অব্যাবস্থাপনা

রাজধানীর শ্যামপুরে দক্ষিণ বাংলা আবাসিক হোটেলে চলছে মাদক ও দেহ ব্যবসা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজধানীর শ্যামপুরে পুলিশের নাকের ডগায় দক্ষিণ বাংলা আবাসিক হোটেলে রমরমা মাদক ও দেহ ব্যবসার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, শ্যামপুর মডেল থানাধীন পোস্তাগোলা সেনানিবাস সংলগ্ন ৬৮ আল-আমিন সুপার মার্কেট দক্ষিণ বাংলা আবাসিক হোটেলে দীর্ঘদিন ধরে লোকচক্ষুর আড়ালে চলে আসছে অনৈতিক দেহ ব্যবসা ও মাদক ব্যবসা। আর ওই হোটেলে উঠতি বযসী ছেলে-মেয়েরাসহ বিভিন্ন শহর ও গ্রামঞ্চাল থেকে আগত যাত্রী ও মোটর শ্রমিকদের আনাগোনাই বেশি। এতে ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ ও উঠতি বযসের ছেলে মেয়েরা । হোটেলে এই ব্যবসার বিষয়টি স্বীকারও করেছেন হোটেলটির ম্যানেজার হানিফ। অনেক কিছুই ম্যানেজ করে এ কাজ করা হয় বলে জানা যায়। দ্বিতীয় ধাপে আসবে কাস্টমারের পছন্দের নারী খোঁজ মিলবে, ইচ্ছে মতো রমনীদের দেখে-শুনে কথা বলে পছন্দ করার বিষযটি। রুমে রুমে রয়েছে একাধিক নারী। বিভিন্নভাবে কাস্টমারকে আকৃষ্ট করতে তারা ব্যস্ত। পছন্দ হলে চলে দরকষাকষি। বাস্তবে এমন চিত্র দেখা গেছে যে, দরকষাকষির এক পর্যায়ে হোটেল থেকে ফিরে আসতে গেলে যে সাথে বিভিন্নভাবে অঙ্গাভঙ্গির মাধ্যমে আকৃষ্ঠ করার চেষ্টাও করছে হোটেলে থাকা মেয়েরা। কৌশলে পরিচয় জানতে চাইলে নিজেকে কলেজ ছাত্রী বলে দাবি করেন। অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, এসব অবৈধ দেহ ব্যবসায় জড়িতরা বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও গ্রামঞ্চল থেকে এসেছে তারা। এদের রয়েছে এক ধরনের দালাল চক্রের নেটওয়ার্ক। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন এলাকার পরিবেশ-পরিস্থিতি বুঝে এই অবৈধ ব্যবসা করে আসছে বলে জানা যায়। এ বিষয়ে দক্ষিণ বাংলা আবাসিক হোটেলের ম্যানেজারা হানিফ ও সবুজ মোটো ফোনে বলেন, হোটেলের মালিক আমি না মালিক বরিশাইল্লা রিপন সাহেব। তবে প্রতিবেদককে সংবাদ প্রচার না করা শর্তে হোটেলের ম্যানেজার বিপ্লব টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন, সরেজমিনে গেলে হোটেল কর্তৃপক্ষ হোটেল দক্ষিণ বাংলা- ম্যানেজার হানিফ/সবুজ ও বিপ্লব এর কাছে ওই অবৈধ কর্মকান্ডের তথ্য আনতে প্রতিবেদকের বাধা সৃষ্টি করে। আবাসিক হোটেলের নামে দিনের পর দিন চলছে এই রমরমা দেহ ব্যবসা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আবাসিক হোটেলে কর্মরত এক ব্যক্তি সংবাদকর্মীকে জানান, আমি এখানে চাকরি করি। হোটেলের মালিক পক্ষ বিভিন্ন বয়সের নারীদের নিয়ে এসে অসামাজিক কর্মকান্ডের ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। এ বিষয়ে শ্যামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম এর নিকট মুঠোফোনের মাধ্যমে জানতে চাইলে ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, “শ্যামপুর থানাধীন দক্ষিণ বাংলা আবাসিক হোটেলে মাদক এবং দেহ ব্যবসার ব্যাপারে আমার জানা নেই। তবে এ রকম অনৈতিক কর্মকান্ডের ব্যাপারে সংবাদকর্মীর নিকট অবগত হয়ে শ্যামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button