শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীনের শেল্টারে বি এনপি নেতা বাচ্চুর তালুকদারের জম জমাট চাঁদাবাজি

স্টাফ রিপোটারঃ
ঘঠনা সুত্রে জানা যায় গাজীপুরের শ্রীপুরে শৈলাট গ্রামে মোঃ আব্দুল বাতেন তালুকদারের কন্যা মোছাঃ বিনা আক্তার অন্যন্যা তার চাকরী সুবাদে গাজীপুর চান্দনা চৌরাস্তা স্বামী সহ বসবাস করেন তার হাসবেন্ড সাংগঠনিক কাজে টঙ্গি বিশ্ব ইজতেমায় (২,০২৫) প্রশাসন সহ আগত মুসুল্লিদের সেবা প্রধানের লক্ষে ১০ দিনের জন্য যায়।
সেই সুবাদে তার নিজের বাসা (গাজীপুর চৌরাস্তা ) নিরাপত্তা হীনতার কারনে গত ০১/০২/২৫ ইং তারিখে সে তাদের ব্যবহৃত নোহা গাড়ি নিয়ে সে তার বাবার বাড়ি (শৈলাট গাজীপুর )যায় এবং গাড়িটি বাবার বাড়িতেই রেখে আসে, সে দিন রাতেই তার চাচা আজহার তালুকদার পিতা- আমির হোসেন তালুকদার তার বাবাকে মোবাইল ফোনে গাড়ি সম্পর্কে বলে যে কার গাড়ি কিসের গাড়ি চুরাই গাড়ি সহ অনেক উল্টা পাল্টা কথা বলে হুমকি দেয়।
সাথে এটাও বলে যে এই গাড়ির নামে শ্রীপুর থানায় মামলা আছে এই ভয়ে গাড়ির ড্রাইভার গাড়ি রেখে ওখান থেকে চলে আসে পরের দিন ০২/০২/২৫ইং অন্য ড্রাইভার দিয়ে গ্যাস আনার জন্য গাড়িটি সি এনজি পাম্পে পাঠায় আসার পথে বাচ্চু তালুকদার পিতা- আমির হোসেন তালুকদার ড্রাইভারকে বলে তুমি এগাড়িতে কেন এটাতো চুরি করা গাড়ি, গাড়ির নামে মামলা আছে এখন তুমিও আসামি ১০ মিনিটের ভিতরে পুলিশ আসবে তুমাকে এরেস্ট করে নিয়ে যাবে এরপর ড্রাইভার এসে সমস্ত কিছু অনন্যার বাবা মাকে জানালে তখন তারা থাকে গাড়ি সম্পকে এসব তথ্ জানায়, অনন্যা সমস্ত বিষয়টি মোবাইল ফোনে তার হাজবেন্ডকে জানায় এবং আসতে বলে এরিমাঝে অনন্যার বাবা মা সহ কিছু লোকজন বাচ্চু তালুকদারের বাড়িতে যায় বিষয়টি জানার জন্য।
তাকে জিজ্ঞেস করলে সে বলে হ্যাঁ গাড়ির নামে মামলা আছে মামলা ক্যানসেল করতে হলে ২ লক্ষ টাকা লাগবে আমাকে টাকা দিলে আমি সবকিছু শেষ করে দিব আমাকে শ্রীপুর থানা থেকে ফোন করে গাড়ি আটকিয়ে রাখতে বলেছে তার টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাদেরকে গালি গালাজ করে মারতে আসে এবং বলে যে আমি ছাড়া কেউ এটা সমাদান করতে পারবেনা এখন বিএনপি ক্ষমতায়, এবং থানার ওসি আমার কথা মত চলে একথা বলার পর তারা সেখানে গাড়ি রেখে চলে আসে গত ০৩/০২/২৫ইং আনুমানিক বিকেল ৪টার পর অনন্যার হাসবেন্ড বিষয়টি জানার জন্য শ্রীপুর থানার ওসি সাহেবের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে বিষয়টি জানতে চাইলে ওসি সাহেব বলে আপনি আপনার লোক পাঠান আমি বিষয়টি দেখতেছি পরে সে তার গাড়ির কাগজ পত্র সহ দুজন লোক থানায় পাঠিয়ে দেন, ওসি সাহেব তাদেরকে জানায় আপনারা ঘটনার স্থলে চলে যান আমি আমার লোক পাঠাচ্ছি কিছুক্ষন পর এস,আই নাজমুল অনন্যার হাজবেন্ডকে মোবাইলে জানায় ওসি সাহেব আপনার নাম্বারটা দিয়েছে আপনার বিষয়টি দেখার জন্য, আপনি ঘটনাস্থলে যান আমি আসছি তার কথায় তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি খুবই ভয়া ভহ দেখতে পেয়ে আবারো ওসি সাহেবকে ফোন করে জানায়, তিনি পুনরাই আবারো নাজমুল এর সাথে যোগাযোগ করতে বলেন ব্যাপারটা সে দেখবে ওসি সাহেবের কথামত নাজমুল সাহেবকে ফোন করে বলে আপনি এখনো আসেননি পরিস্তিতি খুব ভয়া ভহ আমরা মারা যাওয়ার পরে কি আসবেন সে বলে আমি দেখছি । কিছুক্ষন পর আবুল হোসেন সহ দুজন লোক সেখানে আসেন এবং উনারা তাদের সাথে কথা না বলে স্পটে গাড়ি দেখে আসামি বাচ্চু তালুকদারের বাড়িতে চলে যায়।
