সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৩৩,৩৪ ও ৩৫ নং ওয়ার্ডে জমজমাট মাদক ব্যাবসা চলছে

মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন: সিলেটের খাদিম নগর, বর্তমান সিলেট সিটি কর্পোরেশন ৩৩, ৩৪ ও ৩৫ নং ওয়ার্ড এলাকা ধীন শাহ পরান থানার আওতাভুক্ত, বি আই ডিসি মির মহল্লার, জমজমাট ইয়াবা ব্যবসা ও জুয়া খেলা চালিয়ে যাচ্ছে বিগত প্রায় ২০, বছর ধরে মৃত ইসলাম উদ্দীন এর ছেলে, নুরু মিয়া, সামাদ মিয়া, এবং তাদের বোন জামাই সাহাবুদ্দিন সহ, আরো অনেকে দলবদ্ধ চক্র হয়ে প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা করে আসছে।
মাদকের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে, ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের সভাপতি, সাংবাদিক মইন উদ্দীনকে, টানাহেছরা করে এবং প্রাণ নাশের হুমকি সহ, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে, আব্দুস সামাদ নামের মাদক ব্যবসায়ী।
তথ্য নিয়ে জানা যায়, তাদের মাদক ব্যবসা পুরো এলাকা জুজে ছড়িয়ে সিটিয়ে আছে। এমনকি রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে, মাদক সরবরাহ করে আসছে। উল্লেখ থাকে যে, মির মহল্লার ভেতর পয়েন্টে দোকানে বসে, বি আই ডিসি রোড প্লেন্টে, খাদিমপাড়া ৬ নং রোডের শেষ মাথায় মন্টু মিরার বাড়ীর পাশের দোকানে বসে, রাস্তার মোড়ে মোড়ে হেঁটে, মোবাইল ফোনে ইয়াবা, গাজা, ফেনসিডিল সহ বিদেশী মদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। নুরু, সামাদ ও সাহবুদ্দিন মাদক ব্যাবয়ী চক্র। এলাকাবাসীর তথ্যমতে, ইয়াবা ব্যবসায়ী নুরু, বিগত সময়ে কয়েকবার মাদক নিয়ে ধরা পড়ে, জেলহাজতে গিয়েছে। তার নামে ৫ থেকে ৭টি মাদক মামলা রয়েছে। এভাবে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি করে আসছে, এদের খুঁটির জোর কোথায়। স্থানীয় তথ্যমতে জানা যায় নুরু সামাদ ওশাহাবুদ্দিন দল ভক্ত আওয়ামী লীগ সরকারের ধূসর। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী নেতাদের ছায়াতলে দাঁড়িয়ে তাদের ব্যবসা চলমান রেখেছিল। জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে, আওয়ামী লীগ সরকার দেশত্যাগ করার পর। সামাদ নুরু এবং শাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে মাদকবিরোধী মানববন্ধন কর্মসূচি করেছিলেন। খাদিমনগর ও মীর মোল্লা গ্রামের সাধারণ জনগণ। তারপরও থেমে নেই তাদের মাদক ব্যবসা। সুশীল সমাজের মতে, তাদের এই মাদকচক্রকে প্রতিহত করা না হলে, দেশের যুবসমাজ ধ্বংসের দিকে যাবে। তাই এই মাদকচক্র কে দমন করতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছে খাদিমনগর ও মীর মহল্লা গ্রামের জনগণ।