মাজহারুল ইসলাম, রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজীবপুরে প্রত্যান্ত অঞ্চলের ৪ টি গ্রামে পল্লী বিদ্যুৎ-এর শুভ উদ্বোধন করা হয়। রোববার (২৭ আগষ্ট) দুপুর ১টার দিকে এই শুভ উদ্বোধন করা হয়।
এ উপলক্ষে উক্ত এলাকার চর বন্দবেড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সাবেক ইউপি সদস্য সোহরাব হোসেনর সভাপতিত্বে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম-৪ এর জাতীয় সংসদ সদস্য রুহুল আমিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রৌমারী উপজেলা চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী, এলাকা পরিচালক গোলাম শহিদ, শৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিল, চরশৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান কেএম ফজলুল হক মন্ডল, বকসীগন্জ যোনাল অফিসের ডিজিএম আক্তারুজ্জামান, বকসীগন্জ এলাকা পরিচালক মিজবাউল হক তুহিন, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান তারা ও সাংবাদিক সাখাওয়াত হোসেন সাখা সহ আরো অনেকই।
সংযোগকৃত বিদ্যুৎতের এলাকাগুলো রৌমারী উপজেলার চর বন্দবেড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে চর বন্দবেড় গ্রামে ৯৮ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা ব্যয়ে ৫.৪৮ কিলোমিটার (৪৫৫ জন গ্রাহক), রাজীবপুর উপজেলার টাঙ্গালিয়াপাড়া গ্রামে ৪৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ২.২৫ কিলোমিটার (১২৪ জন গ্রাহক) ও ভূইয়াপাড়া গ্রামে ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১.৫ কিলোমিটার(৬৪ জন গ্রাহক) নতুন সংযোগের বিদ্যুৎ সুইচ টিপে শুভ উদ্ভোধন করেন কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য রুহুল আমিন। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সেবা পৌছে দেওয়ার প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রতি বাস্তবায়নের কার্যক্রম চলছে। আজকে আপনাদের এলাকার প্রায় ৭০০টি বাড়ীতে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হলো। এভাবে সারা দেশে ২০১৮ সালের মধ্যে প্রতি ঘরে বিদ্যুৎ সেবা পৌছে দেওয়া হবে।
পল্লী বিদ্যুৎ সম্পর্কে চর শৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান কে এম ফজলুল হক অভিযোগ করে বলেন, “বর্তমান সরকার উন্নয়নের সরকার। কিন্তু এই বিদ্যুৎকে কেন্দ্র করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি কু-চক্রমহল। তিনি এমপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন , আমরা জানতে পেরেছি প্রতিটি গ্রাহকের কাজ থেকে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি আরো বলেন, আমার নিজ এলাকায় পল্লী বিদ্যুৎতের দেড় বছর থেকে খুটি ও তাঁর টানিয়ে রাখলেই অদ্যবদি সংযোগ দেয়া হয়নি।”
আলোচনা শেষে রৌমারী উদ্দেশ্যে রওনা হলে পথিমধ্য পাওনাদার সাবেক (সেনা সদস্য) জিন্না এমপির মোটর সাইকেল পথরোধ করে দাঁড়ায়। পরে এমপি টাকা পরিশোধের প্রতিশ্রতি দিয়ে কৌশলে কেটে পরেন।