‘ব্রোঞ্জ লায়ন’ না ব্রোঞ্জ প্রতারক? তিয়ানশির নাম ভাঙিয়ে অর্ধ-কোটি টাকার লোপাটের অভিযোগ শান্তর বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পৃথিবীর ২২০টিরও বেশি দেশে সফলভাবে ব্যবসা পরিচালনাকারী চীনা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি ‘তিয়ানশি (TIENS Group) বাংলাদেশে ২০০৪ সাল থেকে অদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। স্বাস্থ্যসচেতন জনগণের মাঝে এই কোম্পানির স্বাস্থ্যপণ্যগুলোর ব্যাপক চাহিদা থাকলেও, সাম্প্রতিক সময়ে চট্টগ্রাম শাখা অফিসকে ঘিরে চাঞ্চল্যকর প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। তার সহযোগী হিসেবে রেঞ্জ রয়েছে নিশান কান্তি চৌধুরী ও স্টার গোল্ড লায়ন মহিন উদ্দীন।
অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন কোম্পানির চট্টগ্রাম অফিসের ব্রোঞ্জ লায়ন পদমর্যাদাধারী
মোঃ রাশেদুল হাসান শান্ত। তাঁর বিরুদ্ধে গত তিন বছর ধরে ভুক্তভোগীদের অর্থ-কোটি টাকা আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক আইডি নং ৭৬৩৭৩৮৪৯
এই ভুক্তভোগীর নামের সাথে মিল থাকাতে
একই আইডি একবার ২৮/১০/ ২০২২ সালের
উপরে উল্লেখিত আইডিটাকে আবার ২০/০২/২০২৪ সালে অন্য এক ভদ্রমহিলাকে দিয়ে তার কাছ থেকে ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ও অভিযোগ রয়েছে এবং তাকে কোন পিভি দেওয়া হয়নি বাহির থেকে কম দামে প্রোডাক্ট কিনে তাকে প্রোডাক্ট দেওয়া হয়েছে আরো একটা মেয়ের থেকে এক লক্ষ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে তাকে কোন প্রোডাক্ট দেয়নি ।
শেষ পর্যন্ত মসজিদের ইমাম সাহেবকে ও ছাড়েনি । তার কাছ থেকেও সাড়ে আট লাখ টাকার মতো নেয়া হয়েছে বর্তমানে তিনি ঘর বাড়ি ছাড়া একমাত্র ওই টাকার জন্য কারণ তাকে কোন প্রোডাক্ট দেওয়া হয়নি চট্টগ্রাম কাঠগড় এলাকার এক ভদ্রমহিলা টিম থেকে ১৬ লক্ষ টাকার বেশি কালেকশন করার পরেও তার আইডিতে পিভি হইছে মাত্র ৭০০০। কিন্তু তাদের প্রোডাক্ট বাহির থেকে কিনে দেওয়া হয়েছে কিন্তু ভদ্রমহিলাকে কোনপ্রকার ইনকাম বা পিভি দেওয়া হয়নি। সে অফিসে কোন পিভি জমা না দিয়ে এবং কত বড় একটা জঘন্য লিডার তার ডাউনলাইনের লোক কেটে নিয়ে তার অন্যদিকে জয়েন করিয়ে দেয়
ও নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে উঠে পড়ে লেগেছে।
অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে
প্রতারনার কৌশল: উপহার দিয়ে ফাঁদে ফেলা
মোঃ রাশেদুল হাসান শান্তর প্রতারণার ধরন নিয়ে অনুসন্ধানে জানা যায়,তিনি ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে বিশ্বাস আদায় করতে নানা কৌশল অবলম্বন করতেন। মহিলাদেরকে শাড়ি, পুরুষদেরকে পাঞ্জাবি কিংবা উপহার সামগ্রী দিয়ে নারী-পুরুন নির্বিশেষে গ্রাহকদের মুগ্ধ করতেন,এবং এরপর বড় অঙ্কের বিনিয়োগে প্ররোচিত করতেন। অনেক ভুক্তভোগী অভিযোগ করেছেন, তারা মাসিক লাভের আশায় শান্ত’র কথায় বিনিয়োগ করেন, কিন্তু নির্ধারিত সময়ের পর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ভুয়া পদমর্যাদা ও বেশি পিভি দেখিয়ে কোম্পানির নাম দিয়ে গ্রাহক ঠকানো তার একমাত্র অবলম্বন।
