ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দালাল আবুল খায়েরের বিরুদ্ধে যত অনিয়মের অভিযোগ দুদকে

অবৈধ অর্থ সম্পদ সেইভ করতে নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়া সহ শাহীন আলম শাহীন নামের ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১ কোটি টাকার মানহানি মামলার নাটক
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সক্রিয় দালাল কুমিল্লা মুরাদনগর সংসদীয় আসনের সাবেক এমপি ইউসুফ আব্দুল্লাহ্ হারুন এর খাস চামচা মানুষের ওপর জুলুমকারী দূর্নীতিবাজ সাংবাদিক নামধারী চাঁদাবাজ মো.আবুল খায়ের দৈনিক যুগান্তর পত্রিকা ও স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল আরটিভি তে বিনা বেতনে চাকুরীর সুবাদে সাংবাদিক তকমা লাগিয়ে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি অর্জন দুই স্ত্রী- শালিকাদের নামে বেনামে একাধিক বাড়ী,বিলাস বহুল ফ্ল্যাট,গাড়ী,প্লটসহ গত ২০২৪ সালে ছাত্র আন্দোলনে ৫ ই আগস্টে আওয়ামী ফ্যাসিস্টের পতনের পর নিজেকে সেইভ এবং জাহির করতে নব্য কোটি কোটি টাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ার আয়ের উৎস নিয়ে তদন্ত/অনুসন্ধান করতে দুদকে অভিযোগ করেন জাতীয় সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রা পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি এম শাহীন আলম।

সরজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়, মো. আবুল খায়ের কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলার পৌর এলাকার ভিংলাবাড়ী গ্রামের বাস ড্রাইভার কামাল উদ্দিন এর বড় ছেলে। স্থানীয় প্রত্যেক্ষদর্শীদের তথ্য মতে এক সময় তাদের সংসারিক টানপোড়ন অভাবের কারণে আবুল খায়ের তার বাবা জনতা নামের যে বাসটি চালাতেন সেই বাসের হেলপার হিসেবে কাজ করতেন। আবুল খায়ের বিগত দিনে সাংবাদিক টেক লাগিয়ে কুমিল্লা মুরাদনগর আসনের ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের এমপি ইউসুফ আব্দুল্লাহ্ হারুন এর ছত্র-ছায়ায় নারী কেলেংকারী,মাদক পাচার, গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতার আড়ালে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিউজের ভয় আর আওয়ামী রাজনীতির দাপট দেখিয়ে বেপরোয়া চাঁদাবাজি সহ বহু অপরাধের সাথে জড়িত ছিলেন।

গত ২০১৪ সালে একবার ইয়াবা চালান সহ ঢাকা যাওয়ার পথে নরসিংদীতে ধরা পড়লে এমপি ইউছুফ আবদুল্লাহ হারুন তাকে ছাড়াইয়া আনেন। মো. আবুল খায়ের তার প্রথম স্ত্রী সন্তান থাকার পরও আখিঁ নুর নামের এক মেয়ের সাথে তার অবৈধ পরকিয়া অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠে প্রথমে আখিঁ নুর সহ ৩ বোনের সঙ্গে তার অবৈধ সম্পর্কের কথা জানা যায়। এই সম্পর্কের জেরে সে সময়ে দরিদ্র আখিঁদের বাড়ীতে এক তলা একটি বিল্ডিং নির্মান করে দেয়। পরক্ষনে অবৈধ সম্পর্কের বিষয়টি তার এলাকায় জানাজানি হলে বাধ্য হয়ে আখিঁ নুরকে বিয়ে করে কুমিল্লা শহরে চলে এসে দুই স্ত্রীকে নিয়া আলাদা ভাবে থাকতে শুরু করে আবুল খায়ের।

স্ত্রীদের মধ্যে বড় স্ত্রী কে কুমিল্লা শহরের তালপুকুর পাড়ে ৭৮ লক্ষ টাকার একটি ফ্ল্যাট ক্রয় করে দেন এবং ছোট স্ত্রী আখিঁ নুরকে কুমিল্লা আদালতের দক্ষিন পাশে নিস্বর্গ টাওয়ার নামের একটি বহুতল ভবনে প্রায় দেড় কোটি টাকা মূল্যের একটি বিলাস বহুল ফ্ল্যাট কিনে বর্তমানে আবুল খায়ের আখিঁ নুরের সঙ্গে উক্ত ফ্ল্যাটে বসবাস করছেন।
বিশ্বস্থ সুত্রে জানা যায়, আবুল খাযের এক সময় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার প্রথমে মুরাদনগর উপজেলা প্রতিনিধি হয়ে চাঁদাবাজী শুরু করে। পরক্ষনে কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি হয়ে পত্রিকার প্রেস সাইন বোর্ড গাড়ীতে লাগিয়ে পুরাদমে মাদক ব্যাবসা শুরু করেন।

