অপরাধঅব্যাবস্থাপনা

কাশিয়ানী থানার ওসি শফিউদ্দিনের  বেপরোয়া ঘুষ বানিজ্য 

স্টাফ রিপোর্টার: গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার সদর  ইউপি সদস্যের নিকট এসি ক্রয়ের জন্য ঘুষ চেয়েছেওসি। স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা শওকত আলী (দিদার) হ’ত্যা মামলাকে পুঁজি করে কাশিয়ানী থানার ওসি শফিউদ্দিন খান বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। 

ওসি শফিউদ্দিন শুধু অর্থই ঘুষ নেন না। হাঁস-মুরগী, মাছ-মাংস, দুধ, স্বর্ণ-গহনাসহ বিভিন্ন উপকরণ, এমনকি পায়ের জুতাও উপঢৌকন নেন। উৎকোচ একবার নিয়ে ক্ষ্যান্ত হন না, একই ব্যক্তির নিকট থেকে দফায় দফায় ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। 

এমন ভুক্তভোগী কাশিয়ানী সদর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য জাকির হোসেন। হ’ত্যা মামলাসহ বিভিন্ন মামলায় আসামি করার ভয় দেখিয়ে তার কাছ থেকে ২লাখ টাকা হাতিয়ে নেন ওসি। শুধু তাই নয়, ৫০ হাজার টাকার মাছও ঘুষ নিয়েছেন। 

গত ২৩ মার্চ ওই ইউপি সদস্যকে আবারও মামলার ভয় দেখিয়ে ওসি শফিউদ্দিন ১ লাখ ৬৬ হাজার টাকার এসি (শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র) জোরপূর্বক কিনিয়ে নিয়েছেন। যা তিনি নিজে গোপালগঞ্জ এলজির শোরুমে গিয়ে পছন্দ করে নিয়েছেন এবং থানায় তার ব্যক্তিগত কক্ষে লাগিয়েছেন। ভুক্তভোগী জাকির হোসেন বলেন, ‘মামলার ভয় দেখিয়ে ওসি আমার কাছ থেকে কয়েক দফা টাকা নিয়েছেন। আবার একটা এসি দাবি করেন। কাছে নগদ টাকা না থাকায় নিরুপায় হয়ে কিস্তিতে কিনে দিয়েছি। ঈদে ছেলে-মেয়েদের নতুন জামা-কাপড় পর্যন্ত কিনে দিতে পারিনি। এতেও ক্ষ্যান্ত হননি ওসি, ঈদের আগের দিন আবারও হটসঅ্যাপ নম্বরে কল করে কিছু টাকা চান তিনি।’ 

ওসি শফিউদ্দিন খান এর বক্তব্য নেওয়ার জন্য জনৈক সাংবাদিক সরকারি মোবাইল  নাম্বারে বার বার কল করলেও রিসিভ করেনি। ফলে তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি।

সম্প্রতি এসি কিনে দিতে ইউপি সদস্যের সাথে ওসির কথোপকথনের একটি কলরেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যা নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button