হোমনা কুমিল্লা রোডে পারমিট বিহীন রুপালী সুপার সার্ভিস এর দৌরাত্ম যাত্রী হয়রানির অভিযোগ

হোমনা কুমিল্লা রোডে চলাচলরত পারমিট বিহীন অবৈধ রুপালী সুপার সার্ভিস এর স্টাফ ও মালিকদের হাতে যাত্রী সাধারণের বিভিন্ন হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। হোমনা ও কুমিল্লা বাস স্ট্যান্ডসহ প্রায় সকল স্টপিজে যাত্রীদের এবং তাদের ব্যাগ নিয়ে টানাটানি, অন্য কোম্পানির গাড়ির সাথে প্রতিযোগিতা করে দ্রুতগতিতে গাড়ী চালানো এবং প্রতিযোগি সার্ভিস একতা পরিবহন ও হোমনা ঢাকা রোডের হোমনা সুপার সার্ভিসের স্টাফ ড্রাইভারদের সাথে সামান্য কারনেই প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ ও মারা-মারি লেগেই থাকে। এতে যাত্রী সাধারণ অত্যান্ত ঝুঁকি, নিরাপত্তাহীনতা ও আতঙ্কে থাকার ব্যাপক অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে অবৈধ রুপালি সার্ভিস ও দীর্ঘদিন ধরে এই রোডে চলাচলরত একতা পরিবহনের স্টাফ, ড্রাইভার ও মালিকদের মধ্যে একাধিকবার ঝগড়া, মারামারি ও যে যার শক্তিমত যাত্রীবাহী গাড়ি চলাচলে বাধা দিয়ে গাড়ি আটকে রাখা ও স্টাফ ড্রাইভারদের মধ্যে মারামারি করে যাত্রীদের হয়রানি করা হয়। মারামারির অভিযোগে সম্প্রতি রুপালি সার্ভিসের ড্রাইভার, স্টাফ ও কয়েক জন মালিকের বিরুদ্ধে চান্দিনা ও দাউদ কান্দি মডেল থানার গৌরীপুর তদন্ত কেন্দ্রে পর পর দুই টি মামলা দায়ের করে একতা পরিবহনের সংশ্লিষ্ট ড্রাইভার ও স্টাফ। এ বিষয়ে একতা পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব জামাল হোসেন বলেন, আমরা একতা পরিবহনের ব্যানারে হোমনা টু কুমিল্লা রোডে দীর্ঘদিন যাবত অত্যন্ত সুনামের সাথে যাত্রী সাধারণের সেবা দিয়ে আসছি। এ রোডে একতা পরিবহনের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নাই। আমাদের একতা পরিবহনের মোট ষাটটি বাসেরই প্রয়োজনীয় সকল কাগজ সহ কর্তৃপক্ষের বৈধ পারমিট রয়েছে। সম্প্রতি উক্ত হোমনা কুমিল্লা রোডে রুপালী সুপার সার্ভিস নামে একটি পরিবহন চালু হয়েছে। যার কোন রোড পারমিট নাই। এরা গায়ের জোরে সম্পুর্ন অবৈধ ভাবে তাদের গাড়ি চালাচ্ছে। একতা পরিবহনের অন্য আরেকজন মালিক জনাব আল আমিন বলেন, অবৈধ রুপালী সুপার সার্ভিসের মালিক ও স্টাফ ড্রাইভাররা প্রায় প্রতিদিনই বিনা কারনে পায়ে পারা দিয়ে ঝগড়া করার মত অন্য সব গাড়ির মালিক স্টাফদের সাথে বিবাদে জড়ায়। যার ফলে তাদের বিরুদ্ধে এ কয়েক দিনে দুইটা মামলা হয়। আবদুল আজিজ নামে কুমিল্লা রোডের একজন নিয়মিত যাত্রী সাক্ষাতকারে বলেন যে, দীর্ঘদিন যাবত এ রোডে একতা পরিবহন সুনামের সহিত যাত্রী সেবা দিয়ে আসছে।আমি বিগত সাত বছর যাবত এ রোডে একতা পরিবহনে খুবই স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে চলাচল করে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে রুপালি সার্ভিস নামে যে একটি পরিবহন এ রোডে চালু হয়েছে তার সংশ্লিষ্ট সকলেই খুবই উশৃংখল। তারা চলার পর থেকেই এ রোডে প্রায়ই বিশৃঙ্খলা লেগে থাকে। অপর দিকে রুপালি সার্ভিসের একটি বাসের মালিক জাকির ও তার ভাই বি এনপি নেতা জাহাঙ্গীর এর বিরুদ্ধে এ রোডের অন্যান্য পরিবহনের কাছ থেকে চাঁদা-দাবি করে এবং চাঁদা না দিলে ড্রাইভার ও স্টাফদের মারধর করে ও রাস্তায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে জনমনে আতঙ্ক তৈরী ও হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি একটি টিভি সাক্ষাতকারে রুপালী সার্ভিসের বাসের মালিক বি এন পি নেতা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বর্তমানে নতুন গাড়ির পারমিট প্রদান সরকারী ভাবে বন্ধ রয়েছে তবে আমরা রুপালি সার্ভিস প্রশাসনের মৌখিক অনুমোদনে হোমনা রোডে গাড়ি চালাচ্ছি। উল্লেখ্য যে, হোমনা রোডটি এমনিতেই সরু তার উপর দিয়ে প্রতিদিন চলছে পাঁচ ছয় হাজার সি এন জি অটোরিকশা, অসংখ্য ব্যাটারীচালিত রিক্সা, ঢাকা হোমনা রোডে ষাটটি, কুমিল্লা রোডে একতা পরিবহনের ষাটটি তারসাথে অবৈধ রুপালী সার্ভিসের বড়বডির বাস চল্লিশ টি গাড়ি চলাচলে এ রোডের ধারন ক্ষমতা ব্যাহত হচ্ছে এবং বেপরোয়া ও প্রতিযোগিতা করে গাড়ী চলায় এ রোডে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে যার ফলে যাত্রী সাধারণের জীবন অত্যন্ত বিপদজনক হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এ রোডের যাত্রী সাধারণের নিরাপদ পথ চলার নিশ্চয়তা প্রদানে অবৈধ রুপালী সার্ভিসসহ সকল কোম্পানীর পারমিট বিহীন অবৈধ গাড়ি উচ্ছেদের ব্যবস্থা গ্রহণে এলাকার সচেতন মহল জেলা প্রশাসক, সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, যৌথ বাহিনী ও এলাকার জনমানুষের অভিভাবক রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।