রাজনীতিসংগঠন

প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতায় ভারসাম্য চায় মুসলিম লীগ

বাংলাদেশ মুসলিম লীগ নেতৃবৃন্দ রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির মাঝে ক্ষমতার ভারসাম্য আনার পক্ষে মতামত ব্যক্ত করেছে যাতে বিশেষ পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পরিচালনা সহ রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।গত (১৯ অক্টোবর, ২০২৪, শনিবার, সকাল ১০.৩০টায়) বাংলাদেশে মুসলিম লীগ খুলনা জেলা ও খুলনা মহানগরের যৌথ উদ্যোগে খুলনা জেলা মুসলিম লীগের সভাপতি প্রবীণ রাজনীতিবিদ জনাব ওয়াজের আলী মোড়লের সভাপতিত্বে, খুলনা প্রেস ক্লাব অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত সংবিধান সংশোধন ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের করনীয়” শীর্ষক আলোচনা সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত মতামত ব্যক্ত করেন।

সভার প্রধান অতিথি বাংলাদেশ মুসলিম লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, বিশিষ্ট আইন বিশেষজ্ঞ এডভোকেট মো. মহসীন রশিদ বলেন, সংবিধান ও রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংলাপের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, প্রতিটি রাজনৈতিক দলেরই এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব আছে, মুসলিম লীগও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট প্রদানের জন্য প্রস্তাব নিয়ে কাজ করছে। অথচ ব্রিটিশ ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ তিনটি ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষাপটে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত থাকার বিরল রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন দেশের সর্বপ্রাচীন রাজনৈতিক দল মুসলিম লীগ এখনো সরকারের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণের অপেক্ষায় আছে। সরকার যদি মনে রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা মূল্যহীন ও অপ্রয়োজনীয় তা ভিন্ন কথা।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের কেন্দ্রীয় মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের বলেন, ২০২৪ সালের ফ্যাসিবাদী সরকারের পাতানো নির্বাচন বয়কট করা রাজনৈতিক দলগুলোই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা বহনকারী দল। নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকতে সেদিন কোন ধরনের লড়াই করতে হয়েছিল তা একমাত্র ভুক্তভোগীরাই জানে। প্রবল রাজনৈতিক চাপ ও প্রলোভনকে উপেক্ষা করে সেদিন বাংলাদেশ মুসলিম লীগ নির্বাচন বয়কট করে গনতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেছিল। ইতিহাস সাক্ষী, মুসলিম লীগই একমাত্র দল যারা আজ পর্যন্ত আধিপত্যবাদী ভারত ও তাদের দোসরদের সাথে কোন আপোষ করেনি।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মুসলিম লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সৈয়দ আব্দুল হান্নান নূর, অতিরিক্ত মহাসচিব আকবর হোসেন পাঠান, সাংগঠনিক সম্পাদক খান আসাদ, প্রচার সম্পাদক শেখ এ সবুর, কিংবদন্তী পার্লামেন্টারিয়ান খান এ সবুরের ভাতিজা মুস্তাক আহমেদ খান, খুলনা মহানগর মুসলিম লীগ নেতা হায়দার আলী, দাউদ আহমেদ, বাগেরহাট জেলা মুসলিম লীগ নেতা খান আবদুস সবুর প্রমুখ। খুলনা জেলা ও মহানগর মুসলিম লীগ নেতৃবৃন্দ ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার কর্তৃক পরিবর্তন করা খুলনা শহরের প্রধান সড়কটি খান এ সবুর রোড নামে পুনর্বহালের এবং খান-এ-সবুর ট্রাস্টটি জনকল্যাণের স্বার্থে পুনর্গঠনের জোর দাবী জানান।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button