আইস্ক্রিম বিক্রেতাকে থাপ্পড় দিয়ে দলীয় শৃঙ্খলা ফেরানো বিতর্কে, দুঃখ প্রকাশ করলেন রবিউল ইসলাম নয়ন

ডেস্ক রিপোর্টঃ তারুণ্যের সমাবেশে এক তরুণকে প্রকাশ্যে থাপ্পড় মারার ঘটনায় আলোচনায় আসা যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন অবশেষে ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
গতকাল (২৮ মে) নয়াপল্টনে অনুষ্ঠিত বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠনের তারুণ্যের সমাবেশে নয়নের হাতে এক তরুণ থাপ্পড়ের শিকার হন—যাকে অনেকেই পরিচয়হীন বা পথচলতি আইস্ক্রিম বিক্রেতা হিসেবে শনাক্ত করেছেন। পুরো ঘটনাটি ভিডিওর মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা দ্রুত ভাইরাল হয়।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সমাবেশস্থলের ভেতর দিয়ে এক তরুণ হেঁটে যাওয়ার সময় নয়ন পেছন থেকে এগিয়ে এসে তাকে মুখে আঘাত করেন। চারপাশে থাকা উপস্থিত অনেকে হতবাক হয়ে তাকিয়ে থাকলেও কেউ প্রতিবাদ করেননি।
ঘটনার পর আজ দুপুরে রবিউল ইসলাম নয়ন নিজের ফেসবুক ওয়ালে এক বিবৃতি দেন। সেখানে তিনি লেখেন:
“গতকাল পল্টনে তারুণ্যের সমাবেশ সুশৃঙ্খল রাখতে অনভিপ্রেত পরিস্থিতি এড়িয়ে যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নেতৃবৃন্দের প্রাণপণ চেষ্টার পরেও লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীদেরকে সুশৃঙ্খল রাখতে গিয়ে একজন হকারের গায়ে অনিচ্ছাকৃত ধাক্কা লাগার মত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে।… আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।”
এই বিবৃতিতে তিনি থাপ্পড়ের বিষয়টি সরাসরি স্বীকার না করলেও ঘটনাটিকে “অনিচ্ছাকৃত ধাক্কা” হিসেবে উল্লেখ করেছেন, যা অনেকের দৃষ্টিতে যথেষ্ট না বলে বিবেচিত হচ্ছে।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া ও বিশ্লেষণ:
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিএনপি সমর্থকদের একটি বড় অংশই নয়নের এই আচরণকে “দলীয় শৃঙ্খলার নামে অগ্রহণযোগ্য আচরণ” বলে সমালোচনা করেছেন। কেউ কেউ বলছেন, সরকারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে যাওয়া সংগঠনের নেতাকর্মীরা যদি জনতার সঙ্গে এমন ব্যবহার করেন, তাহলে দলীয় ভাবমূর্তি ও নৈতিক অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
অপরদিকে, নয়নের পক্ষের কিছু সমর্থক বলেছেন, সমাবেশ সুশৃঙ্খল রাখতে গিয়ে নেতাদের নানা ধরণের চাপ মোকাবিলা করতে হয়। তা সত্ত্বেও তারা আরও সংবেদনশীল আচরণের আহ্বান জানিয়েছেন।
সাধারণ জনগণ ও দলের ভেতর-বাইরের অনেকেই আশা করছেন, এই ঘটনার তদন্ত হবে এবং ভবিষ্যতে নেতৃত্বের জায়গায় থাকা ব্যক্তিরা আরও মানবিক ও সংবেদনশীল আচরণ করবেন।