আবুল খায়ের মুরাদনগর, বাঙ্গরা এবং দেবীদ্বার থানার বিভিন্ন এলাকায় ইটভাটার মালিকদেরকে হুমকি দিয়ে চাঁদাবাজী করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। উপজেলা ভুমি অফিস, জেলার বেশিরভাগ ইউনিয়ন ভুমি অফিস, জেলার সকল সাব রেজিস্ট্রি অফিস, পাসপোর্ট অফিস,বাখরাবাদ গ্যাসের দেবীদ্বারের সাব অফিস, ঠিকাদার, মাদক ব্যাবসায়ী, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও কোম্পানীগঞ্জ বাস স্টেশন নেতাদের কৌশলগত হুমকির মাধ্যমে চাঁদাবাজী অব্যাহত রেখেছেন। বর্তমানে প্রায় ৭০ লাখ টাকা দামের একটি গাড়ী ব্যবহার করেন তিনি। গাড়ির নাম্বারটি হলো ঢাকা মেট্রো – ব ১৫ -৫২৮২।
তিনি মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজারের পার্শ্বে প্রায় ৪ কোটি টাকার জমি ক্রয় করেছে বলে জানা যায়। ভিংলাবাড়ী গ্রামে সড়কের পাশে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫তলা বিশিষ্ট একটি বাড়ী নির্মাণ করেছেন। উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাজারে রয়েছে ১০ কোটি টাকার মালামাল সহ একটি দোকান। গত ২০২৪ সালের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর অবৈধ ধন সম্পদ রক্ষা করতে রাজনৈতিক ছত্র-ছায়ায় দেউলিয়া হওয়ার পর কোন উপায় বা রাজনৈতিক সাপোর্ট না পেয়ে কৌশলে আবুল খায়ের গত কয়েকমাস যাবৎ রবি সীম বিকাশের ব্যাংকিং এজেন্ট সহ কয়েকটি কোম্পানীর ডিলারশীপ নিয়ে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালিয়ে যাচ্ছেন।

এছাড়াও দেবীদ্বার একটি মার্কেটে তার রয়েছে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা মূল্যের ২টি দোকান। কুমিল্লা সিটির ধর্মপুর কোল্ড ষ্টোরের পাশে রয়েছে ২ কোটি টাকা মূল্যের একটি প্লট শাসনগাছা ষ্টেশন রোড বিআরটিসির পাশে রয়েছে ৪টি দোকান যার বর্তমান মূল্য ৬ কোটি টাকারও বেশি। কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের পিছনের বহুতল ভবনে রয়েছে কোটি টাকা মূল্যের একটি ফ্ল্যাট, দূর্গাপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর ইনসাফ হাউজিং এ রয়েছে ১টি ফ্ল্যাট এবং ১টি প্লট যার বাজার বর্তমান মূল্য ৫ কোটি টাকারও বেশি। আবুল খায়ের এর কুমিল্লা ছাড়াও ঢাকায় রয়েছে প্রায় ২ কোটি টাকা মূল্যের ২টি ফ্ল্যাট। বিশ্বস্থ সুত্রে জানা যায়,আবুল খায়ের বহু বছর ধরে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় এবং বেসরকারি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল আরটিভি’তে কর্মরত থাকলে এযাবকালীন পত্রিকা কিংবা টেলিভিশন থেকে কোন দিন কোন মাসে কোন প্রকার নির্ধারিত বেতন দেয়নি বলে জানা যায়। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে আওয়ামী দালাল আবুল খায়ের দেবিদ্বার পৌরসভায় মেয়র পদে নির্বাচনে কোটি টাকার ওপরে খরচ করে কাঙ্খিত ভোট না পেয়ে জামানত হারান। তাহলে তার এতো বিত্ত সম্পদ অর্জনের আয়ের উৎস নিয়ে তার নিজ এলাকাসহ পুরো কুমিল্লা জুড়ে তার কোটি কোটি টাকার সম্পদ নিয়ে সমালোচনার ঝড়।
মো. আবুল খায়ের সাংবাদিক তকমা লাগিয়ে মুরাদনগর জেলা পরিষদ মার্কেটে সাবেক এমপি ইউসুফ আবদুল্লাহ্ হারুন এর প্রভাব খাঁটিয়ে কোটি টাকা মূল্যের ২টি দোকান হাতিয়ে নেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে যাওয়া আওয়ামীলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে যুগান্তর পত্রিকায় রিপোর্ট লেখার হুমকি দিয়া ও বিভিন্ন থানায় ওসিদেরকে ভয় ভীতি দেখাইয়া চাঁদাবাজী করছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।বিগত দিনে আওয়ামীলীগের দালাল আবুল খাযের এর বিরুদ্ধে মুরাদনগর উপজেলায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র/ছাত্রীরা সহ স্থানীয় বাসিন্দারা মানববন্ধন বিক্ষোভ মিছিল করে তাকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করে তার অপকর্মের জন্য শাস্তির দাবী করেন।

