আইন ও বিচারএক্সক্লুসিভরাজনীতি

মুজিববাদের কোনো স্থান এ দেশের মাটিতে আর নেই : ববি হাজ্জাজ

অন্তর্বর্তী সরকারের আইনগত বৈধতা প্রদানে জারি হতে যাওয়া অধ্যাদেশের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেছেন, ‘গণতান্ত্রিক বিশ্বের কোথাও অনির্দিষ্টকালের জন্য কোনো সরকার হয় না।’

তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যম সূত্রে আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে আইনি কাঠামোর মধ্যে বৈধতা প্রদানের জন্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক একটি অধ্যাদেশ জারির খবর শুনেছি। সেখানে সরকারের মেয়াদ নির্দিষ্ট না থাকা, সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না বিষয়ক যে ধারাগুলো সংযোজিত হতে যাচ্ছে বলে শুনেছি তা আসলে অপ্রয়োজনীয়।’

বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর মালিবাগে অবস্থিত এনডিএম ঢাকা মহানগর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দলের এক প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার আমাদের সকলের সমর্থনে গঠিত একটি জনপ্রত্যাশার সরকার। এই সরকারের সব কর্মকাণ্ডকে পরবর্তী নির্বাচিত সংসদ এমনিতেই বৈধতা প্রদান করবে। অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে আলাদা করে আইনি সুরক্ষা নেওয়ার কোনো দরকার আছে বলে আমরা মনে করি না।’

এনডিএম মহাসচিব মোমিনুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ববি হাজ্জাজ বলেন, ‘বাংলাদেশের জাতির পিতা কোনো একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তি না।এই রাষ্ট্রকে প্রতিষ্ঠার জন্য মেহনতি মানুষ থেকে শুরু করে অসংখ্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব জীবন-যৌবন উৎসর্গ করেছে। শেখ মুজিবকে আওয়ামী লীগ যেভাবে ব্র্যান্ডিং করেছে আমরা সেটাকে মুছে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে কার কী অবদান সেটা সঠিকভাবে তুলে ধরতে চাই। তবে আওয়ামী লীগের মুজিববাদের কোনো স্থান এ দেশের মাটিতে আর নেই।’

ববি হাজ্জাজ বলেন, ‘নিত্যনতুন বিতর্ক তৈরি হচ্ছে।ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলনের থাকা রাজনৈতিক দলগুলো এখনো নির্বাচনের প্রশ্নে একমত হতে পারছে না। তবে এক্ষেত্রে কিছু কিছু দল নিজেদের রাজনৈতিক এবং সাংগঠনিক স্বার্থে সময়ক্ষেপণের পক্ষে বলে আমরা মনে করছি। জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কথা বলা এখন সময়ের দাবি।’

ববি হাজ্জাজ বলেন, ‘সরকারের উপদেষ্টাদেরকে গণসংযোগ বাড়াতে হবে। শুধু সচিবালয়ে বসে মাঠপর্যায়ের বাস্তবতা বোঝা যায় না।দেশের মানুষ দ্রুত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরতে চায় এবং জনজীবনে স্বস্তি চায়।’

এনডিএম মহাসচিব মোমিনুল আমিন বলেন, ‘ভেঙে যাওয়া বিশ্বাস আর হারানো সময় কখনো ফিরে আসে না। এই উপলব্ধি আওয়ামী লীগের মধ্যে নেই বলেই তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। জুলাই বিপ্লবের চেতনার মূলে ছিল বৈষম্য, ভোটাধিকার হরণ এবং লুটপাট, নিপীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে গর্জে উঠা। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক পুনর্বাসনের যেকোনো সুযোগ এই চেতনার পরিপন্থী।’

প্রতিনিধি সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন এনডিএমের ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক জাবেদুর রহমান জনি, মহানগর নেতা মিয়া তানভির শহিদ, আসিফ ইকবাল আহমেদ তামিমসহ এনডিএম ঢাকা মহানগর, যুব আন্দোলন এবং ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button