রাজধানীর মোহাম্মদপুরে র্যাব পরিচয়ে ডাকাতি ও ছিনতাই চক্রের প্রধান ও তার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-২

সাম্প্রতিক সময়ে র্যাব-২ এর অভিযানে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা হতে জেনেভা ক্যাম্পের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী ভূইয়া সোহেল ওরফে বুনিয়া সোহেল, মাদক ব্যবসায়ী চুয়া সেলিম গ্রুপের প্রধান মোঃ সেলিম আশরাফী ওরফে চুয়া সেলিম ওরফে চোরা সেলিম এবং রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী ‘কব্জিকাটা গ্রুপ’ এর প্রধান মোঃ আনোয়ার ওরফে শুটার আনোয়ার ওরফে কব্জিকাটা আনোয়ার এবং সন্ত্রাসী রাফাত ও টুন্ডা বাবুকে তাদের সহযোগীসহ গ্রেফতার করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায়, মোহাম্মদপুর কেন্দ্রিক সকল সন্ত্রাসী গ্রুপের মূল উৎপাটন করার লক্ষে র্যাব-২ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায়, গতকাল রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ডাকাতি ও ছিনতাই চক্রের প্রধান মোঃ বিল্লু মিয়া (৩৫) ও তার ০৩ জন সহযোগী ১) আবু জাহের (৩০), ২) আল আমিন ওরফে পাঠা আল আমিন (২০) ও ৩) মোঃ আলমগীর (৩২)সহ মোট ০৪ জন ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্যকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আগ্নেয়াস্ত্র লুন্ঠিত সিএনজিসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-২। উদ্ধার করা হয় ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত, ০১টি রিভলবার, ০১ টি পাইপ গান, ০৫ রাউন্ড গুলি, ০১ টি এমটি কার্টিজ, ০১টি সিএনজি, ০১ টি চাকু, ০১টি রেঞ্জ, ০২টি প্লায়ার্স, ০১টি সামুরাই, ০১টি শাবল, ০১টি স্ক্রু ড্রাইভার, ০২ টি র্যাব-পুলিশ সদৃশ্য কালো রং এর জ্যাকেট, ০২টি কালো ক্যাপ ও ০৪ টি মোবাইল।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় চিহ্নিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও ডাকাত দলের সদস্যরা ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে জনমনে আতংক সৃষ্টি করে আসছে। উপরোক্ত ঘটনা বিবেচনায় নিয়ে র্যাব আসামিদেরকে গ্রেপ্তারের লক্ষে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল গতকাল ০৮/০৩/২০২৫ ইং তারিখ রাতে ডাকাত ও ছিনতাই চক্রের প্রধান মোঃ বিল্লু মিয়া (৩৫)’কে ডিএমপি ঢাকার মোহাম্মদপুর থানাধীন বাঁশবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামির দেহ তল্লাশীকালে আসামির পরিহিত প্যান্টের পিছনের কোমরে রক্ষিত অবস্থায় ০১টি বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র এবং প্যান্টের ডান পকেট হতে ০৫ রাউন্ড গুলি, ০১ টি খালি খোসা ও ০২ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে উল্লেখিত অস্ত্রের বৈধ কাগজপত্র উপস্থাপন করতে বললে আসামি কোন ধরনের বৈধ কাগজপত্র উপস্থাপন করতে পারে নায়। গ্রেপ্তারকৃত আসামি বিল্লু মিয়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, সে এবং তার দলের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে র্যাব পরিচয়ে ডাকাতি, অস্ত্র, মাদক ব্যবসা ও সিএনজি অটোরিক্সা ছিনতাই চক্রের সাথে জড়িত। আসামি বিল্লু মিয়া মোহাম্মদপুর ও পাশর্^বর্তী এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক, ভূমি দখল, চুরি-ছিনতাই, ডাকাতিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো। উল্লেখ্য, এই গ্রুপটি ডাকাতি সংঘটন কালীন নিজেদের র্যাব সদস্য পরিচয় দিত।
পরবর্তীতে গ্রেপ্তারকৃত আসামির দেওয়া তথ্য মতে, মোহাম্মদপুর থানাধীন লাউতলা এলাকা থেকে তার অন্য ০৩ জন সহযোগী ১) আবু জাহের (৩০), ২) আল আমিন@ পাঠা আল আমিন (২০) ও ৩) মোঃ আলমগীর (৩২)’দেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের অপর ০২ জন সহযোগী মোঃ রাজা (৩৬) ও মোঃ নাগর (৩০) পালিয়ে যায়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের নিকট হতে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ০১ টি সিএনজি অটোরিক্সা ও ০১টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষন করে অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।