ামী লীগের থেকে অনেক সুবিধা নিয়েছেন। তার এই অপকর্ম দিন দিন যেন বেড়েই চলেছে। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক বিএনপির কর্মী বলেন মদ খেয়ে মাতলামি অবস্থায় নেতাকর্মীদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন তিনি এমন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।আরও জানা যায় এমন অবস্থা খিলক্ষেত প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিকে হুমকি সহ বিভিন্ন ভাবে তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের তকমা লাগিয়ে অপপ্রচার করে আসছে এই মিজানুর রহমান মিজান। দল থেকে বহিষ্কৃত নেতা এত ক্ষমতার উৎস কোথায় জানতে চাই বিএনপির সাধারণ কর্মীরা। তার ছত্রছায়া বনানী থানার আওতা দিন ঢাকা নিউ এয়ারপোর্ট রোডে গড়ে উঠেছে একাধিক অবৈধ স্থাপনা।

চুরি, ছিনতাই মাদক ব্যবসা সহ নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ড। মাদারী মিজানের নামে আরো অভিযোগ রয়েছে রাজনীতির আড়ালে ম্যানপাওয়ারের ব্যবসা করে লোক ঠকিয়ে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশে লোক পাঠানোর। তার বনানী ম্যানপাওয়ার অফিস সন্ধ্যার পরে হয়ে ওঠ সন্ত্রাসীদের আতুর ঘর। বিভিন্ন অবৈধ স্পা, বার, সিষা সেন্টার মাঝারি মিজানকে মাশোয়ারা দিয়ে গড়ে উঠেছে বনানী এলাকায়।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি দলীয় স্বচ্ছতা ও ক্লিন ইমেজে বদ্ধপরিকর এমন সময় দলের নাম ভাঙ্গিয়ে দলের বদনাম করে নিজের ফায়দা লুটে আখের গোছাচ্ছে এই দুশ্চরিত্র নেতা। নাম গোপন রাখার শর্তে, বনানী থানা বিএনপির এক কর্মী আমাদেরকে জানায়, মাদারি মিজানের বর্তমান কর্মকাণ্ড দলের জন্য হুমকি ও সমাজের জন্য হুমকি।

একজন বহিষ্কৃত নেতা কোন খুঁটির জোরে এমন কর্মকাণ্ড করার সাহস পায় আমরা তা বুঝিনা। তিনি আরো বলেন আমরা চাই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে বনানী এলাকাকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা হোক ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক। কলম চলবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button