অপরাধএক্সক্লুসিভচট্টগ্রাম বিভাগ

কুমিল্লায় সূচির জামাই রনিকে বাঁচাতে এন সি পি নেত্রী হাফসার বিরুদ্ধে মামলা বাণিজ্যের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : কুমিল্লায় বিশেষ কৌশল অবলম্বন করে আওয়ামী দোসরদের পুর্নবাসনে তৎপরের অভিযোগ এনসিপির কেন্দ্রীয় নেত্রী হাফসা জাহানের বিরুদ্ধে। অনুসন্ধান কল রেকর্ড সুত্র মতে জানা যায়, হাফসা জাহান মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে বাদী পক্ষদের পরামর্শ দিচ্ছেন এবং কুমিল্লা সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের কন্যা তাহসিন বাহার সূচনার স্বামী সাইফুল আলম রনি ওরফে জামাই রনিকে বৈষম্য বিরোধী মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য বিশেষ কৌশলে কাজ করে যাচ্ছেন এনসিপি নেত্রী হাফসা জাহান। এসব ঘটনা সংশ্লিষ্ট এসএমএস ও কল রেকর্ড সম্প্রতি ফাঁস হয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়,কুমিল্লা মহানগরীতে ২১ টি ভয়ংকর কিশোর গ্যাংয়ের মূখ্য জনক ও গডফাদার ও অস্ত্র ব্যবসায়ী এমপি বাহারের জামাতা সাইফুল আলম রনি। ৫ আগস্টের পর তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি এখন পলাতক রয়েছেন। ফেসবুক মেন্সেজারে পলাতক জামাই রনির সাথে এনসিপির নেত্রী হাফসা জাহানের বেশ কয়েকবার কথা হয়েছে। একটি স্ক্রিনশটে দেখা যায় দুই দফায় ৫৬ মিনিট ও ৩১ মিনিট কথা হয়েছে দুজনের মধ্যে।
পলাতক সাইফুল আলম রনিও জনৈক এক ব্যক্তির সাথে মুঠোফোনে হাফসার সাথে মামলা বিষয়ে কথা হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
এদিকে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেত্রী হাফসা জাহান বৈষম্য বিরোধী মামলার এক বাদি ইনজামামুল হক নামের এক যুবককে মুঠোফোনে টাকার বিনিময়ে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। মুঠোফোনে মামলার বাদিকে হাফসা বলেন- “৫ /১০ হাজার টাকা দিয়ে এত বড় মামলা শেষ হবে? যদি শেষই করেন ৫/১০ না ৫/১০ লাখ টাকা বইলেন।
এ বিষয়ে এক মামলার বাদি ইনজামামুল হক ভিডিও বার্তায় হাফসার সাথে কথোপকথনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
এনসিপি নেত্রী কুমিল্লায় সীমাহীন চাদাঁবাজি করছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। বিগত ২০২৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাশেদা আক্তার কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কাছে এনসিপির নেত্রী হাফসা জাহানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়- হাফসা জাহান স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার জন্য চেষ্টা করেন। এ সময় এক শিক্ষকদের সাথেও খারাপ আচরণ করেন।
জানা যায়, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় হাফসা জাহানকে মাঠে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ৫ আগস্টের পর হঠাৎ করে হাফসা জাহান মাঠে এসে কেন্দ্রীয় নেত্রী হয়ে যায়।
কেন্দ্রীয় নেত্রী হাফসা জাহান কুমিল্লা নগরীর ১০ নং ওয়ার্ডের ঝাউতলা এলাকার বাসিন্দা। তার শ্বশুর বাড়ি পুরাতন চৌধুরীপাড়া ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button