এক্সক্লুসিভ

UIU চলমান পরিস্থিতি মোটেও তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়

ডেস্ক রিপোর্টঃ ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (UIU) চলমান অস্থির পরিস্থিতিকে আর কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ হিসেবে দেখতে রাজি নয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, এটি দেশের সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্বার্থের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত এবং এই আন্দোলন সফল না হলে আগামীর দিনের অনেক শিক্ষার্থী অযৌক্তিকভাবে বহিষ্কৃত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকবেন।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এমন অনেক স্বৈরাচারী ব্যক্তিত্ব আছেন যারা অযৌক্তিক নিয়ম চাপিয়ে দেন এবং তা বাস্তবায়নে তৎপর থাকেন। এমন অযৌক্তিক বহিষ্কার এবং শাস্তির সংস্কৃতিকে চিরদিনের জন্য কবর দিতে চায় তারা।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুসারে এই প্রতিষ্ঠানগুলি অলাভজনক হওয়ার কথা থাকলেও কার্যত সেগুলো আজ ব্যবসা খোলার কেন্দ্র হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ তোলেন তারা। সিন্ডিকেট করে আর্থিক কেলেঙ্কারিসহ নানা ধরণের দুর্নীতি করা হচ্ছে, আর এই চক্রের খপ্পরে সাধারণ শিক্ষার্থীরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

শিক্ষার্থীদের দাবি, প্রতিটি ক্ষেত্রে শিক্ষা কার্যক্রম এবং আর্থিক খাত নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে থাকা প্রয়োজন হলেও তা প্রতিপালন করা হচ্ছে না।

  • যেখানে খুশি সেখানেই অস্থায়ী কাগজপত্রের মাধ্যমে ক্যাম্পাস খোলার অভিযোগ,
  • রাজনৈতিক বিবেচনায় অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে অযোগ্য বিশ্ববিদ্যালয়কে,
  • জাল কাগজপত্র এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অযাচিত পদায়ন দেওয়া হচ্ছে,
  • শিক্ষার্থীর অতিরিক্ত ভর্তি এবং সরকারি মাপকাঠির তোয়াক্কা না করে দিনের পর দিন অযৌক্তিকভাবে বেড়ছে টিউশন ফি

শিক্ষার্থীরা মনে করে এই সংস্কারের অভাবে পুরো খাতটি আজ দুর্নীতি আর স্বেচ্ছাচারিতার আখড়ায় পরিণত হয়েছে, যেখানে নেতৃত্বের গুণাবলি চর্চা করার কোনও পরিবেশ নেই।

শিক্ষার্থীদের দাবি:

  1. বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংস্কার করে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অরাজনৈতিক ছাত্রকল্যাণ সমিতির গঠন বাধ্যতামূলক করা হোক, যারা সাধারণ শিক্ষার্থীর ভোটে নির্বাচিত হবে এবং শিক্ষার্থীর সমস্যা ও সম্ভাবনা খুঁজতে কাজ করবে।
  2. বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আর্থিক খাত এবং কার্যক্রমে ইউজিসির কড়াকড়ি তদারকি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
  3. অযৌক্তিকভাবে শিক্ষার্থী বহিষ্কার এবং ফিস বৃদ্ধিসহ সকল বৈষম্য প্রতিরোধে কার্যকর আইন করা হোক।

শিক্ষার্থীরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, যতদিন পর্যন্ত এই সংস্কারের দাবিতে অগ্রগতি না ঘটছে ততদিন তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন এবং আগামীর দিনের প্রতিটি অযৌক্তিক বহিষ্কারের বিরুদ্ধে সজাগ প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button