কেরানীগঞ্জে শাহিন চেয়ারম্যান এর ক্যাশিয়ার ভূমি দস্যু তাইজুদ্দিন ওপেনে ঘুরে বেড়াচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার : কেরানীগঞ্জ এলাকাবাসী জানান, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পালিত ভূমি দস্যু সন্ত্রাসীর গড ফাদার ও আব্বা বাহিনীর প্রধান, কেরানীগঞ্জে একটি আলোচিত নাম। যে কেউ এক নামে চিনে কেরানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক শাহিন চেয়ারম্যান।
তিনি নিরীহ মানুষের জমি দখল,বাড়ী দখল,কারখানার মালিকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়,সরকারি খাস জমি,খাল ভরাট করে, কয়েক শত হাজার কোটি টাকা মালিক হয়েছেন। আব্বা বাহিনীর সদস্য আবতাব উদ্দিন রাব্বিকে দিয়ে গত ১০- ০১ ২০২৪ ইং হত্যা করা হয় রাসেলকে।কেরানীগঞ্জের বহুল আলোচিত একটি হত্যার ঘটনা।
ভুক্তভোগীরা জানান, সাবেক শাহিন চেয়ারম্যান এর ক্যাসিয়ার
মোঃ তাইজুদ্দিন ওরফে তাজু সরকার
গত কয়েক বছর আগেও কেরারাণীগঞ্জ আটি বাজার এলাকায় জমি মাপামাপির কাজ করতেন। এক সময় জমির দলিল লেখক এবং জমি কেনা-বেচার দালালি শুরু করেন।দালালি করার সুবাদে কেরারাণীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিন আহম্মেদ এর সাথে তার সখ্যতা গড়ে উঠে। শাহিনের ক্ষমতা আর অর্থ দুইটাকেই পুজি করে কেরারাণীগঞ্জ এলাকায় সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলেন এবং এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন।
গত কয়েক বছর আটি বাজার, হিজলা, চন্ডিপুর, ভাওয়াল, ঘাটারচর এলাকার বাসিন্দাদের জমি-জমা ও ফসলি জমি রাতের আঁধারে বালু দিয়ে ভরাট করে দখল করে। জমির মালিকদের জিম্মি করে
সল্পমূল্য দিয়ে জবর দখল করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যান। সরকারী খাস জমি, বিল-নদী দখল কোন কিছুই বাদ যায় না তাজু সরকারের হাত থেকে। গড়ে তুলেছেন মিলিনিয়াম সিটি।মিলিনিয়াম সিটির মাধ্যমে বিল-নদীর জায়গা বিক্রি করে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গিয়ে আয়শা মেডিকেল নামে আর
একটি আটি বাজারে হাসপাতাল গড়ে তুলেছেন।
এলাকার এক ভুক্তভোগী জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিন এর অবৈধ টাকাও তাজুর নিকট গচ্ছিত রয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান এর অবৈধ টাকা ও ক্ষমতা ব্যাবহার করে এলাকায় ইতিমধ্যেই ভূমি দস্যু হিসেবে পরিচিত লাভ করেছেন। তার ক্ষমতা ও ব্যাবসা বানিজ্য টিকিয়ে রাখার জন্য গত এক দশকের বেশি বিরোধী দলের আন্দোলন ও বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের উপর সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে নির্যাতন করাতেন। তাইজুদ্দিন তাজু এলাকায় ফ্যাস্টিস আওয়ামীলীগের একজন বড় মাপের ডোনার হিসাবে ব্যাপক ভাবে পরিচিত।বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন বানচাল করতে তাজু সরকার উপজেলা চেয়ারম্যান এর এজেন্ট হিসেবে টাকা এবং অস্ত্র সরবরাহ করে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে কোমলমতি ছাত্র ও জনতার উপর গুলি চালাতেও দ্বিধাবোধ করেনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ মডেল থানার,আটি হিজলা উত্তর পাড়া গ্রামের,মোঃ ফজলুল হকের ছেলে মোঃ তাইজুদ্দিন ওরফে তাজু সরকার। একটি এজাহার সূত্রে জানা যায় কেরানীগঞ্জ থানার কলাতিয়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত ইউনিয়ন সরকারি কর্মকর্তা সম্পা আক্তার বাদী হয়ে গত ২৮ – ০১ – ২৪ ই তারিখে তাইজুদ্দিন তাজুর বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা একটি মামলা দায়ের করেন যাহার নাম্বার ৩৩।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় একজন জমির দালাল থেকে ভূমিদস্যু বনে যাওয়া,অবৈধ ভাবে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক তাজু সরকার। ফ্যাস্টিস আওয়ামীলীগ চলে গেলেও রয়ে গেছে তার দোসর। তাজুর পালিত সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে এলাকার মানুষ এখনো আতঙ্কিত। ৫ ই আগস্টের পড় তিনি বিএনপির এক নেতাকে বিশাল অংকের টাকা দিয়ে ম্যানেস করে এলাকায় ওপেনে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এলাকাবাসীর ধারনা, যে সরকার-ই ক্ষমতায় থাকুক না কেন সবাইকে অদৃশ্য সুতার টানে ম্যানেজ করতে পারে। অপরাধী অপরাধ করেই যাচ্ছে। দেখার মত যেন কেউ নেই। এলাকাবাসী দাবি তা হলে কি এভাবেই চলবে। পুলিশ প্রশাসন নিরব ভূমিকায় । এদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান এলাকাবাসী। অনুসন্ধান চলছে বিস্তারিত আগামী পর্বে।