এনামুল হক বাউফল প্রতিনিধি :
বাউফলে সুমা আক্তার (২২) নামের এক গৃহবধূকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে কালিশুরী ফাঁড়ির পুলিশ ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছেন ।
জানা গেছে, তিন বছর আগে ধুলিয়া ইউনিয়নের চাঁদকাঠি গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে নাজমুল হোসেনের সাথে নাজিরপুর ইউপির তাঁতেরকাঠি গ্রামের সফিকুল ইসলাম তালুকদারের মেয়ে সুমা আক্তারের বিয়ে হয়। একে অপরকে ভালবেসে তারা বিয়ে করেন। এরপর স্বামীর সংসারে সুমা আক্তার কয়েক মাস ভাল থাকলেও এক পর্যায়ে তার স্বামী পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পরেন। এ নিয়ে দুই জনের মধ্যে চরম অশান্তি দেখা দিলে সুমা বাবার বাড়ি চলে আসেন। এ ঘটনা নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে বেশ কয়েকবার সালিস বৈঠক হলেও কোন মিমাংসা হয়নি।
এ বিষয়টি ৮-৯ মাস আগে সুমার পরিবারের পক্ষ থেকে বাউফলের ইউএনও মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামানকে অবহিত করা হলে তিনি ছেলে ও তার বাবাসহ পরিবারের অন্যান্যদের তার কার্যালয়ে ডেকে আনেন। এরপর উভয় পক্ষের সম্মতিতে তিন লাখ টাকা কাবিনে সুমাকে তার স্বামীর হাতে তুলে দেন। এসময় বাউফল উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন খান, নাজিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম ফারুক ও ধুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুর রব উপস্থিত ছিলেন। এরপর থেকে সুমা তার স্বামীর চলে যান।
সুমার বাবা সফিকুল ইসলাম জানান, তার জামাতা নাজমুল পরকীয়ায় আসক্ত ছিল। যে কারণে সুমার সংসারে অশান্তি লেগেই থাকত। এর জের ধরে সোমবার ভোর রাতে জামাতা নাজমুল হোসেন ও তার পরিবারের লোকজন সুমাকে নির্যাতন করে হত্যা করেছে। সুমা ইঞ্জিনিয়ার ফারুক তালুকদার মহিলা কলেজের ডিগ্রী দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিল।
কালিশুরী ফাড়িরর পুলিশ জানায়, সোমবার সকাল ৮টার দিকে একটি অটো গাড়িতে করে সুমাকে চাঁদকাঠি থেকে বাউফল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় একজন পুরুষ ও তিন মহিলা সাথে ছিল। সকাল ১০টার দিকে ওই অটো গাড়িতে করেই আবার সুমাকে কালিশুরী নিয়ে আসা হয়। সুমার সাথে গাড়িতে থাকা ওই পুরুষ ও তিন মহিলা চেয়ারম্যান বাড়িতে যাওয়া কথা বলে গাড়ি থেকে নেমে যায়। গাড়ির ড্রাইবার দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করার পরও তারা আর ফিরে আসেনি। এক পর্যায় সুমার নানা জালাল হাওলাদার এসে ওই গাড়িটি ফাঁড়িতে নিয়ে আসেন।
গাড়ির ড্রাইবার সোহেল জানান, সকাল ৯টার দিকে সুমাকে নিয়ে বাউফল হাসপাতালে যাওয়া হলেও হাসপাতালে ভিতরে তাকে ডুকানো হয়নি। গেটের সামনে থেকে গাড়ি ঘুড়িয়ে তাকে কালিশুরী যেতে বলা হয়। তখন সুমা জীবিত ছিল না মৃত ছিল তিনি তা জানেনা। তবে কোন সাঁড়া শদ্ধ ছিলনা।
এ ব্যাপারে বাউফল থানার ওসি বলেন, লাশ ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানঅয় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনার পর থেকে সুমার স্বামীসহ শশুর বাড়ির লোকজন গাঢাকা দিয়েছেন।
Advertisement