গত কয়েক বছর আগে তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী সহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক কুমিল্লা কার্যালয় হইতে তাকে নোটিশ করা হইলে এমপি ইউসুফ আব্দুল্লাহ্ হারুনের তদবিরে এবং ভুয়া আয়ের ব্যয়ের হিসাব জাল কাগজপত্র তৈরি করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রফা করে বিষয়টি ধামাচাপা দেন তিনি।
মহোদয়, তার আয়করের ফাইলে দেওয়া সকল কাগজপত্র গুলা সম্পূর্ণ জাল জালিয়াতির মাধ্যমে করা। আবুল খায়ের তিনি তার আয়কর ফাইলে অনেক সম্পদের তথ্য ও আয়ের উৎস গোপন রাখিয়াছেন যাহা সুষ্ঠু তদন্ত করলে শতভাগ প্রমানিত হইবে যে সে একজন কুমিল্লার সেরা দুর্নীতিবাজ চাঁদাবাজ সাংবাদিকদের মধ্যে অন্যতম এবং তার যত ধন, সম্পদ, টাকা -পয়সা,বাড়ি গাড়ি,মার্কেট,প্লট,ফ্ল্যাট জমি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সবই তার অবৈধ ভাবে উপার্জনের ফসল। যার সঠিক হিসাব তার জীবনদশায় তিনি দিতে পারবে না।

বরুড়া পৌরসভার মেয়র ও ঠিকাদারের কাছে চাঁদা দাবির মামলায় পুলিশ তদন্ত করিয়া তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। আওয়ামী দালাল দুর্নীতিবাজ সাংবাদিক নামধারী আবুল খায়ের এর বিরুদ্ধে এযাবৎকালীন যতো লোক তার অনিয়মের ঘটনা যে কোন মাধ্যমে তুলে ধরেছে সে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে পত্রিকায় রিপোর্ট করে হয়রানীসহ তার লালিত কিছু সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে নাজেহাল সহ প্রাণোনাশের হুমকি অব্যাহত রেখেছেন। এই আবুল খায়ের এর অবৈধ সম্পদ অর্জন সহ অনিয়মের বিরুদ্ধে গত মাসে জাতীয় সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রা পত্রিকার অনলাইন পোর্টালে খবর প্রকাশ করলে Shahin Alam Shahin নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে নিউজটি শেয়ার করলে আবুল খায়ের ক্ষীপ্ত হয়ে নিজেকে সেইভ করতে নিজেকে সাধু সন্ন্যাসী হিসেবে জাহির এর উদ্দেশ্যে সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রা পত্রিকার বিরুদ্ধে মামলা না করে ফেসবুকে শেয়ার করা Shahin Alam Shahin নামের আইডির ব্যাক্তির বিরুদ্ধে ১ কোটি টাকার মানহানী ও তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মিথ্যা অভিযোগ এনে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট তার কিছু সাঙ্গপাঙ্গ সংবাদকর্মীদের সাথে নিয়ে মিথ্যা হয়রানী ও ভয়ভীতির উদ্দেশ্যে একটি মামলা দাযের করেন।

মহোদয়, সাংবাদিক তকমাধারী এই আবুল খায়ের দ্বারায় কুমিল্লা জেলার বেশিরভাগ সরকারি বেসরকারী অফিস, থানা,পুলিশসহ এলাকার ব্যবসায়ী,রাজনীতিবিধ সহ সর্বস্তরের মানুষ তার দুষ্ঠু মনমানসিকতার কাছে এক প্রকার জিম্মি। তার স্থানীয় ভাবে বসবাসরত এলাকাবাসী তার অনৈতিক এহেন কর্মকান্ডে জ্বালায় অতিষ্ট এবং তার সাংবাদিকতার নামে কোটি কোটি টাকার অবৈধ নামে বেনামে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অপকর্ম রুখতে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে একমত পোষণ সহ তার দুই স্ত্রী, শ্বাশুরী ও দুই শালিকাদের নামে ব্যাংক একাউন্ট অনুসন্ধানের অনুরোধ জানান। অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে পরবর্তী সংখ্যায় প্রকাশের অপেক্ষায়।