দুদক পরিচালক একেএম জায়েদ হোসেন খান অনুসন্ধানকাজ তদারক করবেন বলে জানা গেছে। তার টিম থেকেই অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা তিতাসের কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিষয়টি অনুসন্ধান করবেন। সাব্বের আহমেদসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে. গাজীপুর ও সাভার শিল্পাঞ্চলের অনেক কারখানায় প্রয়োজনের তুলনায় কম গ্যাস সরবরাহ করে অতিরিক্ত বিল নিচ্ছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। অন্যদিকে ওই এলাকার অনেক শিল্পকারখানা কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ নেয়ার সুযোগ পেয়ে চাহিদার তুলনায় ৪ থেকে ৬ গুণ বেশি গ্যাস ব্যবহার করছে। অথচ বেশি গ্যাস ব্যবহার করতে হলে মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি থেকে সিকিউরিটি মানি জমা দিয়ে অনুমোদন নিতে হয়, যা ওই কারখানাগুলো নেয়নি। শুধু তিতাসের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ওই কারখানাগুলো অবৈধভাবে অতিরিক্ত গ্যাস ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে। এতে একদিকে সরকার প্রতি বছর শত শত কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্য দিকে অবৈধ গ্যাস সংযোগের কারণে অন্যান্য কারখানাগুলোকে কম গ্যাস ব্যবহার করেও বিল হিসেবে অতিরিক্ত টাকা গচ্ছা দিতে হচ্ছে বলে কয়েকজন ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, তিতাস গ্যাস গাজীপুরের ব্যবস্থাপক সাব্বের আহমেদসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা যোগসাজশ করে ফার সিরামিকস লিমিটেড, সিআরসি গ্রুপ ও প্যারাগনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে অবৈধভাবে গ্যাস সরবরাহ করে কোটি কোটি টাকা উৎকোচ গ্রহণ করেন। এ ছাড়া গাজীপুর এলাকায় প্রায় ১৫০টি কারখানায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে প্রতি মাসে শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন তারা।