অব্যাবস্থাপনা

টঙ্গী গাজীপুরে কথিত ভুয়া সাংবাদিকদের ভয়ংকর প্রতারনার শিকার

মোহাম্মদ হাসানঃ টঙ্গী গাজীপুর উত্তরা কামারপাড়া এয়ারপোর্ট সহ যৌনকর্মী ভবঘুরে মাদক ব্যবসায়ী পেশাদার অপরাধীদের গলায় ঝুলছে বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিকতার আইডি কার্ড।

এই সকল সাংবাদিকতার আইডি কার্ড জুলিয়ে দলবদ্ধ হয়ে টঙ্গী গাজীপুর ও বিভিন্ন এলাকায় পাড়া মহল্লায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাদের পেটে বোমা মারলেও দুই লাইন লেখার যোগ্যতা নেই অথচ রিপোর্টার পরিচয়ে চিহ্নিত দেহ ব্যবসায়ীদের  সহযোগী বানিয়ে প্রশাসনিক সহযোগিতা জুটিযেই গড়ে উঠেছেন ভয়ংকর সিন্ডিকেট। তাদের অব্যাহত ব্ল্যাক মেইল তাদের নানা ধরনের হয়রানির কবলে বলে টঙ্গী গাজীপুরের মধ্যে টঙ্গী থানা টুঙ্গি পশ্চিম থানা জয়দেবপুর থানা মিরের বাজার থানা উত্তরা পূর্ব থানা উত্তর পশ্চিম থানার কর্মকর্তারা তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। ভুয়া সাংবাদিকদের অপ্রতিরোধ্য প্রকৃত সাংবাদিকরা যেমন বিব্রত তেমনি  বিরক্ত বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। এরা প্রায়ই থানায় দারোগাদের সাথে গভীর রাত পর্যন্ত আড্ডাবাজিতে মত্ত থাকে।

প্রশাসনের সোর্স হিসেবে তারা বিশ্বস্ত। ঘুষ বাণিজ্য সহায়ক! গাজীপুর টঙ্গী উত্তরা চিহ্নিত চাঁদাবাজরা রীতিমতো সাংবাদিক অফিস স্থাপন করে বসেছে। থানায় আশা যাওয়াই মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদে নামে হেনস্থা করা আসামি ধরানো ছাড়ানো বিচার সালিশের মাধ্যমে যে কোন অপরাধের মিট মীমাংসা করিয়ে দেয়ার মত জঘন্য দালালিতে মেতে উঠেছে তারা। কাজের অব্যাত অত্যাচারের মুখে সাধারণ বক্তব্য বগী মানুষ জন থানায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে রীতিমতো আতঙ্কে ভুগছেন। গাজীপুর ও উত্তরা ঢাকা জুড়ে সাংবাদিকতার নামে চলছে ভয়ংকর সব কাজ কারবার।

চিহ্নিত অপরাধীরা বুকে পিঠে সাংবাদিকতার আইডি কার্ড ঝুলিয়ে বহুমুখী প্রতারণায় নেমে পড়েছে। এ ধরনের বেশ কয়েকটি চক্র গোটা গাজীপুর উত্তরা কামারপাড়া এয়ারপোর্ট গিলে খেতে শুরু করেছে। তারাই নিরীহ লোকজনকে নানা ভাবে হয়রানি ও বিভিন্ন মামলার ভয় ভীতি প্রদর্শন করেছে বলে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সাংবাদিকতার পরিচয়ে এরা বাজি জমি দখল দোকানপাট দখল ধর্ষণ মামলা মাদক ব্যবসাসহ নানা অপকর্মে জড়িত হয়ে পড়েছে। এই চক্রে বিতর্কিত নারী সদস্যরা থাকেন। এরা মোটরসাইকেল প্রাইভেট কার মাইক্রোবাসে প্রেস কিংবা সংবাদপত্র লিখে পুলিশের সামনে দিয়েই নির্বিঘ্নে দাবডে বেড়ায়। এদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও বিভিন্ন যানবাহন ও থাকে চোরাই এবং সম্পূর্ণ কাগজপত্র বিহীন। ভুয়া সাংবাদিক আর কথিত মানবাধিকার কর্মীদের নানা অপকর্মের কারণে প্রকৃত পেশাদার সাংবাদিকদের ভাবমূর্তি এখন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

টঙ্গী গাজীপুর আমার পাড়া উত্তরা মিরের বাজার কথিত ভুয়া সাংবাদিকরা নানা সিন্ডিকেট বিভক্ত হয়ে অভিনব সকল কৌশলে প্রতারণা চালিয়ে আসছে। প্রতিটি সিন্ডিকেটের পক্ষ থেকে তথাকথিত অনলাইন নিউজ তৈরি করে নিজেদের আইডিকার্ড ও বানিয়ে নেয় তারা। গণ্ডমূর্খ এক এক  জন রাতারাতি চিপ রিপোর্টার নিউজ এডিটর, এডিটর পদবী দারুন করে রংবেরঙের ডিজিটিং কার্ড ও বিলিয়ে বেড়ান। যত্রতত্র গড়ে তুলেন প্রেস ক্লাব, রিপোর্টার্স ক্লাব, ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটি, ইত্যাদি নামের বিভিন্ন সংগঠন। এ সকল সংগঠনের ব্যানারে ও চলে নানা অজুহাতের চাঁদাবাজি। বৃহত্তম গাজীপুর, উত্তরা কামারপাড়া এয়ারপোর্ট কাশেমপুর  নানা নামে ৩১ টি সাংবাদিক সংগঠন, সমিতি,ক্লাব গড়ে উঠেছে।

এছাড়াও ত্রিপোটার্স ক্লাব সাংবাদিক ক্লাব ক্রাইম রিপোর্টার সোসাইটি বৃহত্তম গাজীপুর সাংবাদিক ফোরাম, ইত্যাদি সংগঠন এসোসিয়েশন ক্লাব সমিতির সংখ্যা দেড় ডজন ছাড়িয়ে আছে। কাশেমপুর প্রেসক্লাব সেক্রেটারি মাজহারুল ইসলাম প্রতীক ও তার ভাই তরিকুল জুয়েল ও আব্দুল কুদ্দুস থানার পাশে গড়ে তুলেছেন সাংবাদিক অফিস নামের অভিনব কার্যালয়। এখান থেকেই মিলকারখানা ধনাঢ্য ব্যক্তিবর্গ মাদক ব্যবসায়ী সহ অপরাধ আখড়া গুলোতে চাঁদাবাজি চালানো হয়। ওই সাংবাদিক অফিসের নানা অপ তৎপরতা কারণে ভুক্ত ভোগী মানুষজন থানার যাতায়াতের ক্ষেত্রে ও আতঙ্কে ভুগেন।

আর টঙ্গী গাজীপুরে তো কোন কথাই নেই, কথিত নামধারী কিছু সাংবাদিকরা সকাল থেকে রাত্রে বারোটা পর্যন্ত থানায় তাদের ডিউটি চলে দুপুরে খাওয়ার সময় হলে তারা কলা রুটি খেয়ে খাপটি মেরে বসে থাকে। তাই থানার সামনে ব্যবসায়ীদের মুখে শোনা যায় তারা হল কলা রুটি খাওয়া সাংবাদিক।

আরো বলে নারী ও পুরুষ এই সকল সাংবাদিকরা সর্বোচ্চ ২০ টাকা  নিয়ে আসে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা হলে তারা বাসায় ফিরবে, বলে তাদের ব্যাপারে বিভিন্ন প্রকারের মন্তব্য করে বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরা ও এলাকার সম্মানিত ব্যক্তিবর্গরা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button