ফাঁসানোর দক্ষতায় পুরস্কৃত: বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদারের বিতর্কিত উত্তরাধিকার

লন্ডনে উন্নত চিকিৎসা ও পরিবারের সান্নিধ্যে চার মাস কাটিয়ে দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গতকাল সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে তাকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিএনপি চেয়ারপারসনকে স্বাগত জানান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতারা। এরপর বেলা সোয়া ১১টায় বিমানবন্দর থেকে রওনা হয়ে গুলশানের বাসা ফিরোজায় পৌঁছান বেলা ১টা ২৬ মিনিটে। পথে নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় সিক্ত হন।
জিয়া চ্যারিটিবল ট্রাষ্ট এবং জিয়া অরফানেজ মামলায় ফাঁসানোর মহান দায়িত্ব যে পালন করেছেন, তাঁর নাম আবু আহমেদ জমাদার।
শুধু তাই না, ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে ‘আমার দেশ” সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সাহেবকে তথাকথিত দুর্নীতির মামলায়, জমাদার সাহেব তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। প্রশ্নহীন আনুগত্যের জন্য এই লোককে পরবর্তী সময়ে একাধিকবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নিয়োগ দেয়া হয়।
২০২০ সালে তাঁর কুকর্মের পুরষ্কার হিসাবে তদকালিন প্রেসিডেন্ট হামিদ তাঁকে হাইকোর্ট ডিভিশনের স্থায়ী বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ দেন।
এই সেই মহান বিচারপতি যিনি প্রকাশ্যে আর কয়েকজনের সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে বলেছিলেন, “বিচারপতিরা শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ।” অবসর গ্রহনের পর বহাল তবিয়তে এই বান্দা বিচারপতিদের জন্য বরাদ্দ কোয়ার্টারে আলিশান আয়েশে বাস করছেন। জুলাই বিপ্লবের কোন বাতাস তাঁর গায়ে লাগে নাই।