অব্যাবস্থাপনাএক্সক্লুসিভবিনোদন

গাজীপুরের কবির কাব্য ও গান চুরির অভিযোগ!

রাশেদুল ইসলামঃ গাজীপুর জেলার সমবায় বিভাগের কর্মকর্তা ও কবি মোঃ জহিরুল ইসলাম (কামরুল) তার রচিত কবিতা ও গানের কপিরাইট লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন বাংলাদেশের দুই বিশিষ্ট শিল্পী নকীব খান ও কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরীর বিরুদ্ধে। তার দাবি, তার লেখা কবিতা ও গান অবৈধভাবে ব্যবহার করে শিল্পী ও প্রযোজকরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন, কিন্তু তাকে কোনো স্বীকৃতি বা রয়্যালটি দেওয়া হয়নি। 

ঘটনার বিবরণ*
জহিরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে লেখালেখি করছেন। ২০২০ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু’ প্রকাশিত হয়, যা বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস থেকে সনদপ্রাপ্ত। এছাড়াও তার লেখা *‘তুমি বাংলার দৃঢ়তারা, হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু * শিরোনামের কবিতা ও কাব্যগ্রহন্ত ২০২০ সালের মার্চ মাসে শব্দার্থ ও ভাবার্থ  গানে রূপান্তর করে নকীব খান ও কামাল চৌধুরী। কবির অভিযোগ, তার অনুমতি ছাড়াই এই গান তৈরি ও বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে, যা কপিরাইট আইনের লঙ্ঘন। 

তিনি ২০২১ সালের ৭ জানুয়ারি কপিরাইট অফিসে লিখিত অভিযোগ দাখিল করলেও, কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে তিনি জানান। তার মতে, প্রভাবশালী ব্যক্তিদের যোগসাজশে তার অভিযোগ উপেক্ষিত হয়েছে। 

রাজনৈতিক প্রভাবের অভিযোগ*

জহিরুল ইসলামের দাবি, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নকীব খান ও কামাল চৌধুরীর সঙ্গে সরকারের ঘনিষ্ঠতার কারণে তার ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়নি। তিনি আরও উল্লেখ করেন, তার কাব্যগ্রন্থের নাম ‘হৃদয়ে বন্ধু’ রাখার ইচ্ছা থাকলেও প্রভাব খাটিয়ে তাকে ‘হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু’ নামে প্রকাশ করতে বাধ্য করা হয়। 

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশনা* 
তিনি তার রচনাসমূহ ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে প্রকাশ করে আসছেন। এছাড়াও তার আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস ‘মহিমের পথ-প্রান্তর’ এবং শিশুতোষ কাব্য ‘খুকুমনি মিষ্টি কথা শুনি’ কপিরাইট সনদপ্রাপ্ত। তিনি আইএসবিএন নম্বরসহ ~নতুন বই প্রকাশের কাজও করছেন। 

বিচার ও প্রতিকার চাওয়া* 
জহিরুল ইসলাম সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সরকারের কাছে দ্রুত তার কপিরাইট সংক্রান্ত মামলাটি নিষ্পত্তি এবং শিল্পীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি, তিনি সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের কাছে তার ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সমর্থন কামনা করেছেন। 

এই ঘটনায় নকীব খান ও কামাল চৌধুরীর পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ক্ষুব্ধ কবি জহিরুল ইসলাম।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button