কর্মকর্তাদের ‘লকার খুলতে’ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে দুদক

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের লকার খুলতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে প্রবেশ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ৮ সদস্যের প্রতিনিধিদল। জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় নজরদারিতে থাকা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান ৩৫ কর্মকর্তার লকার খোলা হবে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ ব্যাংকে পৌঁছে প্রতিনিধি দলটি।
বিদেশি নাগরিকত্ব গ্রহণ করে অর্থপাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ সম্পদ অর্জন, শেয়ারবাজার থেকে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া, রিজার্ভের অর্থ তছরুপ ও সঞ্চয়পত্র জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে এসব কর্তকর্তার বিরুদ্ধে। লকারে রক্ষিত অর্থস-ম্পদ বা নথিপত্রের তালিকা করা হবে।জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত বা আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ কোনো সম্পদ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিষয়ে পরবর্তী সময়ে তদন্ত করা হবে।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লকার খোলার অনুমতি দেন। এরও আগে আদালতের অনুমতি নিয়ে এসব কর্মকর্তার লকারগুলো ফ্রিজ করা হয়।
এর আগে ২৬ জানুয়ারি আদালতের অনুমতি নিয়ে দুদকের একই দল বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুরের ‘সেফ ডিপোজিট’ তল্লাশি করে।সেখানে তিনটি সিলগালা কৌটা খুলে ৫৫ হাজার ইউরো, ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার, এক কেজি ৫ দশমিক ৪ গ্রাম সোনা এবং ৭০ লাখ টাকার এফডিআর পাওয়া যায়।