তার স্ত্রীর থেকে ফোন নাম্বার নিয়ে ফোন করেন এবং কথা বলেন সাথে এটাও বলেন যে আমরা আপনার ভাই , আপনার বাসায় আসতেই পারি তার আসামির সাথে এমন আচারন ও কথা বার্তা বলার পর বাদীপক্ষের বিষয়ে কোনো কথা না বলে উল্টো তাদেরকে বলে যে এখানেত সে এধরনের কোনো ক্রাইম করেনাই, সেতো অনেক দূরে তাহলে সে কিভাবে ক্রাইম করল, বাদীপক্ষ বললো আসামিত ১৫/৩০ মিনিট আগেও এখানে ছিল তাহলে সে কিভাবে অনেক দূরে যায়। কিন্তু পুলিশ তাদের কথার কোনো গুরুত্বই দিলনা, পুলিশকে অনুরোধ করলো যে ঠিক আছে গাড়ির মামলার কাগজটা তার কাছে চান বা আমাদের দেখান আমরা চলে যাব কিন্তু এবিষয়ে কোন কথাই বলেনি পুলিশ পরে সাংবাদিক মাসুম ও ডাঃ কামরুল পুলিশকে বললো আপনারা কাজটা ঠিক করলেন না দেশে কি আইন বলতে কিছুই নেই, এটাই কি স্বাধীন দেশ একথা বলার সাথে সাথেই আসামী বাচ্চুর ভাই ফরহাদ বিএনপি নেতা কামাল, পিতা- বারেক খলিফাসহ আরো কয়েক জন তাদেরকে গায়ে হাততোলা সহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দেয় এসময় বাচ্চু ও সেখানে উপস্থিত ছিল সে বলে আমরা বিএনপির লোক বিএনপি কোনো বাপ থাকলে যা আমাদের সামনে নিয়ে আয়। পুলিশত দূরের কথা ।
এসকল ঘটনা দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তা সামনেই ঘটে কিন্তু তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি এবং বলেন এ ব্যাপারে আমাদের কিছুই করার নেই আপনারা ওসি স্যারের সাথে দেখা কইরেন, বলে তাদের সাথে বন্ধুত্ব স্বরূপ আচারন ও খোশ গল্প করে চলে যায়। ঘটনাস্থলে থেকে আরো জানা যায় যে ৫ আগষ্ট এর আগে আসামী বাচ্চু তালুকদার খুবিই সাবাবিক জীবন যাপন করতো রাত দিন ২৪ ঘন্টা নেষা করে পরে থাকতো কিন্তু ৫ আগষ্টের পরে এই বাচ্চু তালুকদার তার এলাকায় একটা গাছের ডাল কাটলেও তাকে চাঁদা দিতে হয়। সরকারি জমি দখল, বনের জমির মাটি কাটা, রাস্তাঘাট ও বাড়ি ঘর নির্মাণ সহ আরো অনান্যা সকল ব্যবসা বাচ্চুর কথা মত পরিচালিত হয় উল্লেখ্য বিগত শৈরাশাসক ৫ আগষ্ট (২৫ইং) পতনের পর থেকে এই মাতাল বাচ্চু তালুকদার বিএনপির বর নেতা এবং কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছেন এমনকি সে নিজে যেই গাড়িটি চালায় তার কোনো কাগজ পত্র আছে কিনা সেটাই সন্দেহ।
এসকল বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ সাজাহান ফকির ও সাধারণ সম্পাদক আক্তারুল আলম মাষ্টার এর সাথে কথা বললে তার জানায় যে এসমস্থ ঘটনার কোনো কিছুই তাদের জানা নেই। যত দূত সম্বভ আইনের সহযোগিতা নিয়ে মামলা করার পরামর্শ দেন, এসমস্থ ঘটনা শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীনকে জানালে সে বলে আমি দূতই ব্যবস্থা নিব। তার পর দিন আসামী বাচ্চু তালুকদার কয়েক জন লোকসহ থানাতে অভিযোগ করার কারণে বাদীর বাড়িতে প্রবেশ করে এবং লাটি দাঁ বটি নিয়ে মারতে জায় এবং ভবিষ্যতের তাদের নামে অভিযোগ করলে তার ফল ভালো হবে না বলে জানায় এঘটনাও ওসি সাহেবকে জানানো হলে সে বলে আপনাদের জামেলাতো শেষ হয়ে গেছে তবু আমি দেখবো ঠিক একি কথা জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান ও অপরাধ বিচিত্রার সম্পাদক হাজী এস এম মোরশেদ স্যার কে বলেন।
অপরাধ বিচিত্রার গাজীপুর প্রতিনিধি মিনহাজ মাহমুদ যোগাযোগ করলে তাকেও জানায় যে আচ্ছা দেখতেছি, কিন্তু গত ০৩/০২/২৫ তারিখ হতে অধ্য আজ ০৪/০৩/২৫ দুপুর ৩টায় ফোন দিলেও সে আবার একিই কথা বলে যে বেপারটি দেখতেছি এখন জাতির কাছে একটাই প্রশ্ন পুলিশকি আসলেই জনগনের বন্ধু আর আমরাকি সত্যিই স্বাধীন দেশের নাগরিক।