যাত্রাবাড়ীর বিএনপি নেতা দীন ইসলাম দীনারের নেতৃত্বে চলছে চাঁদাবাজির রমরমা ব্যবসা

স্টাফ রিপোর্টারঃ
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব দীন ইসলাম দীনারের নেতৃত্বে চলছে চাঁদাবাজির রমরমা ব্যবসা। রাস্তার ফুটপাত থেকে শুরু করে মাছের আড়ৎ, সবজির আড়ৎ, বড় বড় মার্কেট, স্বর্ণের দোকান, বাস কাউন্টারে চাঁদাবাজি করে আসছেন বলে এলাকাবাসীর তথ্যে জানাযায়। চাঁদাবাজির ধরন দেখলে মনে হচ্ছে, তাদের বাপ দাদাদের রেখে যাওয়া পৈত্রিক সম্পত্তি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সেখান থেকে মাসিক ভারা তুলছেন। দ্বীন ইসলাম বাহিনীরা চাঁদাবাজি করতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা খাওয়ার একটি ভিডিও ফুটেজ অপরাধ বিচিত্রার অফিসে সংরক্ষিত আছে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তোপে পরে স্বৈরাচারী শাসক ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের পরে দেশব্যাপী বিএনপির নেতাকর্মীরা চাঁদাবাজি ও লুটপাটে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। যার প্রভাব কিছুটা হলেও জনমনে বৃহৎ সংগঠনটি প্রশ্নবিদ্ধ হতে চলছে। দলের অতি উৎসাহিত কিছু চাঁদাবাজ নেতাকর্মীরা মানছেন না কেন্দ্রীয় কোন নির্দেশনা।
এরকম দীর্ঘমেয়াদি চলতে থাকলে সংগঠন একদিন হুমকির মুখে পড়বে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কঠোর ধমকিরও তোয়াক্কা করছেন না এই চাঁদাবাজ নেতারা। দীন ইসলাম দীনারদের মতন অসাধু নেতাকর্মীদের কথা হল জনগণ বুজিনা, আমাগো পকেট ভরলেই এনাফ।
দীন ইসলামের কর্মী বাহিনী দিয়ে তার বিনাচালানের রমরমা ব্যবসা সম্প্রসারণ করেন এবং বিরতিহীন চলছে, কর্মীরাও চাঁদার ভাগ পায়। সূত্রে জানা যায়, ৪৮ নং ওয়ার্ডের সোহাগ এবং ৫০ নং ওয়ার্ডের শাহীন চাঁদা তোলার সময় জনতার হাতে আটক হয়, পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। দ্বীন ইসলাম দীনের অপর একজন কর্মী ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব রিফাত যাত্রাবাড়ীতে সবজির আড়ৎ থেকে চাঁদা তুলার সময় ছাত্র জনতা হাতেনাতে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দেয়।
পরে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দল তাকে বহিষ্কার করে। দ্বীন ইসলাম দীনার লোকমূখে বলেন, সে নাকি স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এস এম জিলানী এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক নবী উল্লাহ নবীর লোক, আমি তাদের নির্দেশেই চলি।