মক্কা হজ মিশনে ১২ কর্মী নিয়োগে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ পতিত হাসিনার প্রেতাত্মা জহির বহাল তবিয়তে!

মোল্লা নাসির উদ্দিনঃ
জুলাই-আগষ্টের ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পর তার দোসরদের কিছু কিছু বদলি অব্যাহতি হলেও অনেক প্রশাসনের অনেক স্থানে প্রেতাত্মারা এখনো বহাল তবিয়তে। সউদী আরবেরে জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের হজ উইংয়ে ফ্যাসিস্ট পতিত হাসিনার প্রেতাত্মাদের গায়ে আঁচড় লাগেনি। দোর্দাণ্ড প্রতাবশালী পতিত হাসিনার আস্থাভাজন মক্কা হজ মিশনের কাউন্সেল হজ এবং নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব কারাবন্দি জাহাঙ্গীর আলমের ছোট ভাই মো. জহিরুল ইসলাম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র লীগ নেতার দাবিদার হজ উইংয়ের কনসাল হজ আসলাম উদ্দিন এখনো বহাল তবিয়তে। এতে সউদী আরবের প্রবাসী কমিউনিটির মাঝে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। সউদী থেকে একাধিক সূত্র এতথ্য জানিয়েছে।
মক্কা-মদিনায় বাংলাদেশি হজ অফিসে ১২জনকে স্থায়ীভাবে বিভিন্ন পদে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ফ্যাসিস্ট পতিত হাসিনার প্রেতাত্মা কাউন্সেলর হজ জহিরুল ইসলাম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র লীগ নেতা কনসাল হজ আসলাম উদ্দিনের আর্শিবাদে মক্কা-মদিনায় বাংলাদেশি হজ মিশনের ক্লিনার থেকে অফিস সহকারী পর্যন্ত সকল পদে আওয়ামী লীগের সমর্থক হওয়ায় এবং নিকট আত্মীয় ও নিজ জেলার নিয়োগ পেয়েছেন অধিকাংশ কর্মচারী। নিয়োগ সার্কুলারের বয়স উল্লেখ ছিলে ২১ থেকে ৩০ বছর কিন্ত কাউন্সেলর হজ জহিরুল ইসলামের আপন বোনের দেবর সরোয়ারের বয়স ৫০ বছর হয়েও নিয়োগ পেয়েছেন হজ মিশনের ১ লাখ ৭৯ হাজার টাকার বেতনে। যার সউদীতে পেশা বাসার দারোয়ান। পিরোজপুর তৎকালীন আওয়ামী লীগের এম পি আব্দুল আউয়ালের সুপারিশে নিয়োগ দেয়া হয়েছে একই জেলার সুমনকে।
গত ২২ অক্টোবর কাউন্সিলর হজ মো.: জহিরুল ইসলাম জেদ্দা, মক্কা, মদিনা হজ্জ অফিসে ১২ জনকে স্থায়ী ভাবে বিভিন্ন পদে নিয়োগ দিয়েছেন। কিন্তু যাদেরকে নিয়োগ দিয়েছেন বেশিরভাগই বয়স ৪০ বছরের উপরে। নিয়োগে আত্মীয়করণ ও স্বজনপ্রীতি এলাকার এবং মক্কায় মামলার আসামি তাদেরকে নিয়োগ দিয়েছেন। কাউন্সিলর হজ মো. জহিরুল ইসলাম তার বাড়ি বরিশাল হওয়ার কারণে বরিশাল বিভাগের ১২ জনের অনেকেরই লোক নিয়োগ করা হয়েছে। আনোয়ার হোসেনের বাড়ি কাউন্সেলরের এলাকার মদিনা হজ অফিসে চাকরিরত। আব্দুল্লাহ মিঝি বাড়ি পিরোজপুর তিনি সউদীতে মামলার আসামি তাকে সর্ব প্রথম কনসুলেট হজ উইং থেকে ভিসা দেয় এবং গত বছর সউদীতে প্রবেশ কালিন মামলা থাকায় জেদ্দা ইমিগ্রেশন থেকে একই ফ্লাইটে তাকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। বিতর্কিত ওই ব্যক্তিকে পুনরায় ভিসা দিয়ে সউদী নেয়ার জন্য কাউন্সেলর হক জহিরুল ইসলাম মরিয়া। যার কারণে দেশের ভাবমর্যাদা ইতিপূর্বে নষ্ট হয়েছে। কাউন্সিলর হজ মো. জহিরুল ইসলাম ও কনসাল হজ মো. আসলাম উদ্দিন তাদের মেয়াদ গত ৮ জানুয়ারি শেষ হবার কথা।