আইন ও বিচারজাতীয়

“সংস্কার সংঘের” উদ্যোগে “সংবিধান সংস্কার যাত্রায় সেকেন্ড রিপাবলিকের খোঁজে” শীর্ষক একটি জাতীয় সেমিনার

সেমিনারটির সভাপতিত্ব করেন ড. আবদুল ওয়াহিদ এবং সঞ্চালনা করেন সা’দ মুসান্না। সংস্কার সংঘের পক্ষ থেকে স্বাগত বক্তব্য দেন মো. মাহফুজ এলাহী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, “বর্তমানে যে সংবিধান আছে সেটা কি আদৌ একটা সংবিধান; নাকি শেখ হাসিনার গারবেজ? কারণ হলো শেখ হাসিনা এই সংবিধানকে একটা ফ্যাসিবাদী দলীলে রূপান্তরিত করেছে। এই ফ্যাসিবাদী দলীল দিয়ে কোন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হতে পারে না।”

তিনি আরো উল্লেখ করেন, “আমরা যদি বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যাই, এটি বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্খার প্রতিফলন ছিল। এটা একটি বড় প্রশ্ন।”

সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. আসমা সিদ্দিকা, সাবেক ডীন, আইন অনুষদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়; মাহমুদ রেজা চৌধুরী, মার্কিন প্রবাসী সমাজবিজ্ঞানী; ড. এম নজরুল ইসলাম, রাজনীতি বিজ্ঞানী, শাবিপ্রবি; মোতাহার হোসেন, সাবেক সচিব; অধ্যাপক ড. হাসানুজ্জামান, রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; শাহ আব্দুল হালিম, সাবেক ব্যাংকার ও কলামিস্ট।

প্রধান আলোচক ছিলেন ড. আব্দুল লতিফ মাসুম, সাবেক ভিসি, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. তারেক ফজল, রাজনীতি বিজ্ঞানী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

ড. তারেক ফজল জনগণের মালিকানা প্রয়োগের উপায় নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করে উল্লেখ করেন, “প্রজাতন্ত্রের ধারণাটি রাজার অধীন একটি ভাবকে প্রকাশ করে। এর প্রকৃত পরিচয় হওয়া উচিত জনতন্ত্র। এটি জনগণের শাসনের তন্ত্র নয়, হতে হবে জনগণের গঠনের তন্ত্র।”

ড. এম নজরুল ইসলাম উল্লেখ করেন, “বাঙালী জাতীয়বাদের সাথে ইসলামের কোন দ্বন্দ্ব নেই। ৪৭ থেকে ৭১ পর্যন্ত কোন দলই এধরণের বক্তব্য উপস্থাপন করেনি। এটি পরবর্তীতে চাপিয়ে দেয়া একটি বয়ান।”

আলোচকবৃন্দ নতুন আলোকে নতুন একটি সংবিধান প্রণয়নের ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করেন।

এ জাতীয় সেমিনার দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে নতুন দিগন্ত উন্মোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, এমন প্রত্যাশা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button