চাঁদা না দেওয়ায় মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে
জামালপুরের বকশীগঞ্জে দুই লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় সেলিম মিয়া (৪৫) নামে এক চা বিক্রেতাকে নাশকতা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। বুধবার বিকালে বিলেরপাড় নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীর স্ত্রী খোদেঁজা বেগম।
অভিযুক্ত বিএনপি নেতা আবুল কাসেম বিলেরপাড় গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে ও সাধুরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। তবে এ অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেছেন আবুল কাসেম।
খোদেঁজা বেগম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সাধুরপাড়ার গাজীরপাড়া বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান রয়েছে তাদের। সেখানে চা বিক্রি করেই সংসার চালান তার স্বামী সেলিম মিয়া। দুই সপ্তাহ আগে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির কথা বলে সেলিম মিয়ার কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন বিএনপি নেতা কাসেম।
খোদেঁজা বেগম অভিযোগ করে বলেন, টাকা না দিলে সেলিম নাশকতার মামলার আসামি হবে বলে বিএনপি নেতা হুঁশিয়ারি দেন।তাতেও টাকা না দেওয়ায় সেলিমের উপর ক্ষিপ্ত হন কাসেম। গত ১০ নভেম্বর পুলিশ এসে সেলিম মিয়াকে ধরে নিয়ে যায়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা কাশেমও উপস্থিত ছিলেন। পরদিন স্থানীয় আরেক বিএনপি নেতার দায়ের করা নাশকতার মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে আদালতে পাঠানো হয়।বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন তিনি।
খোদেঁজা বেগমের দাবি, সেলিম মিয়া কোন রাজনীতি করে না। চায়ের দোকান করে সংসার চালায়। টাকা না দেওয়ার কারণেই তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। ন্যায় বিচারের জন্য জামালপুর-১ আসনের সাবেক এমপি কেন্দ্রীয় বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামানের মিল্লাতের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম বলেন, সেলিম মিয়া ও তার পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। সাধুরপাড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য সে। তার সাথে দীর্ঘদিন আমি কথাই বলিনা, চাঁদা চাইবো কিভাবে। আমার সুনাম ক্ষুণ্ণ করতেই একটি পক্ষের ইন্ধনে আমার বিরুদ্ধে এমন মিথ্যাচার করছে।
এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব মানিক সওদাগর বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত নই। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, তদন্ত সাপেক্ষে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।