জাবিতে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের দুই নেতাকে পুলিশে সোপর্দ
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় উপ-দপ্তর সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম খান ওরফে খান শিমুল ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আহমদ উল্লাহকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাত সাড়ে নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলাভবনের সামনে থেকে তাদের আশুলিয়া থানা পুলিশে সোপর্দ করে প্রক্টরিয়াল টিম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, সন্ধ্যার দিকে ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় উপ-দপ্তর সম্পাদক শিমুলসহ কয়েকজন ক্যাম্পাসে ঘুরছিলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলামসহ কয়েকজন খান শিমুলকে চিনতে পেরে তার পরিচয় জিজ্ঞেস করেন। তখন শিমুল তার পরিচয় গোপন করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আহমদ উল্লাহর আমন্ত্রণে ক্যাম্পাসে আসেন বলে জানান। শিক্ষার্থীরা তখন আরও জিজ্ঞাবাদ করলে একপর্যায়ে শিমুল ছাত্রলীগের পরিচয় স্বীকার করেন। এরপর ঘটনাস্থলে প্রক্টরিয়াল টিম আসেন এবং নতুন কলা ভবনের ফটকের মধ্যে আটকে রাখেন। এর একটুপর ছাত্রদল নেতা আহমদ উল্লাহ ঘটনাস্থলে আসেন এবং তাকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এর কিছুক্ষণ পর আশুলিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদেরকে নিয়ে চলে যান।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলাম বলেন, ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের একজন কেন্দ্রীয় নেতা শাখা ছাত্রদলের নেতার পরিচয়ে ঘুরে বেড়াবে এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। গণ-অভ্যুত্থানে অন্যতম স্টেকহোল্ডার ছাত্রদলের পরিচয়দানকারী কেউ যদি ফ্যাসিস্টের সহায়তা করে তার বিরুদ্ধে ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ আইনগত ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আমরা আশা করি।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক রাশিদুল আলম বলেন, গত সরকারের ছাত্রসংগঠনের একজন কেন্দ্রীয় নেতা ক্যাম্পাসে এসেছিলেন। গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীরা তাকে চিনতে পেরে প্রক্টরিয়াল টিমকে অবহিত করেন। প্রক্টরিয়াল টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তার নিরাপত্তার জন্য আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করেছে। আমরা আশা করব যদি তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা থাকে তাহলে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।