মোঃ রাশেদুল হাসান শান্ত প্রকৃতপক্ষে তিয়ানশি কোম্পানির ‘ব্রেঞ্জ লায়ন’ হলেও
বিভিন্ন জায়গায় নিজেকে ‘গোল্ড লায়ন পরিচয় দিয়ে থাকেন। এমনকি কোম্পানির নিয়ম অনুযায়ী,
বড় ধরনের অপরাধ তারপরেও কোম্পানির পক্ষ থেকে কোন ধরনের তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি কেন তা ভাবিয়ে তোলার মত।
এমনকি কোম্পানির নিয়ম অনুযায়ী, বিক্রয় লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ‘পিভি’ (পয়েন্ট ভ্যালু) জমা দেওয়ার কথা থাকলেও, তিনি প্রতি মাসে চার-পাঁচ লাখ টাকা নগদ ক্যাশ করেও মাত্র ১২০০ পিভি দেখিয়ে কোম্পানির সাথে প্রতারণা
করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। অর্ধশতাধিক ভুক্তভোগীর, চট্টগ্রাম অফিস নীরব কেন?
এই ঘটনায় ভুক্তভোগীদের সংখ্যা অর্ধশতাধিক ছাড়িয়ে গেছে বলে প্রাথমিক তথ্য উঠে এসেছে। চট্টগ্রাম অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরমান সাহেবের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে একবার একটি অভিযোগ এসেছিল, আমি নিজের উদ্যোগে সমাধান করেছি। এখন বড় কিছু হয়ে থাকলে, সেটা হয়তো হেড অফিস জানবে।”
হেড অফিস কী বলছে?
তিয়নশি বাংলাদেশের ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে এ বিষয়ে লিখিত প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে তারা ১ মাসের সময় নিয়েছে। শিঘ্রই তদন্ত কমিটি গঠন করে সরেজমিনে গিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশ্বাস দেন । তবে কোম্পানির অতীত ইতিহাসে দেখা যায়, এর আগে একাধিক বিতর্কিত ডিস্ট্রিবিউটরদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে তিয়ানশি কর্তৃপক্ষ। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে এখন কেন শান্ত’র বিনয়ে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচেছ না?
জাতীয় পর্যায়ে নজরদারি প্রয়োজন
তিয়ানশির মতো আন্তর্জাতিক কোম্পানির আড়ালে যদি এভাবে ব্যক্তি পর্যায়ের প্রতারণা চলতে থাকে, তবে এর কেবল ভুক্তভোগীদের ক্ষতিই নয়, দেশের অর্থনীতি ও বৈদেশিক পণ্যের প্রতি জনগণের আস্থার ওপরও আঘাত হানবে বলে মনে করছেন অর্থনীতি বিশ্লেষকরা।
এক ভুক্তভোগী বলেন, “শান্ত আমাদের বিশ্বাস ভেঙেছে। কিন্তু বড় প্রশ্ন হলো কোম্পানি কি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচেছ, না কি চোখ বন্ধ করে আছে? এই বিষয়ে ঢাকা অফিসের দায়িত্বে থাকা নাজমুল সাহেবের সাথে কথা বললে তিনি জানান আমি সময় নিয়েছি এক মাসের তারপরে কি হয় না হয় আমি সংবাদ মাধ্যমকে জানাবো আমি আমার এমডি ছাড়া কোন ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। যদি শান্ত প্রকৃতপক্ষে অপরাধী হয় তাহলে রাশেদুল হাসান শান্তকে কোম্পানি থেকে বিতাড়িত করতে দুই মিনিট সময় লাগবে না এর আগেও এ ধরনের প্রতারক কোম্পানি থেকে বিতাড়িত হওয়ার দৃষ্টান্ত রয়েছে।