🛑 সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ জারি: সচিবালয় অচল করার হুমকি আমলাদের

ডেস্ক রিপোর্টঃ সরকারি চাকরিজীবীদের শৃঙ্খলা ও দমনমূলক ব্যবস্থার আওতায় আনার অভিযোগে বিতর্কিত ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছে সরকার। সোমবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এ অধ্যাদেশ প্রকাশিত হয়।

অধ্যাদেশটি জারি হওয়ার আগেই সচিবালয়ে অস্বস্তি ও ক্ষোভ দানা বাঁধে। সংশোধনের খসড়া অনুমোদনের পর থেকেই সচিবালয়ের বিভিন্ন দপ্তরে নীরব কর্মবিরতি ও ক্ষোভে ফুঁসছে সরকারি আমলারা। এখন এই অধ্যাদেশ চূড়ান্ত আকারে জারির পর সচিবালয় কার্যত অচল করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন একাধিক প্রশাসনিক ক্যাডারের কর্মকর্তারা।

📜 চারটি ‘অসদাচরণ’ এখন শাস্তিযোগ্য অপরাধ:

১. সরকারি কর্মচারীর এমন কোনো কর্মকাণ্ড যা নিজে বা অন্যদের মধ্যে অনানুগত্য সৃষ্টি করে কিংবা শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে।
২. যুক্তিসংগত কারণ বা ছুটি ব্যতিরেকে একক বা দলগতভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা বা দায়িত্ব পালন না করা।
৩. অন্য কর্মচারীদের দায়িত্ব পালনে বিরত রাখতে উসকানি বা প্ররোচনা দেওয়া।
৪. কাউকে তার দায়িত্ব পালনে বাধাগ্রস্ত করা।

⚖️ শাস্তির বিধান:

এমন অপরাধে দোষী প্রমাণিত হলে সরকার সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে—

• নিম্ন পদে অবনমিত করা,
• নিম্ন বেতন গ্রেডে নামিয়ে আনা,
• চাকরি থেকে অপসারণ বা
• বরখাস্ত করার ক্ষমতা রাখবে।

অভিযোগ গঠনের ৭ কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ, এরপর আরও ৭ কর্মদিবসে চূড়ান্ত কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে দণ্ড আরোপ করা যাবে।
দণ্ডিত কর্মচারী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে আপিল করতে পারবেন, তবে রাষ্ট্রপতির আদেশের বিরুদ্ধে আপিলযোগ্য নয়, শুধু পুনর্বিবেচনার আবেদন করা যাবে।

⚠️ বিরূপ প্রতিক্রিয়া:

সংশোধিত অধ্যাদেশটি নিয়ে সরকারি চাকরিজীবীদের বড় অংশের মধ্যে গভীর অসন্তোষ বিরাজ করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, “এই অধ্যাদেশ মৌলিক অধিকার হরণ করে। এতে চাকরিজীবীদের উপর ভয়ভীতির শাসন চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

সরকারি প্রশাসনে নীরব অচলাবস্থা শুরু হয়েছে, এবং যদি আইন বাতিল না করা হয়, তাহলে সচিবালয় ও মাঠ প্রশাসনে পূর্ণাঙ্গ অচলাবস্থা সৃষ্টি হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন তারা।