বরগুনায় ভূমি অফিসের পুকুরের মাছ ধরে ২০০ টাকা দরে বিক্রির অভিযোগ

বরগুনা প্রতিনিধিঃ আজ ২৪ এপ্রিল রোজ মঙ্গলবার সকাল ছয়টায় বরগুনা বালিকা বিদ্যালয় সম্মুখে খাস কাচারি পুকুরের মাছ ধরে নিয়ে যায় ভূমি অফিস সহকারী আবুল হোসেন তিনি ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা বরগুনা সদর বরগুনা কর্মরত আছেন। জানা যায় রাত্র তিনটার দিকে মাছ ধরার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল একদল জেলে। আবুল হোসেনের নেতৃত্বে সময় সুযোগ অপেক্ষা করতে ছিল ৬ নং হাজার বিঘা গ্রামের জেলেরা।
জেলেরা আরো জানায় ৬০০০ টাকায় সাতজন জেলে দুইবার জাল টানবেন। চুক্তি মোতাবেক ১০০০ টাকা কম দিয়ে , ৫ হাজার টাকা দিয়ে জেলেদের বিদায় করেন আবুল হোসেন । বরগুনা বালিকা বিদ্যালয় নাইট গার্ড দীর্ঘদিন পুকুরে পাহারা দিয়ে আসছিল উক্ত মাছ ধরায় আনন্দিত হয়ে তাকে একটি মাছ ও না পাওয়ায় তিনিও দুঃখ প্রকাশ করলেন।
ভূমি অফিসে ছোট বড় বিভিন্ন কর্মকর্তা রয়েছেন, অনেকের ভাগ ছোট বড় হয়েছে এমনকি ভাগ ২০০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। বরগুনা জেলা অফিসের নিচে ছোট বড় বিভিন্ন রকমের ২৭ টি ভাগ হয়। ওই ভাগেঁর মধ্যে জেলেদের কোন ভাগ না থাকায় এবং তাদের ১০০০ টাকা কম দেওয়ায় দুঃখ ও দাবি জানিয়েছে তাদের ন্যায্য মূল্য ফিরে পাওয়ার। বরগুনা জেলা শহরে খাসকাচারি পুকুর অনেক প্রাচীন এখানে অনেক বড় বড় মাছ রয়েছে এমনটি গল্প কিন্তু বিগত দিনের শুনে আসলেও সর্বোচ্চ ২ কেজি ওজনের মিনার কাপ উঠেছে ।
যে পরিমাণে মাছ থাকার কথা তা বরগুনা সাধারণ মানুষ প্রকাশ্যে দেখেছে। এই পানি ব্যবহার করে আসছেন এলাকাবাসী, কিন্তু কখনো চিন্তা করে নাই এই পুকুরে মাছ শূন্য। বড় ছোট বিভিন্ন প্রজাতির সব মিলিয়ে তিন বস্তা দুই বালতি মাছ উঠেছে যার মধ্যে তেলাপিয়া ,মিনার কাপ ,সিলভার কাপ, চিংড়ি, শিং ,শোল এবং কই মাছ।
খাস্কাচারী পুকুর দৈনন্দিন জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এখানে হিন্দুদের বিভিন্ন পূজা আরাধনার স্থান। খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায় বিভিন্ন সরকারি পুকুর কিংবা দিঘির মাছগুলো এভাবেই লুটপাট করেছে বরগুনা জেলার ভূমি সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিস সহকারী আবুল হোসেন।
আবুল হোসেন তার সহকর্মীদের সঙ্গেও সুষম বন্টন করতে ব্যর্থ হয়েছেন নাম না প্রকাশের শর্তে এক সহকর্মী জানায় তিনি বরাবর আমাদের ভাগে কম দিয়ে থাকেন এবং তিনি দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে বেরিয়ে যান ওই জায়গা থেকে। শুধু তাই নয় আবুল হোসেন মাছ ধরার সময় কেউ যাতে ভিডিও না করতে পারে সেজন্য তাকে ধমক দিয়ে থামিয়ে দেন ।