সাভার সার্কেল শাহিনুর কবির ও আশুলিয়া থানা তদন্ত ওসি কামাল সহ তিন জনের বিরুদ্ধে নারী ভুক্তভোগীকে হয়রানির অভিযোগ

অপরাধ বিচিত্রাঃ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহিনুর কবির ও আশুলিয়া থানার তদন্ত অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন, উপপরিদর্শক সাইফুল ইসলাম সহ তিনজনের বিরুদ্ধে এলাকার ভূমিদস্যু প্রভাবশালীদের দ্বারা নির্যাতনের শিকার নারী ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের লোকজনকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
কল্পনা আক্তার নমের ভুক্তভোগী ওই নারী এলাকার প্রভাবশালীদের দ্বারা নির্যাতনের আইনি প্রতিকার ও আশুলিয়া থানা পুলিশের হয়রানি থেকে পরিত্রাণ পেতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সাভার সার্কেল) শাহিনুর কবির, আশুলিয়া থানা তদন্ত পরিদর্শক কামাল হোসেন, উপ-পরিদর্শক সাইফুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে গত ৬ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) পুলিশ সদর দপ্তর ঢাকা,বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে ক্ল্পনা আক্তার সংবাদকর্মীদের বলেন, এলাকার একটি চিহ্নিত মহল আমার দলিলপত্র-রেকর্ডমূলে ভোগ দখলীয় বৈধ সম্পত্তি গ্রাস করতে উঠে পরে লেগেছে পাওয়ার অব এ্যাটার্নির ভুয়া দলিল তৈরি করে আদালতে মামলা দিয়েছে তার পরিপেক্ষিতে আমি আমার সকল প্রকার দলিল প্রমাণাদি আদালতে পেশ করলে তা দেখে ন্যায়বিচারে পরাজিত হওয়ার আশংকায় তারা এখন মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আশুলিয়া থানা পুলিশের সাথে আতাত করে আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনকে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি ও নির্যাতন শুরু করেছে।
স্থানীয় বিএনপি নেতা ইসরাফিল হোসেন ও ভূমিদস্যু মানিক হাজীর নেতৃত্বাধীন উক্ত প্রভাবশালী চক্রটি আমার জমিতে গত ২৬ মার্চ ২০২৫ তারিখে প্রায় শতাধিক সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে জোর-জবরদস্তি হামলা চালিয়ে আমাদের নির্মিত টিনশেড একটি বাড়ি ভাঙচুর করে এবং আনুমানিক এক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধন করেছে এবিষয়ে আমি আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া সত্ত্বেও মামলা না নিয়ে উল্টো আমাকে আপোষ মিমাংসা করার প্রস্তাব দেন। আমি মিমাংসা করবো না মর্মে জানালে বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে মিথ্যা মামলার হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। এবং কি গত দেড় মাস পূর্বে ঢাকা জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহিনুর কবিরের প্রত্যক্ষ মদদে আশুলিয়া থানার তদন্ত ওসি কামাল হোসেন ও এস আই সাইফুল ইসলাম কোন প্রকার তদন্ত না করে ঝুট ব্যবসায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাগুলির মিথ্যা একটি মামলায় আমার কলেজ পডুয়া ছেলেকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছিল। এখন আমাকে ও আমার স্বামীকে এমন হুমকি ধামকি দিচ্ছেন।
যার ফলে আমি আমার পরিবার ব্যাপক নিরাপত্তা হীনতায় ভুগতেছি। এদিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহিনুর কবিরের চিহ্নিত পেইড দালালের মাধ্যমে ভূমিদস্যু মানিক হাজীকে জমি ছেড়ে দিয়ে দখল বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশও দিচ্ছেন লোক মারফতে ।
কল্পনা আক্তার আরো বলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহিনুর কবির গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে সাভারে কর্তব্যরত রয়েছেন এরমধ্যে তার বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ উঠেছে । তিনি আদালতে বিচারাধীন জায়গা-জমির মামলাও টাকার বিনিময়ে নামমাত্র সালিশির নামে তার পক্ষকে প্রদান করার নির্দেশ দিয়ে থাকেন থানায় কর্মরত অফিসারদের। তার মধ্যে অন্যতম আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম যিনি নিজেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সাভার সার্কেল) শাহিনুর কবিরের খুব ঘনিষ্ঠ ও কাছের এস আই বলে বিভিন্ন যায়গায় পরিচয় দেন। এবং কি আশুলিয়া থানার সকল প্রকার অবৈধ লেনদেন তাঁর মাধ্যমে শাহিনুর কবিরের কাছে পৌঁছায় বলে অনেকেই জানেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহিনুর কবির ও আশুলিয়া থানার ওসি তদন্ত কামাল হোসেন সহ উপ-পরিদর্শক সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীর আনিত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে, সাইফুল ইসলাম জানান, কল্পনা আক্তারের সাথে আমার ব্যক্তিগত কোন দন্ধ নেই আমি উনার ছেলেকে গ্রেফতার করেছিলাম ঠিকই কিন্তু সেটা উপর মহলের নির্দেশে কারণ সেই মামলার( আই ও) আমি ছিলাম না। তবে হ্যা মানিক হাজী কল্পনা আক্তারের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করেছে সেইটার (আই ও) আমি। হয়তো এজন্য আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত ওসি কামাল হোসেনের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি ছুটিতে আছেন বলে জানান।
সর্বশেষ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহিনুর কবিরের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, কল্পনা আক্তার ও মানিক হাজীর বিষয়টি আইজি স্যার এবং ডি আইজি স্যার জানেন তাঁরা এটাকে আপোষ মিমাংসা করে দিতে বলেছেন প্রয়োজনে আমাদের পুলিশ সহযোগিতা করবে।