বানিজ্য সংবাদ

তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হতে ১০ দিন লাগবে

আমদানি করা ভোজ্যতেল গত ডিসেম্বরে দেশে আসার কথা থাকলেও ব্রাজিলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তা আসতে দেরি হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই তেলের জাহাজ আসবে। এতে ২৬ ফেব্রুয়ারির পর তেলের সংকট থাকবে না। অর্থাৎ বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক হতে ১০ দিনের মতো লাগবে।


গতকাল রোববার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবনে অধিদপ্তরের কার্যালয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন ভোজ্যতেল আমদানিকারকরা। এ পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বলেন, ভোজ্যতেলের সঙ্গে চাল, আটা ও চা পাতাসহ অন্য পণ্য কিনতে ভোক্তাদের শর্ত জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। এসবের প্রমাণ মিলেছে। এখন থেকে শর্ত দিলে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ও ডিলারদের। 
গতকাল পবিত্র রমজান উপলক্ষে ভোজ্যতেলের হালনাগাদ তথ্য সম্পর্কে অবহিত, মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ওই সভার আয়োজন করা হয়। খুচরা ব্যবসায়ীদের পক্ষে নিউমার্কেটের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের বলেন, ‘পাঁচ কার্টন তেল চাইলে ডিলাররা দেন এক কার্টন। ডিলাররা বলছেন, সরকারের সঙ্গে কোম্পানিগুলোর আলোচনা হচ্ছে, দাম বাড়ালে তেল বাজারে ছাড়বে তারা। এ ছাড়া তেলের সঙ্গে অন্য পণ্য কিনতে হয়।’ 

কারওয়ান বাজারের ইসলামিয়া শান্তি সমিতির উপকমিটির আহ্বায়ক আব্দুর রহমন বলেন, কোম্পানিগুলো কয়েক মাস ধরে চাহিদা অনুযায়ী তেল দিচ্ছে না। অর্ডার নিয়ে ১৫ থেকে ২০ দিন ধরে ট্রাক বসিয়ে রাখা হয়।  
মিলারদের উদ্দেশে পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মওলা বলেন, ‘বাজারে সরবরাহ ঠিক রাখেন। ভোক্তাদের হয়রানি করবেন না।’ 
আমদানিকারকদের পক্ষে টি কে গ্রুপের পরিচালক শফিউল আথহার তাসলিম বলেন, বিদেশ থেকে সয়াবিন তেল আসতে ৫০ থেকে ৬০ দিন ও পাম অয়েল আসতে ১০ থেকে ১২ দিন লাগে। বর্তমানে আমদানিকারকরা সরকারি দরের চেয়ে ১৫ টাকা কম দামে পাম অয়েল বিক্রি করছেন। ব্রাজিলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তেল আসতে দেরি হয়েছে। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারির পর সংকট কেটে যাবে। সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিত সাহা বলেন, স্বাভাবিকের চেয়েও বেশি পরিমাণে খোলা ও বোতলজাত তেল ডিলারদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। 
এদিকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ভেজিটেবল ওয়েল রিফাইনার্স ও বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, পবিত্র রমজানকে সামনে রেখেই বাড়তি চাহিদা বিবেচনায় স্বাভাবিক সময়ের চেয়েও বেশি তেল সরবরাহ করা হচ্ছে। তাই সংকটের কোনো সুযোগ নেই। কিছু ব্যবসায়ীর মজুতের প্রবণতা থেকে যদি সংকট হয়ে থাকে, তাও অচিরেই কেটে যাবে। 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button