“সাধারণ শিক্ষার্থী” সেজে ছাত্ররাজনীতির বারোটা বাজানো একটি শ্রেণি: উমামা ফাতেমার বিস্ফোরক অভিযোগ

নিউজ রিপোর্ট:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক কর্মী উমামা ফাতেমা সম্প্রতি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি প্রতিবাদী পোস্টে ছাত্ররাজনীতির বর্তমান অবস্থার তীব্র সমালোচনা করেছেন। বিশেষ করে তিনি অভিযোগ করেছেন, যারা এতদিন ছাত্রলীগের ছত্রচ্ছায়ায় থেকে নিজেদের “সাধারণ শিক্ষার্থী” হিসেবে জাহির করতেন, তারাই এখন অন্যদের ট্যাগ দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন এবং নিজেদের গোপন রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যস্ত।
তিনি উল্লেখ করেন, গত ১৫ বছর ছাত্রলীগের হয়ে যারা হলে দাপট দেখাতো, তারাই এখন “নবধারা” রাজনীতির কথা বলে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। উমামা ফাতেমা দাবি করেন, ছাত্রশিবির ২০০৫ সালের ৫ আগস্টের ঘটনার পর থেকে দেশের ছাত্ররাজনীতিকে ‘টক্সিক’ করে তুলেছে, আর তাদের ছায়াতলে থাকা গোষ্ঠীগুলো আজও ক্যাম্পাসে গঠনমূলক আলোচনা ও আন্দোলনের পরিবেশ বাধাগ্রস্ত করে যাচ্ছে।
বিশেষভাবে ৮ মার্চ, নারী অধিকার সংক্রান্ত এক মিছিলে মেয়েরা সক্রিয় অংশ নিলেও কথিত “সাধারণ শিক্ষার্থীরা” সাড়া দেয়নি—এই ঘটনাকে নজির হিসেবে তুলে ধরেন তিনি। এতে বোঝা যায়, এরা আন্দোলনের সময় কোথাও থাকে না, কিন্তু প্রোপাগান্ডার সময় সক্রিয় হয়ে ওঠে।
উমামা ফাতেমা আরও বলেন, ২০২৪ সালের বিতর্কিত জাতীয় নির্বাচনের সময় তারা ভোটডাকাতির বিরুদ্ধে মুখ খোলেনি বরং প্রশাসনের আনা ট্রান্সজেন্ডার কোটার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আন্দোলনকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে। এদের অনেকেই এখন ঠিকাদারি ব্যবসার সাথে জড়িত বলে অভিযোগ করেন তিনি। তার ভাষায়, “এই ঠিকাদারদের হাতে জুলাইও নিরাপদ না।”
তিনি সবশেষে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান, যেন তারা এই ধূর্ত ও সুবিধাবাদী গোষ্ঠী থেকে সচেতন থাকেন এবং প্রকৃত গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পাশে থাকেন।
